West Bengal

1 week ago

Minakshi Mukherjee : দামোদর নিয়ে কি ভাবছেন সাংসদ? দুর্গাপুরে জবাব চায় মীনাক্ষী

Minakshi Mukherjee (File Picture)
Minakshi Mukherjee (File Picture)

 

দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ তাঁর বক্তব্য শুনতে জমায়েত হচ্ছে ভালোই। বুধবারও দুর্গাপুরের গ্যামনব্রিজে ভরা ময়দানে দলীয় প্রার্থী সুকৃতি ঘোষালের সমর্থনে বিজেপির বিদায়ী সাংসদ ও দুর্গাপুরের দুই বিধায়ককে চোখা মন্তব্যে বিঁধলেন সিপিএমের যুবনেত্রী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়।

এখনও পর্যন্ত দুর্গাপুরে দু’টি সভা করেছেন মীনাক্ষী। প্রথম সভাটি করেছিলেন গান্ধীমোড় ময়দানে। দ্বিতীয় সভা এদিনের গ্যামনব্রিজ ফ্রেন্ডস ক্লাবের কালীপুজো ময়দানে। প্রথম সভায় প্রধানমন্ত্রী ও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর কড়া সমালোচনা করেছিলেন তিনি। এদিন তাঁর বক্তব্যের সিংহভাগ জুড়ে ছিল স্থানীয় সমস্যা। মজে যাওয়া দামোদর সংস্কার, বেকার ছেলেমেয়েদের কর্মসংস্থান, কারখানার দূষণ, বন্ধ রাষ্ট্রায়ত্ত কারখানার ভবিষ্যৎ নিয়ে সুর চড়ান মীনাক্ষী।

গত ৫ বছরে দুর্গাপুর-বর্ধমান কেন্দ্রে কী কাজ করেছেন বিদায়ী সাংসদ বিজেপির এসএস আলুওয়ালিয়া? এই প্রশ্ন তুলে মীনাক্ষী বলেন, ‘দামোদর মজে গিয়েছে। ড্রেজিং না-করায় জলধারণ ক্ষমতা কমে যাচ্ছে। জলের সঙ্কট দেখা দেবে। এই বিষয়ে একটা কথাও কি সংসদে দাঁড়িয়ে বলেছেন সুরিন্দর সিং আলুওয়ালিয়া? কেন্দ্রের শ্রমনীতির বিরোধিতা করেছেন কখনও? ৮ ঘণ্টার বদলে ১২ ঘণ্টা ডিউটি— এসব নিয়ে কখনও সংসদে সরব হননি আলুওয়ালিয়া।’

স্থানীয় ছেলেদের বঞ্চিত করে দুর্গাপুরের একাধিক বেসরকারি ও সরকারি কারখানায় গত কয়েক বছর ধরে বহিরাগত কর্মী নিয়োগ করা হচ্ছে। মঙ্গলবার দলীয় পতাকা হাতে নিয়ে কিছু তৃণমূল কর্মী বহিরাগত হটাও অভিযান চালান গ্রাফাইট কারখানার গেটে। এদিনের সভায় মীনাক্ষী ওই প্রসঙ্গে তুলে দুর্গাপুরের দুই বিধায়কের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। মীনাক্ষী বলেন, ‘কাজের বদলে স্থানীয় ছেলেরা কারখানার দূষণে ধুলো-কালি খাচ্ছে। আর বহিরাগতরা কাজ পাচ্ছে। দুই বিধায়ক এই বিষয়ে একটা কথা কখনও বলেন না।’

সমস্ত কারখানায় আধুনিক মেশিনের সাহায্যে উৎপাদনের উপর জোর দেওয়া হচ্ছে। তাতে ম্যান পাওয়ার কমে যাচ্ছে। বক্তব্যে এই কথা তুলে মীনাক্ষী বলেন, ‘বেকার ছেলেমেয়েদের এইসব মেশিন চালানোর প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে না। তাঁরা কাজ পাবে কীভাবে? লেবার ওয়েলফেয়ার স্কিমগুলো উধাও হয়ে গিয়েছে। এই বিষয়ে কেউ একটা কথা বলছে না। বন্ধ সরকারি কারখানাগুলো খোলার বিষয়ে কারও মাথাব্যথা নেই। কারখানা থেকে লোহা, মেশিন চুরি হয়ে যাচ্ছে। নদী থেকে বালি চুরি হয়ে যাচ্ছে। পুলিশ-প্রশাসন নীরব।’

মীনাক্ষী আরও বলেন, ‘পশ্চিম বর্ধমানে একের পর এক কারখানা বন্ধ হওয়ায় এই জেলা থেকে ভিন রাজ্যে চলে যাচ্ছে তরুণ প্রজন্ম।’ যোগ করেন, ‘বাংলার ছেলেমেয়েরা এখন পরিযায়ী শ্রমিক। কিন্তু বিশ্বাস করুন, তাঁরা বাইরে গিয়ে ভালো নেই।’ কয়েকটি দুর্ঘটনার উদাহরণ দিয়ে মীনাক্ষী বলেন, ‘গত একমাস ধরে অ্যাম্বুল্যান্সে ভিন রাজ্য থেকে শুধু দেহ এসেছে।’ এদিনের সভা থেকে দলীয় কর্মীদের উদ্দেশে মীনাক্ষী বলেন, ‘মানুষের বাড়িতে যান। প্রতিটি বুথে যান। আমাদের বক্তব্য, সংবিধান রক্ষার কথা মানুষকে বলতে হবে।’

You might also like!