দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ- ‘আপনারা মিয়াঁদের (পূর্ববঙ্গীয় তথা বাংলাদেশি মুসলমান তথা অবৈধ অনুপ্রবেশকারী) তুষ্ট করার রাজনীতি করুন। আমি মিয়াঁর ভোট চাই না। এপ্রিলে বিধানসভায় পেশ হবে বিবাহ সংক্রান্ত একটি নতুন বিল।’ বক্তা মুখ্যমন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শৰ্মা।
আজ অসম বিধানসভার শরৎকালীন অধিবেশনের দ্বিতীয় দিন মুখ্যমন্ত্রী ড. হিমন্তবিশ্ব শর্মা বিরোধী বিধায়কদের কটাক্ষ করতে গিয়ে এ কথাগুলি বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রী ড. শর্মা বলেন, ‘নতুন বিলে এমন ১০টি বিধান থাকবে, যার মাধ্যমে বিয়ের নামে হয়রানি বন্ধ করা হবে। এভাবে হিন্দু মেয়েদের কেড়ে নিতে দেওয়া হবে না।’
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘কোনও মুসলমান যদি কোনও হিন্দু মেয়ে বা কোনও হিন্দু মুসলিম মেয়েকে বিয়ে করতে চায়, তা-হলে তাকে ছয় মাস আগে নোটিশ পাঠাতে হবে। এভাবে নতুন আইনে এমন অনেক বিধান যুক্ত হবে, যা বন্ধ করবে বিয়ের নামে কারসাজি।’
‘সরাসরি বিরোধীদের উদ্দেশ্যে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘নিম্ন আসামে হিন্দুদের সংখ্যা ধীরে ধীরে কমছে। ধুবড়ি, দক্ষিণ শালমারা, বরপেটা, কোকরাঝাড় প্রভৃতি জেলায় হিন্দুদের সংখ্যা ক্রমাগত কমছে।’ তিনি বলেন, ‘জন্ম-মৃত্যুর জন্য এমনটা হচ্ছে না। বরং হিন্দুরা নানা ধরনের নৃশংসতার শিকার হয়ে সেখান থেকে পালাতে বাধ্য হচ্ছেন। অন্যদিকে, রাজ্যের হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠ জেলা যেমন ডিব্রুগড়, লখিমপুর, গোলাঘাট, যোরহাট, কামরূপ মেট্রো প্রভৃতি জেলায় মিয়াঁদের সংখ্যা ক্রমাগত বাড়ছে।’
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এপ্রিলে বিধানসভায় প্রতিটি ভোটকেন্দ্রের ডেটা উপস্থাপন করে তিনি দেখাবেন, কীভাবে জনসংখ্যার ভারসাম্যহীনতা ঘটেছে।’ বরাবরের মতো আজ বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, মিয়াঁদের ভোট নিয়ে যাঁরা রাজনীতি করতে চান, তাঁরা তা করতে থাকুন। কিন্তু, তিনি (মুখ্যমন্ত্রী) মিয়াঁর ভোট চান না এবং অসমে তা করতে দেবেন না।