দূরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্ক: এই পুজোয় একেবারে দূষণমুক্ত পরিবেশে বন ভ্রমণ করতে ইচ্ছুক? তাঁদের জন্য রয়েছে সুখবর! পূজোর আনন্দ দ্বিগুণ করে ফেলুন গরুমারা জাতীয় উদ্যান-কে সাথী করে। দূষণমুক্ত গাড়িতে চেপে জঙ্গলের বুক চিরে একশৃঙ্গ গণ্ডারের দেখা, চাইলে হাতিদের স্নান করানোর অভিজ্ঞতাও! সঙ্গে থাকছে বনের পুজো, ভোগ, অঞ্জলি আর আদিবাসী মাদলের তালে মন্ডপে নাচের আনন্দ। আর আপনি আমন্ত্রিত অতিথি এই বিশেষ পুজো প্যাকেজে....সবই থাকছে এবারের গরুমারা জাতীয় উদ্যানের পুজো প্যাকেজে।
মঙ্গলবার অর্থ্যাৎ আজ থেকে খুলে যাচ্ছে উত্তরবঙ্গের বন্যপ্রাণী অধ্যুষিত বনাঞ্চল। তার আগেই পর্যটকদের জন্য পসরা সাজিয়ে তৈরি হচ্ছে গরুমারা বন্যপ্রাণী বিভাগ। কালীপুর, মেদলা, ধূপঝোড়াকে নিয়ে পর্যটনের পসরা সাজিয়েছে বনদপ্তর। গরুমারা জাতীয় উদ্যানের একদিকে রয়েছে রামশাইয়ের জঙ্গল। এখানে বেড়াতে এলে দেখা মিলবে মোষের গাড়ির। গাড়োয়ানরা এখন ব্যস্ত গাড়ি তৈরিতে। এই গাড়িতে করে আপনি পৌঁছে যেতে পারবেন কালীপুর হয়ে মেদলা ওয়াচ-টাওয়ার। বনপথে দেখা হয়ে যেতে পারে হাতি, গন্ডার, বাইসনদের সঙ্গে। আঠাশটি নিজস্ব পোষা কুনকি হাতি রয়েছে গরুমারা জাতীয় উদ্যানের। বন পাহাড়ার পাশাপাশি সাফারিতেও এদের ব্যবহার করা হয়। হাতিদের পিঠে বনভ্রমণ বরাবরই পর্যটকদের কাছে আকর্ষনের। সঙ্গে এই বছর যুক্ত হচ্ছে হাতির স্নান। হাতিদের স্নানঘর পর্যন্ত যেতে পারবেন পর্যটকেরা।
তবে পুজোয় বেড়াতে এসে পুজোর আনন্দ মিস করবেন তা কি হয়! গরুমারা বন্যপ্রাণী বিভাগের বনাধিকারিক দ্বিজপ্রতীম সেন জানান, গরুমারার বিচাভাঙায় দুর্গা পুজোর আয়োজন করেন বনবাসীরা। সহযোগিতায় থাকে বনদপ্তর। এবারও পুজো হচ্ছে। সেই পুজোয় অংশ নিতে পারবেন পর্যটকেরা। গরুমারার জঙ্গল ঘুরে বেড়ানোর পাশাপাশি ঠাকুর দেখা, পুজো, অঞ্জলি, ভোগের প্রসাদ, এমনকি আদিবাসীদের মাদলের তালে মন্ডপে পা মেলানোর সুযোগ থাকছে পর্যটকদের। সব মিলিয়ে পুজোর এই প্যাকেজ পর্যটকদের কাছে যথেষ্টই আকর্ষণের হয়ে উঠবে বলে মনে করছে বনদপ্তর।