হুগলি : আরামবাগের বিখ্যাত ঘোষাল বাড়ির দুর্গাপুজোর সঙ্গে জড়িয়ে আছে ইতিহাস। জানা যায় প্রায় ৬০০ বছরের আগে এক সাধক ছিলেন, নাম সাধক রামানন্দ। তিনি বিয়ে করেছিলেন গোসাইমনির সাথে। দম্পতির কোনও সন্তান হয়নি। হঠাৎ শারীরিক অসুস্থতার কারণে রামানন্দের মৃত্যু হয়।
তখন ছিল সতীদাহা প্রথা। সেই অনুযায়ী স্বামীর মৃত্যুর পর স্ত্রী গোসাইমনি মৃত্যুবরণ করেন। এরপর কেটে যায় বেশ কয়েক বছর। ফের ঘোষাল বাড়িতে জন্ম হয় এক সাধকের। তাঁর নাম ছিল কৃষ্ণকান্ত তর্কমশায়। তিনি ছিলেন অত্যন্ত ধার্মিক এবং সাধক।জানা যায়,কৃষ্ণকান্ত হঠাৎ করে ঘুমের মধ্যে দুর্গা দেবীর স্বপ্নাদেশ পান। তারপর থেকেই ধুমধাম করে ঘোষাল বাড়িতে দুর্গাপুজো শুরু হয়।
এই ঘোষাল বাড়ির দেবীর নাম আগুন খাকি নত নোয়া। কথিত আছে, স্বপ্নাদেশে দেবী বলেছিলেন, শ্মশানের ঈশান কোন খুললে নাকের নথ এবং নোয়া মিলবে। এর পরের দিনই লোকজন নিয়ে যাওয়া হয় শ্মশানে। মেলে নথ ও নোয়া। সেই থেকেই এই পুজোয় দেবী দুর্গাকে নাকের নথ এবং নোয়া পরানো প্রচলিত। পুজোর সংকল্পে গোসাইমনি এবং রামানন্দের নাম করা হয়।
পরিবারের এক সদস্য জানান, পুজোর চারটে দিন সকলেই আনন্দে মাতোয়ারা হয়ে থাকেন। প্রাচীন রীতি মেনে এই পুজো হয়। গ্রামের মানুষজনদের নিয়ে পুজোর বিভিন্ন অনুষ্ঠান থেকে ভোগ রান্না। সবেতেই মেতে ওঠেন ঘোষাল বাড়ির সদস্যরা।