দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ মহালয়ার বা দেবীপক্ষের সূচনার সাথে যেমন বেতারে মিশে রয়েছেন বীরেন্দ্র কৃষ্ণ ভদ্রের কণ্ঠ। ঠিক তেমনই দূরদর্শনের মহালয়ার প্রভাতী অনুষ্ঠানের সাথে আজও মিশে রয়েছে সংযুক্তা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দেবীর মত মুখমণ্ডল। যা দেখলে আজও মনে হয় সাক্ষাৎ দেবীকেই দর্শন করা হল।
তখনতো অন্যান্য বেসরকারি চ্যানেলের রমরমা ছিল না। তাই মহালয়ার ভোরে প্রভাতী অনুষ্ঠান উপভোগ করার জন্য দুটি পথই খোলা ছিল, একটি বেতারে মহিষাসুরমর্দিনী ও অপরটি দূরদর্শনের প্রভাতী অনুষ্ঠান। দূরদর্শনের মহালয়ার দুর্গা আজকে ডঃ সংযুক্তা বন্দ্যোপাধ্যায়। দীর্ঘ দশ বছর দূরদর্শনের মহালয়া অনুষ্ঠানে তাঁকেই দুর্গা হিসেবে দেখেছেন আপামর বাঙালি। নৃত্যশিল্পী হিসেবে দূরদর্শনের এই প্রভাতী অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করার স্বপ্ন দেখতেন তিনি। সেই স্বপ্ন বাস্তবতায় রুপান্তরিত হওয়ার পাশাপাশি তিনি দীর্ঘ সময় জুড়ে যুক্ত ছিলেন ওই প্রভাতী অনুষ্ঠানের সাথে। একবার নাকি, তাঁর গদার মারে রেগে গিয়ে ফ্লোর ছেড়েই চম্পট দিয়েছিলেন মহিষাসুর। পরে অবশ্য সব ঠিক হয়। একইসঙ্গে উঠে এল, আজকের মহালয়ার কথাও।
এখন তো একাধিক চ্যানেলে মহালয়া অনুষ্ঠিত হয়। সেসব কি সংযুক্তা দেখেন? উত্তর এল, অবশ্যই দেখেন। ইন্টারনেটের দৌলতে সবকিছুই তিনি দেখার চেষ্টা করেন বলেই জানিয়েছেন। তবে সেক্ষেত্রে কোনও একজন অভিনেত্রীকেই সেরার তকমা দিতে চাননি সংযুক্তা। তুলনা টানতে চাননি নিজের সঙ্গেও। তাঁর কথায়, তাঁর সময় যে ভঙ্গি বা নৃত্যশৈলী মহালয়ার অনুষ্ঠানে দেখা যেত, এখন তা অনেকটাই বদলেছে। তাই দুয়ের তুলনা টানা কখনোই উচিত না। অন্যদিকে, তাঁর ছবি ব্যবহার করে নেটদুনিয়ায় যে মিম বা ট্রোল কালচার চলে, তারও তীব্র বিরোধিতা করেছেন টেলিভিশনের ‘দুর্গা’। তবে সত্যিই যদি তিনি দেবী হতেন, বা দুর্গার সব ক্ষমতা তাঁর মধ্যে থাকত, তবে সমাজকে অন্যরূপে গড়তেন সংযুক্তা। এমনটা হলে, সমাজে সবার মন থেকে সবরকমের কলুষতা মুছে দিতেন বলেই জানিয়েছেন তিনি।