Cooking

3 months ago

Potol recipes: পটল একদম ভালো লাগে না? রইল সুপারহিট কিছু রেসিপি

Potol Recipies (File Picture)
Potol Recipies (File Picture)

 

দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ  পটলের মরশুম সবে শুরু হয়েছে। অনেকেই কিন্তু পাতে পটল দেখলে মুখ বেঁকান! কিন্তু মুগ ডালে ফেলে পটল দুধ দিয়ে রাঁধলে কিংবা পুর ভরা পটল বা খোসা বাটা করলে, পাত যে চেটেপুটে যে সাফ হবে, তা বাজি রেখে বলা যায়। তাহলে ঝটপট জেনে নিন পটলের রকমারি রেসিপি।

দুধ মুগ পটল

উপকরণ-

পটল- ৩-৪টি

সোনা মুগ ডাল- ১ কাপ

দুধ- ১ কাপ

ঘি- ২ চামচ

গোটা জিরে- ১/২ চামচ

শুকনো লঙ্কা- ২টি

আদাবাটা- ১ চা-চামচ

জিরেবাটা- ১ চা-চামচ

কাঁচালঙ্কা- ২টি

নুন, চিনি- আন্দাজমতো

প্রণালী-

প্রথমে পটলের খোসা ছাড়িয়ে লম্বা দু’ভাগ করে কেটে হালকা সাঁতলে রাখুন। সোনা মুগ ডাল শুকনো খোলায় ভেজে নিন। এবার প্রেশার কুকারে ডাল, সামান্য নুন এবং পরিমাণমতো জল দিয়ে অর্ধেক সেদ্ধ করে নিন। এবার ঢাকনা খুলে তারমধ্যে পটল দিয়ে ডাল পুরো সেদ্ধ করুন। এবার আসল কেরামতি! কড়াতে ঘি গরম করে গোটা জিরে এবং শুকনো লঙ্কা ফোড়ন দিন। এতে আদা ও জিরে বাটা দিয়ে ভালো করে কষান। এবার সেদ্ধ করা মুগ ডাল ও পটল, স্বাদমতো নুন, চিনি এবং দুধ কড়ায় দিয়ে মিনিট পাঁচেক ঢাকনা বন্ধ করে ফোটান। ডাল ঘন হয়ে গেলে ওপর থেকে ঘি ছড়িয়ে কিছুক্ষণ চাপা দিয়ে রেখে আঁচ থেকে নামিয়ে নিন। গরম ভাতে পরিবেশন করুন। এর সঙ্গে একটু গন্ধরাজ লেবু।

পুর ভরা পটলের দোলমা

উপকরণ

গোটা পটল- ৬টি

ছানা- আধ কাপ

হলুদ গুঁড়ো- আধ চা চামচ

নুন- স্বাদ অনুযায়ী

চিনি- স্বাদ অনুযায়ী

গরম মশলা- আধ চা চামচ

কাজুবাদাম- ৩ টেবিল চামচ

কাজুবাদাম বাটা- ৩ টেবিল চামচ

কিশমিশ- ২ টেবিল চামচ

কাঁচা লঙ্কা- ২টি

আদা বাটা- আধ চা চামচ

টোমাটো কুচি- আধ কাপ

গোটা জিরে- ১ টেবিল চামচ

সর্ষের তেল- ৪ টেবিল চামচ

নারকেল কোরা- ২ টেবিল চামচ

খোয়া ক্ষীর- ১ টেবিল চামচ

পোস্ত বাটা- ১ টেবিল চামচ

চারমগজ বাটা- ১ টেবিল চামচ

টক দই- আধ কাপ

প্রণালী-

প্রথমে পটলের খোসা হালকা করে ছাড়িয়ে নিন। এবার ভিতরের বীজ চামচ দিয়ে কুরিয়ে বের করে নিন। পটলগুলো সামান্য নুন ও হলুদ মাখিয়ে রাখুন। পটলের পুর তৈরি করে নিন। কুরিয়ে রাখা পটলের বীজ এবং লঙ্কা হালকা হাতে বেটে নিন। কড়াইতে সর্ষের তেল গরম হতে দিন। বেটে নেওয়া পটলের দানা, ছানা, নারকেল কোরা, পোস্ত বাটা এবং অল্প খোয়া ক্ষীর দিয়ে শুকনো করে পুর তৈরি করুন। উপর থেকে কাজুবাদাম এবং কিশমিশ ছড়িয়ে দিন। এবার ভেজে রাখা পটলের মধ্যে ছানার পুর ভরে মুখ বন্ধ করে দিন। অন্য একটি কড়াইতে সরষের তেল গরম করুন। ছানার পুর ভরা পটলগুলো লালচে সোনালি করে ভেজে তুলে নিন।

এবার গ্রেভি তৈরির পদ্ধতি। কড়াইয়ে গোটা জিরে আর শুকনো লঙ্কা ফোড়ন দিন। সামান্য আদা বাটা দিয়ে টোমাটো কুচি দিন। ভালো করে নাড়াচাড়া করে টক দই, কাজু বাদাম বাটা, চারমগজ বাটা দিন। সামান্য জল দিয়ে ভাল করে ফোটান। মিশ্রণ ফুটে এলে ভেজে তুলে রাখা পটলগুলো দিয়ে দিন। ঝোল ঘন হয়ে পটলের গায়ে মাখা মাখা হয়ে এলে নামিয়ে নিন। গরম গরম পরিবেশন করুন পটলের দোলমা।

দই পটল

উপকরণ-

৮_১০ টি খোসা ছাড়ানো পটল

৩ টেবিল চামচ ফেটানো টক দই

১ টেবিল চামচ কাজুবাদাম বাটা

১ টেবিল চামচ পোস্ত বাটা

১ টেবিল চামচ চারমগজ বাটা

১ চা চামচ আদা বাটা

২ টো কাঁচা লঙ্কা বাটা

৩ টেবিল চামচ সরষে তেল

১ টেবিল চামচ ঘি

১/২ চা চামচ গরম মশলাগুঁড়ো

১/২ চা চামচ হলুদগুঁড়ো

১/২ চা চামচ শুকনো লঙ্কাগুঁড়ো

১/২ চা চামচ জিরেগুঁড়ো

স্বাদ মতো নুন

১ টেবিল চামচ চিনি

ফোড়নের জন্য

২ টো তেজপাতা

পরিমাণ মতো গোটা গরম মশলা (২টো লবঙ্গ,১ টা এলাজ,১টা দারুচিনি টুকরো)

প্রণালী-

প্রথমে পটলের খোসা ছাড়িয়ে মাঝখানটা চিরে নুন,হলুদ মাখিয়ে সরষের তেলে ভেজে নিতে হবে। এবার চারমগজ, কাজু, পোস্ত, আদা, কাঁচালঙ্কা একসঙ্গে বেটে নিন। কড়াতে সরষের তেল দিয়ে গোটা গরম মশলা আর তেজপাতা ফোড়ন দিয়ে তাতে সমস্ত মশলা দিয়ে নাড়তে হবে। মশলা তেল ছাড়লে তাতে টক দই ফেটিয়ে দিয়ে ভালো করে কষিয়ে কাঁচালঙ্কা দিন। এবার একটু ঢেকে রাখতে হবে। এবার পটলগুলো দিয়ে ভালো করে কষিয়ে নুন,চিনি দিয়ে সামান্য জল দিতে হবে। নামানোর আগে গরমমশলা গুঁড়ো,ঘি ছড়িয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন।

পটলের খোসা বাটা

উপকরণ-

৮ টি পটলের খোসা

আধ চা চামচ কালোজিরে

১টি কাঁচা লঙ্কা

৪টি রসুনের কোয়া

১চিমটি হলুদের গুঁড়ো

আধ চা চামচ চিনি

৪ চা চামচ সর্ষের তেল

স্বাদমতো নুন

১টি শুকনো লঙ্কা

প্রণালী-

প্রথমে পটলের খোসাগুলোকে পটল সমেত একটু মোটা করে ছাড়িয়ে নিতে হবে। এরপর খোসাগুলোকে একটু জলের মধ্যে ভাপিয়ে নিতে হবে। খোসাগুলো নরম হয়ে গেলে জল থেকে তুলে ছেঁকে নিতে হবে। এরপর মিক্সারের মধ্যে খোসাগুলোকে দিতে হবে। তার সঙ্গে রসুন, লঙ্কা আর নুন দিয়ে একটা পেস্ট বানিয়ে নিতে হবে। এরপর কড়ায় তেল গরম করে তার মধ্যে কালো জিরে, শুকনো লঙ্কা ফোড়ন দিতে হবে। এবার খোসা বাটা দিয়ে দিতে হবে। তাতে নুন-চিনি, হলুদগুঁড়ো দিন। জল শুকিয়ে গেলে খোসাটা ঝুরুঝুরে হয়ে গেলে নামিয়ে নিতে হবে। গরম ভাতে দারুণ লাগবে খেতে।




You might also like!