বাঁকুড়া, ৪ নভেম্বর : বাঁকুড়ার প্রাচীন কালী পুজাে গুলির মধ্যে অন্যতম বাঁকুড়া শহরের বড়কালীতলা মন্দিরের পুজাে।একদা এই মন্দিরেই আসতেন স্বাধীনতা সংগ্ৰামীরা।এখানেই তাদের চলতো গীতা পাঠ, শক্তি সাধনা, বিপ্লবীমন্ত্রে দীক্ষাদান।
একসময় রঘু ডাকাত নামে জনৈক ব্যাক্তি এই পূজার সূচনা করেন বলে জনশ্রুতি।সেসময় রঘু ডাকাতের পূজো বলেও পরিচিতি ছিল এই মন্দিরের।পরবর্তী কালে এই মন্দিরকেই বেছে নেন বিপ্লবীরা।মন্দিরের সামনেই রয়েছে বিপ্লবী বাড়ি।কালীতলার এই বাড়িতেই গোপন আস্হানা ছিল বিপ্লবী দের।এখানে নিয়মিত অনুশীলন চলতো লাঠি খেলা ছোড়া খেলার পাঠ।আর বাড়ির সামনের কালীমন্দিরে চলতো গীতা পাঠ, শক্তি সাধনা,দীক্ষাদান।
আলীপুর বোমা মামলায় সাজাপ্রাপ্ত অধিকাংশ বিপ্লবী এই বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে।এই বাড়িতেই রয়েছে গোপন কুঠরী।অনুমান, এখানে আগ্নেয়াস্ত্র মজুদ করা হোত।
বড় কালীতলার এই মন্দিরে বংশপরম্পরায় পুজো চালিয়ে আসছেন কমলাকান্ত চট্টোপাধ্যায়ের পরিবার।কমলাকান্ত খুব বড় তান্ত্রিক ছিলেন।তার কাছেই আসতেন বিপ্লবীরা।মানসিক শক্তি সঞ্চয়ের জন্য সাধনা করতেন।চট্টোপাধ্যায় পরিবারের এক সদস্য জানান অতীতের সেই জৌলুশ হয়ত এখন আর ততটা নেই ,কিন্তু তার ঐতিহ্য আজও সমান রয়েছে।তন্ত্র মতেই এখানে পুজা হয়,ছাগবলি পুজার অন্যতম অঙ্গ। প্রাচীন ঐতিহ্যের এই পুজো দেখতে বহু মানুষের সমাগম হয় এই কালীপুজোয়।