কলকাতা : বর্তমান ভারত সামরিকভাবে এতটাই শক্তিশালী হয়ে উঠেছে, যে কেউ দেশকে দমন করার, নত হওয়ার অথবা চোখ দেখানোর সাহস করতে পারে না। জোর দিয়ে বললেন কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা প্রতিমন্ত্রী সঞ্জয় শেঠ। তিনি বলেছেন, কয়েক বছর আগেও আমাদের সেনাবাহিনীর পর্যাপ্ত অস্ত্র এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় সম্পদ ছিল না, কিন্তু গত দশকে পরিস্থিতি দ্রুত পরিবর্তিত হয়েছে। এখন আমাদের সেনাবাহিনী কেবল স্বয়ংসম্পূর্ণই নয়, আমরা বিশ্বের প্রায় ১০০টি দেশে অস্ত্র সরবরাহ করতেও সক্ষম। কলকাতার রথীন্দ্র মঞ্চে শ্রী বড় বাজার কুমার সভা পুস্তকালয়ের তত্ত্বাবধানে আয়োজিত বিবেকানন্দ সেবা সম্মান অনুষ্ঠানে ভাষণ দেওয়ার সময় তিনি একথা বলেন।
মহাকুম্ভের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, এটি ছিল এমন একটি মহৎ অনুষ্ঠান যা সমগ্র বিশ্বের সামনে সনাতন সংস্কৃতির বিশেষত্বকে মহিমান্বিত করেছিল। মহাকুম্ভে কোনও ধরণের বৈষম্য দেখা যায়নি। সমাজের প্রতিটি শ্রেণীর মানুষ একসঙ্গে সঙ্গমে স্নান করেছিলেন। দেশবাসীকে বিকশিত ভারত গড়ার অঙ্গীকার গ্রহণের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ২০৪৭ সালে ভারত একটি বিকশিত দেশ এবং বিশ্বের নেতা হিসেবে নিজস্ব স্বাধীনতার ১০০ বছর পূর্ণ করবে।
অনুষ্ঠানে বেলডাঙার ভারত সেবাশ্রম সংঘের সন্ত স্বামী প্রদীপ্তানন্দ ওরফে কার্তিক মহারাজকে বিবেকানন্দ সেবা সম্মানে ভূষিত করা হয়। বিশেষ সম্মান হিসেবে তাঁকে ১ লক্ষ টাকার চেক এবং একটি শংসাপত্র প্রদান করা হয়। সম্মাননা গ্রহণের পর নিজের অনুভূতি প্রকাশ করে কার্তিক মহারাজ বলেন, এই সম্মাননা আমাকে আমার কর্তব্য এবং দায়িত্ব সম্পর্কে আরও সচেতন করে তুলেছে। এই ধরনের সম্মাননা আমাদের সমাজের প্রতি আরও দায়িত্বশীল হতে অনুপ্রাণিত করে। ধর্মান্তরকে একটি গুরুতর সমস্যা হিসেবে বর্ণনা করে তিনি এর সমাধান খুঁজে বের করার এবং পিছিয়ে পড়া ও আদিবাসী জনগণের উন্নয়নের জন্য নিরন্তর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাওয়ার সংকল্প ব্যক্ত করেন।
প্রধান বক্তা প্রখ্যাত সাংবাদিক বলবীর পুঞ্জ বলেন, ভারতে কেবল হিন্দুরাই আছেন। একজন বর্তমান এবং অন্যজন প্রাক্তন হিন্দু। আমাদের মধ্যে যদি কেউ প্রাক্তন হিন্দু হয়ে যায়, তাহলে আমাদের সংখ্যা কেবল কমে যাবে না বরং আমাদের শত্রুও বৃদ্ধি পাবে। হিন্দু সংস্কৃতি ইতিহাসের চেয়েও প্রাচীন, তাই এটি চিরন্তন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রখ্যাত আয়কর পরামর্শদাতা সজ্জন তুলসিয়ান, শিল্পপতি সজ্জন ভজনকা, সমাজসেবক লক্ষ্মী নারায়ণ ভালা, কুমার সভার সভাপতি মহাবীর প্রসাদ বাজাজ, অরুণ প্রকাশ মল্লবত এবং অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন ডঃ তারা দুগ্গড়।