দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ জামাইকে স্পেশাল কিছু বানিয়ে খাওয়াতে চান? বাঙালি অনুষ্ঠানে খাঁটি বাঙালিয়ানা রান্নাই পছন্দ করেন অনেকে। তাহলে এবার ঠাকুরবাড়ির হেঁসেলের সুস্বাদু ও ঐতিহ্য়বাহী রেসিপি রেঁধে জামাই-যত্ন করতে পারেন। প্রসঙ্গত, ঠাকুরবাড়ির রোজকার ব্যঞ্জন ছিল— ডাল, মাছের ঝোল আর অম্বল। এছাড়া বড়িভাজা, পোর ভাজা, আলুভাতেও সঙ্গ দিত রোজকার ভোজে। ঠাকুরবাড়ির বৌ-মেয়েরা সকলেই রান্নায় ছিলেন পারদর্শী। তাই রান্নায় যেমন অনেক নাম, তেমনি বাসনপত্রেরও ছিল ভিন্ন ভিন্ন নাম। রবিবার স্পেশাল রেসিপি হিসেবে রেঁধে ফেলুন কবিগুরুর খুব পছন্দের একটি রেসিপি, এঁচোর চিকেন। কীভাবে বানাবেন, কী কী উপকরণ লাগবে, তা আজই জেনে নিন…
উপকরণ
৪০০ গ্রাম এঁচোড়, ৫০০ গ্রাম চিকেন. স্বাদ মত নুন ও চিনি, আধ কাপ পেঁয়াজকুচি, এক টেবিলস্পুন আদা বাটা, এক টেবিলস্পুন রসুন বাটা, এক টেবিলস্পুন কাঁচালঙ্কা বাটা, এক টেবিলস্পুন জিরে বাটা,১ চা চামচ শুকনো লঙ্কা গুঁড়ো, ১ চা চামচ গরম মশলা, ২টি তেজপাতা, ৩টেবিলস্পুন টমেটো কুচি, পরিমাণমত তেল, ৩ চা চামচ ঘি, গোটা গরম মশলা।
পদ্ধতি
প্রথমে এঁচোরগুলি হালকা সেদ্ধ করে জল ঝরিয়ে নিতে হবে। তারপর কড়াইয়ে তেল গরম করে তাতে গোটা গরম মশলা ও তেজপাতা ফোড়ণ দিন। এরপর চিকেনগুলো তেলে ভেজে নিন। হালকা ভাজা হলে তাতে নুন, হলুদ, পেঁয়াজ বাটা, রসুন টমেটো কুচি দিয়ে কষিয়ে নিন। বেশ কিছুক্ষণ রান্না করার পর বাটা মশলাগুলি দিয়ে আরও ভাল করে কষতে হবে। এরপর দশ মিনিটের জন্য ঢাকনা দিয়ে রেখে দিতে হবে। ১০ মিনিট রান্না করার পর সেদ্ধ এঁচোরগুলি দিয়ে নেড়ে নিন। এইভাবে কিছুক্ষণ রান্না করার পর ফের একবার পুরোটা কষিয়ে নিন। প্রয়োজনে গরম জল দিন। রান্না প্রায় হয়ে এলে তাত ঘি ও গরম মশলা গুঁড়ো দিয়ে অল্প নেড়ে নিন। গরম গরম ভাত বা পোলাওয়ের সঙ্গে জিভে জল আনা ও সুস্বাদু এঁচোর চিকেন পরিবেশন করুন।