
দূরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্ক: অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত ভাইফোঁটার বিশেষ মুহূর্ত ভাগ করে নিলেন ভক্তদের সঙ্গে। সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করলেন ছেলে অঙ্কন ও মেয়ে ঋষণার ভাইফোঁটা উদযাপনের ছবি। সামনে জ্বলছে প্রদীপ, থালায় সাজানো রকমারি মিষ্টি, ধান ও দূর্বা। সাধারণত ব্যক্তিগত জীবনকে প্রকাশ্যে আনেন না ঋতুপর্ণা, এমনকি সন্তানদের ছবিও খুব কমই শেয়ার করেন। তাই এই বিরল পারিবারিক মুহূর্তে অঙ্কন ও ঋষণাকে দেখে ভালোবাসায় ভরিয়ে দিল নেটদুনিয়া।
ঋতুপর্ণার এক ভক্ত মন্তব্য করেছেন, ‘তোমার ছেলেকে তো খুব হ্যান্ডসাম দেখতে, ওকে কয়েকটা ফিল্ম করাও’। তা কী করেন অঙ্কন এখন? আমেরিকার বস্টন ইউনিভার্সিটি থেকে পাশ করেছেন অঙ্কন৷ ছোট থেকেই লেখাপড়ায় তুখোড় ঋতুপর্ণা-সঞ্জয়ের বড় ছেলে। চলতি বছরের মে মাসেই তিনি গ্র্যাজুয়েশন শেষ করেছেন। আজকাল মায়ের সঙ্গে টুকটাক তাঁকে টলিউডের পার্টিতে দেখা মেলে, যদিও ছেলের অভিনয়ে পা রাখা নিয়ে সেভাবে কথা বলেননি তিনি। দাদার থেকে অনেকটাই ছোট ঋষণা। বয়স তার মাত্র ১৪ বছর। লেখাপড়া করছে সে সিঙ্গাপুরেই।
ছোটবেলা থেকে ভালোবাসা, আর পরবর্তীতে নিজেদের ভালোবাসাকে পূর্ণতা দেন তাঁরা ১৯৯৯ সালে। ঋতুপর্ণা যখন সপ্তম শ্রেণিতে পড়তেন, সঞ্জয় তখন ক্লাস টেন। সেই সময়েই আলাপ হয় তাঁদের। এরপর সঞ্জয় চলে যান উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশে। শোনা যায়, ঋতুপর্ণাকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিলেন সঞ্জয়ই। বিয়ের পর এবং সন্তান হওয়ার পর ঋতুপর্ণা সাময়িক বিরতি নেন কাজ থেকে৷ তবে ফেরেন খুব জলদি। সেই সময় কাজের সূত্রে নিয়মিত ঋতুপর্ণাকে ছোটাছুটি করতে হত কলকাতা আর সিঙ্গাপুরে। কাজের সূত্রে, ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তকে শেষ দেখা গিয়েছে ‘বেলা’ ছবিতে। তবে এই বছর ‘ম্যাডাম সেনগুপ্ত’, ‘গুডবাই মাউন্টেন’-এও কাজ করেছেন তিনি। সঙ্গে জিতের সঙ্গেও একটি ছবিতেও কাজ করার কথা রয়েছে তাঁর।
অঙ্কন শুধু পড়াশোনাতেই নয়, নানা ক্ষেত্রেই প্রতিভার ছাপ রেখেছে। গর্বিত মা ঋতুপর্ণা জানিয়েছেন, ছেলে দারুণ লেখে, পাশাপাশি গিটার বাজাতেও পারদর্শী। এখন দেখার বিষয়, অঙ্কন কি মায়ের পথ অনুসরণ করে অভিনয়ের জগতে পা রাখে, নাকি বাবার মতো ব্যবসার দিকেই ঝোঁক দেখায়!
