দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ ঠাকুর বাড়ির মতই অত্যন্ত জনপ্রিয় নদীয়ার রাজ বাড়ির রুই মাছের ছোলার ডাল। দেখুন রেসিপি।
উপকরণ
রুই মাছ- ৬ থেকে ৭ পিস
ছোলার ডাল- ১৫০ গ্রাম
তেজপাতা- ২টি
গোটা গরম মশলা- পরিমাণমতো
গোটা জিরে- ১ টেবিল চামচ
আদা- ১ টেবিল চামচ
হলুদ গুঁড়ো- ৩ টেবিল চামচ
কাশ্মীরি লঙ্কার গুঁড়ো- ১ টেবিল চামচ
জিরার গুঁড়ো- ১ টেবিল চামচ
পেঁয়াজ- ২টি (মাঝারি সাইজ)
টমেটো- দেড় খানা
কাঁচালঙ্কা- ৪-৫টি
নুন- স্বাদমতো
চিনি- স্বাদমতো
গরম মশলা- ১ টেবিল চামচ
ঘি- ১ টেবিল চামচ
ধনে পাতা কুচি- আন্দাজ মতো
সর্ষের তেল- পরিমাণ মতো
প্রণালী
ছোলার ডাল দুই-তিন ঘণ্টা ভিজিয়ে রেখে প্রেশার কুকারে সিদ্ধ করে নিন।
মাছ ভালো করে ধুয়ে নিন। নুন-হলুদ মাখিয়ে ম্যারিননেট করে রাখুন।
আদা বেটে নিন। পেঁয়াজ ঝিরি ঝিরি করে কেটে ফেলুন। কাঁচালঙ্কা চিরে নিন।
এবার সর্ষের তেলে মাছ ভেজে আলাদা করে রেখে দিন।
সিদ্ধ ডালের অর্ধেকটা একটি বাটিতে তুলে রাখুন। এটা রান্নায় লাগবে। বাকি অর্ধেক ডাল মিক্সিতে মিহি করে বেটে নিন।
এবার রান্না শুরু করুন। কড়াইয়ে তেল এবং এক টেবিল চামচ ঘি গরম করে তাতে তেজপাতা, শুকনো লঙ্কা, গোটা জিরে এবং গরম মশলা ফোঁড়ন দিন।
সুগন্ধ উঠলে তাতে আদা বাটা দিয়ে নাড়াচাড়া করুন।
একটি বাটিতে ১ টেবিল চামচ হলুদ গুঁড়ো, ১ টেবিল চামচ কাশ্মীরি লঙ্কার গুঁড়ো এবং ১ টেবিল চামচ জিরার গুঁড়ো নিয়ে সামান্য জল দিয়ে গুলে নিন।
আদার কাঁচা গন্ধ চলে গেলে তাতে এই মশলাটি দিয়ে ক্রমাগত লো ফ্লেমে নাড়তে থাকুন।
যতক্ষণ না মশলার তেল আলাদা হচ্ছে, ততক্ষণ নেড়ে যেতে হবে।
মশলার তেল আাদা হলে এতে পেঁয়াজ কুচি দিয়ে ভাজতে থাকুন। যতক্ষণ না পেঁয়াজের রং পরিবর্তন হচ্ছে ততক্ষণ ভাজতে থাকুন।
দিয়ে দিন কাঁচা লঙ্কা এবং টমেটো। খেয়াল রাখবেন, টমেটো যতক্ষণ না মজে যাচ্ছে, ততক্ষণ ভাজতে থাকুন। দিয়ে দিন স্বাদ অনুযায়ী নুন।
ভালো করে নাড়াচাড়া করে বাটিতে তুলে রাখা সিদ্ধ ছোলার ডাল দিয়ে মেশান। তারপর এতে বেটে রাখা সিদ্ধ ছোলার ডাল দিন। খুব ভালো করে মেশান।
স্বাদমতো চিনি দিয়ে নাড়তে থাকুন।
ডালে ফুট এলে তাতে এক টেবিল চামচ ঘি, এক টেবিল চামচ গরম মশলা এবং সামান্য ধনে পাতা কুচি দিয়ে মেশান।
ডাল বেশি ঘন হয়ে গেলে তাতে সামান্য গরম জল দিয়ে ব্যালেন্স করে নিতে পারেন। তবে ছোলার ডাল ঘন হলেই খেতে ভালো লাগে।
ডাল ফুটতে শুরু করলে তাতে ভাজা মাছ দিয়ে ভালো করে মেশান। উপরে ছড়িয়ে দিন ধনে পাতা কুচি।
ভাতের সঙ্গে রুই মাছের ডাল থাকলে আর কোনও তরকারি বা পদের দরকার পড়ে না। গরম গরম ভাতে গরম গরম মাছের ডাল মেখে খান। হলফ করে বলতে পারি এক রাজকীয় অনুভূতি হবে।