Entertainment

1 year ago

Tathagata Ray on Raj Chakrabarty's Movie : ফের রাজের 'ধর্মযুদ্ধ'-কে একহাত নিলেন তথাগত রায়

Tathagata Ray single-handedly took the
Tathagata Ray single-handedly took the

 

কলকাতা, ১৭ আগস্ট : তিন বছরের প্রতীক্ষা শেষে মুক্তি পেয়েছে রাজ চক্রবর্তীর ‘ধর্মযুদ্ধ’। কিন্তু প্রাক্তন রাজ্যপাল তথাগত রায় ও ছবির পরিচালক রাজ চক্রবর্তীর ঠান্ডা লড়াই অব্যাহত। ফের রাজ চক্রবর্তী পরিচালিত ‘ধর্মযুদ্ধ’-কে একহাত নিলেন তথাগতবাবু।

বুধবার তথাগতবাবু ‘#বয়কটধর্মযুদ্ধ’ শিরোনামে টুইটারে লিখেছেন, “খ্রিষ্টান দেশে খ্রিস্টবিরোধী, চীনে কম্যুনিস্ট পার্টি-বিরোধী ছবি কি বানানো যায়? মুসলিম দেশে, এমনকি ভারতেও, ইসলামবিরোধী ছবি তো কল্পনার অতীত ! কিন্তু হিন্দুবিরোধী ছবি বানালে ঠিক আছে! কে এই ফতোয়া দিয়েছে যে অন্যে যাই করুক, হিন্দুদের উল্টে পড়ে ঔদার্য দেখাতে হবে?“

জবাবে সোমনাথ গুপ্ত টুইটারে লিখেছেন, “ধর্মের বেশে মোহ এসে ধরে যারে, অন্ধ সেজন্য জন মরে আর শুধু মরে।-- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।“ এর জবাবে তথাগতবাবু লিখেছেন, “আরে কমরেড, কি আশ্চর্য ! এ তো যাকে তোমরা বুর্জোয়া কবি বলতে, তার লেখা! নিজেদের ইস্তাহার-কবি সুকান্তর একটা-দুটো ছাড়ো! ইতিমধ্যে বুর্জোয়া কবির এটাও শুনে নাও! “অন্যায় যে করে আর অন্যায় যে সহে তবে ঘৃণা তারে যেন তৃণসম দহে”।“

অপর টুইটারে তথাগতবাবু লিখেছেন, “একমাত্র ধর্মের মধ্যে দিয়েই ভারতবাসী সবকিছু দেখে, একথা স্বামীজী বলে গেছেন। এই উপলব্ধি তাঁর হয়েছিল কপর্দকশূন্য অবস্থায় ভারত জুড়ে ঘুরে বেড়ানোর পরে। রাষ্ট্র ও ধর্মকে পৃথক করার ফলেই আমাদের মূল্যবোধ নষ্ট হয়েছে, সমাজজীবনে বিকৃতি ঢুকেছে। রাষ্ট্রের নাম যা আছে তাই থাকতে পারে“

বর্ষীয়ান নেতা তথাগতবাবু ছবির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অভিনেত্রী পার্নো মিত্র সম্পর্কে সম্প্রতি টুইটারে লেখেন, ‘২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনে হিন্দুত্ববাদী একটি পার্টির একজন ‘কামিনী’ দুঃখিত প্রার্থী ছিলেন না? এখন মানুষের পরিচয় বোঝাতে ময়দানে নেমেছেন? বেশ বেশ।’ পার্নোকে বয়কটের ডাকও দেন তিনি। তথাগতবাবুর মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় পরিচালক রাজ লেখেন, ‘‘খুবই খারাপ লেগেছে। কিন্তু এক জন বর্ষীয়ান নেতাকে নিয়ে কোনও মন্তব্য করব না। তথাগত রায়ের এই অভ্যাস নতুন নয়। উনি নারীদের সম্মান করতে জানেন না। প্রায়ই মহিলাদের উদ্দেশে বাজে শব্দ ব্যবহার করে থাকেন। এটাই বোধহয় ওঁর বিশেষত্ব।’’

তথাগতবাবুর অবশ্য তাঁর মন্তব্যকে কুৎসা বলে মানতে রাজি হননি। তাঁর কথায়, “এই কামিনীরা কেন বিজেপিতে এসেছিলেন, কেন এবং কিসের বিনিময়ে নির্বাচনের টিকিট ও টাকা পেয়েছিলেন, এবং হেরে যাবার পর পিঠটান দিয়েছিলেন তাও কি বলে দিতে হবে? কামিনী তো কোনো খারাপ কথা নয়। এই নামের একজন প্রখ্যাতা বাঙালি কবি ছিলেন।“ ফের ক’দিনের মধ্যেই বুধবার ‘#বয়কটধর্মযুদ্ধ’ লিখলেন।


You might also like!