ধার, ২২ মার্চ: অযোধ্যার জমি বিতর্কের অবসান ঘটেছে। এবার আরও এক বিতর্কিত ধর্মীয়স্থানে বৈজ্ঞানিক সমীক্ষার অনুমতি দিল আদালত। সোমবার মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্ট আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া (এএসআই)-কে মধ্যপ্রদেশের ধার জেলার ভোজশালা ধর্মীয়স্থানে সমীক্ষা করার অনুমতি দিয়েছে। শুক্রবার সেখানে সমীক্ষা শুরু করেছে আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া।
জানা গেছে, শুক্রবার ভোরেই এএসআই-এর আধিকারিকরা মন্দিরের ভিতরে প্রবেশ করেন। গত বহু বছর ধরে হিন্দুরা এই ভোজশালাকে বাগদেবী বা সরস্বতীর মন্দির হিসাবে বিবেচনা করে আসছে। আর মুসলমানরা এটিকে কামাল মৌলার মসজিদ মনে করে।
এই মন্দির-মসজিদ বিতর্কের প্রেক্ষিতেই ১৯ ফেব্রুয়ারি, ভোজশালা সৌধ চত্বরের বৈজ্ঞানিক সমীক্ষা চেয়েছিল ‘হিন্দু ফ্রন্ট ফর জাস্টিস’ নামে এক হিন্দু সংগঠন। হাইকোর্টে তারা আবেদন করেছিল, এএসআই এলাকাটির বৈজ্ঞানিক সমীক্ষা করে বলুক, সৌধটি হিন্দু মন্দির না মসজিদ। সৌধটির দেখভালের দায়িত্ব আপাতত রয়েছে এএসআই-এর হাতেই। ১৮ মার্চ আদালত এএসআই সদস্যদের একটি পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করতে বলেছেন এবং ছয় সপ্তাহের মধ্যে আদালতে সমীক্ষার রিপোর্ট জমা দিতে হবে।
হিন্দু পক্ষের আইনজীবী শ্রীশ দুবে জানিয়েছেন, শুক্রবার সকাল ৬টায় সমীক্ষার কাজ শুরু হয়েছে। খুব শীঘ্রই আদালতে রিপোর্ট জমা দেওয়া হবে।