সামিটে বক্তৃতার সময় মোদি বলেন, “মূল ফ্যাক্টর হল ‘নিয়ত’ (ইচ্ছা)। আর কোন ইচ্ছা? সেই ইচ্ছাটা হল নেশন ফার্স্ট। আমাদের দেশে তো সম্পদের অভাব নেই, তাহলে কেন দরিদ্র জাতি হিসেবে বিবেচিত হবে? আমরা বিশ্বের সবচেয়ে কমবয়সী দেশ। কোনও দেশের চেয়ে ভারতের পিছিয়ে থাকার কোনও কারণ থাকতে পারে না। আমাদের শুধু নেশন ফার্স্টের অভিপ্রায় নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে”।
এদিন প্রধানমন্ত্রীর প্রতিটা বাক্যে দেশের প্রতি ভালবাসা ঝরে পড়ে। তিনি প্রশ্ন করেন, “এই দেশ আমাদের সব কিছু দিয়েছে। কিন্তু আমরা শুধু এখানে থাকব, না কি দেশের জন্য কিছু করব”? উত্তরও দিয়েছেন তিনি, ‘মনোভাবের এই পার্থক্যই দেশকে এগিয়ে নিয়ে যায়”। উপস্থিত দর্শকদের উদ্দেশ্যে মোদি বলেন, “যে দিন নিজের কাজকে দেশের লক্ষ্যের সঙ্গে জুড়ে দেবেন, আপনার পেশা যাই হোক না কেন, বুঝবেন আপনার মধ্যে সেই দিন নেশন ফার্স্টের বীজ বপন হয়েছে। এই বীজ হল আধার। দেশের প্রতিটি কোণে উত্থিত ভারতের আধার। শুধু নিজের জন্য বাঁচা আর কি বাঁচা! বাঁচতে চান তো দেশের জন্য বাঁচুন, মরবেন তো দেশের জন্য মরুন”।
আসন্ন লোকসভা ভোটের আঁচও ছিল মোদির ভাষণে। নাম না করে কটাক্ষ করেন বিরোধীদের। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমাদের বিরোধী দল আমার দিকে ১০৪ নম্বর গালাগালিটা ছুঁড়েছে। ওরা আমাকে ঔরঙ্গজেব বলে ডাকত। আমাকে নির্মূল করার সমস্ত পরিকল্পনাও করেছে। তবে এসব করে কিছু লাভ হবে না”।
অতীতে কল্যাণমূলক প্রকল্পের একটা বিশাল অংশ চুরি হত, আজ সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে যায়। তাই আমজনতা তাঁর সঙ্গে আছেন বলে উল্লেখ করেন মোদি। তিনি বলেন, “গত ১০ বছরে অসংখ্য কল্যাণমূলক প্রকল্পে সুবিধাভোগীদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ৩৪ লক্ষ কোটি টাকা পাঠানো হয়েছে। আগের সরকারের আমলে এই টাকার বেশিরভাগটাই দুর্নীতিবাজদের পকেটে যেত”।