উত্তর ২৪ পরগনা, ১৯ অক্টোবর : দুর্গাপুজোয় 'বাজিমাত' করতে তৈরি আরও এক ডিজনিল্যান্ড। শ্রীভূমির এবারের দুর্গাপুজোর থিম ডিজনিল্যান্ড। একই থিমে বাজিমাত করতে তৈরি বাংলার আরও এক পুজো কমিটি।
মহালয়ার আগেই শ্রীভূমির পুজোর উদ্বোধন হয়ে গেলেও আরও এক ডিজনিল্যান্ড তৈরির কাজ চলেছে বেশি সময় ধরে। এখনও চলছে শেষ মুহূর্তের কাজ। দিন রাত এক করে কাজ করে চলেছেন শিল্পীরা। নিখুঁতভাবে ফুটিয়ে তোলা হচ্ছে প্যারিসের এই আকর্ষণীয় স্থান। কী বলছেন ওই পুজোর উদ্যোক্তরা?
শ্রীভূমির পুজোয় ঠাঁই পাবে প্যারিসের ডিজনিল্যান্ড। প্রফুল্লনগরের পুজো কমিটির উদ্যোগেও এবার ফুটে উঠবে একই থিম। খুঁটিপুজোর মধ্য দিয়ে ঘটা করে উদ্বোধন হয়ে গিয়েছিল শ্রীভূমি স্পোর্টিং ক্লাবের এবারে থিম। ক্লাব কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিল এবারে শ্রীভূমির পুজোয় ঠাঁই পাবে প্যারিসের ডিজনিল্যান্ড। সেই আদলেই তৈরি হয় মণ্ডপ। আর সেখান থেকে শুরু বিতর্ক।
উত্তর ২৪ পরগনার হাবড়ার প্রফুল্লনগরের পুজো কমিটির আগেই পুজোর থিম হিসেবে ডিজনিল্যান্ডের কথা ঘোষণা করে। মফস্বলের সেই ক্লাবই এবার কলকাতার অন্যতম জনপ্রিয় পুজো শ্রীভূমি স্পোর্টিংকে চ্যালেঞ্জ জানাতে তৈরি।
হাবড়ার প্রফুল্লনগরের এই পুজো এবার ৭৩ বছরে পদার্পণ করল। চূড়ান্ত পর্বের প্রস্তুতি সেরে ফেলছেন উদ্যোক্তারা। অন্যান্য বছরের থেকে এ বছর আরও ব্যাপক পরিমাণে ভিড় হবে সেই আশা রেখেই সাজিয়ে তোলা হচ্ছে প্রফুল্লনগরের পুজো মণ্ডপ।
প্যারিসের ডিজনিল্যান্ডের আদলে গোটা মণ্ডপ সাজিয়ে তুলেছে কল্যাণগড় ক্রিয়েটিভ ডেকোরেটরস। তবে পুজো উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন, শ্রীভূমির সঙ্গে তাঁদের কোনও প্রতিযোগিতা নেই। শ্রীভূমি স্পোর্টিং ক্লাবের মতো স্বনামধন্য ক্লাব দুর্গাপুজোয় একই থিম করায় তাঁরা উচ্ছ্বসিত।
বাজেটের দিক থেকে না হলেও শিল্পনৈপ্যুনে শ্রীভূমির থেকে কোনও অংশেই পিছিয়ে নয় প্রফুল্লনগরের ডিজনিল্যান্ড। জেলার দুই প্রান্তের দুই পুজোর প্যান্ডেল দেখে এখন দর্শকরাই ঠিক করবেন কতটা নিখুঁতভাবে কে ফুটিয়ে তুলছে প্যারিসের এই বিশেষ আকর্ষণীয় স্থান।
বিগত বছর প্রফুল্লনগরের এই পুজো হাবড়া প্রশাসনের বিচারে প্রথম স্থান দখল করেছিল। থিম হিসেবে ফুটে উঠেছিল থাইল্যান্ডের প্যাগোডা। প্রচুর মানুষ ভিড় জমিয়েছিলেন এই প্যান্ডেল দেখতে। তবে এবার শ্রীভূমির পাশাপাশি হাবরা প্রফুল্লনগরে প্যারিসের ডিজনিল্যান্ড দেখতে যে মানুষের ভিড় উপচে পড়বে তেমনটাই আশা করছেন উদ্যোক্তারা। শ্রীভূমির মতোই দর্শকদের মনোরঞ্জনে বিশেশ আলোর বন্দোবস্ত করা হয়েছে। এখন যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে প্যান্ডেলের 'ফিনিশিং টাচ' দেওয়ার কাজ চলছে প্রফুল্লনগরের এই পুজোয়।
পুজো কমিটির তরফে সন্তু দাস বলেন, 'শ্রীভূমির সঙ্গে আমাদের কোনও চ্যালেঞ্জ নেই। কারণ ওদের বাজেট অনেকটাই বেশি। চার মাসের পরিশ্রমে এই মণ্ডপ তৈরি করা হয়েছে। তবে শিল্পের তুলনা দর্শকরা করবেন। রাতের বেলা বিশেষ ধরনের আলোর খেলা থাকবে। ৭০ ফুট উচ্চতার এই মণ্ডপ মানুষই বিচার করবেন। তাঁদের উপর আমরা সব ছেড়ে দিয়েছি। তবে শ্রীভূমির আগে এই থিমের কথা জানিয়ে আমরা বই প্রকাশ করেছিলাম। সামাজিক মাধ্যমেও প্রচার করা হয়।'