আগরতলা : আগামী ১৫ নভেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে বিকশিত ভারত সংকল্প যাত্রা। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ১৫ নভেম্বর এই কর্মসূচির সূচনা করবেন। কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের বিভিন্ন প্রকল্প ও পরিষেবার সুযোগ জনগণের কাছে পৌঁছে দিতেই এই কর্মসূচি। ত্রিপুরাতেও এই কর্মসূচির সফল বাস্তবায়নের জন্য প্রশাসনিক তৎপরতা শুরু হয়ে গিয়েছে।
রাজ্য অতিথিশালায় এই কর্মসূচি নিয়ে এক পর্যালোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় উপস্থিত ছিলেন মুখ্যসচিব জে কে সিনহা ও কেন্দ্রীয় সরকারের কয়লা মন্ত্রকের অতিরিক্ত সচিব এম নাগারাজু। সভায় কেন্দ্রীয় অতিরিক্ত সচিব জানান, কর্মসূচি বাস্তবায়নে রাজ্য সরকারের দপ্তরগুলি ছাড়াও রাজ্যে কেন্দ্রীয় সরকারের যে সকল দপ্তর রয়েছে তাদেরও এগিয়ে আসতে হবে। তিনি বলেন, রাজ্যের ২৩টি মহকুমায় এই কর্মসূচি প্রচার গাড়ির সংস্থান রাখা হবে। প্রচারে বাংলা ও ককবরক ভাষাকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। এক্ষেত্রে আকাশবাণী ও দূরদর্শনকে অগ্রণী ভূমিকা নিতে হবে। সভায় মুখ্যসচিব জে কে সিনহা জানান, বিকশিত ভারত সংকল্প যাত্রা রূপায়ণে ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত ব্যবস্থা ও বিভিন্ন দপ্তরকে আন্তরিকতার সাথে কাজ করতে হবে।
পর্যালোচনাসভায় তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের সচিব ড. প্রদীপ কুমার চক্রবর্তী বলেন, জনধন যোজনা, অটল পেনশন যোজনা, আয়ুষ্মান ভারত সহ বিভিন্ন বীমা প্রকল্পের সুযোগ এবং কেন্দ্রীয় ফ্ল্যাগশিপ প্রকল্প ও পরিষেবাগুলিকে এই বিকশিত ভারত সংকল্প যাত্রায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এই কর্মসূচিকে সফল করে তুলতে গ্রাম পঞ্চায়েত, ভিলেজ কমিটি, আরবান এলাকা, ব্লক, মহকুমা, জেলা ও রাজ্যস্তরে প্রচার অভিযান সংগঠিত করা হবে। এই সংকল্প যাত্রায় স্বাস্থা শিবির, ক্যুইজ, আলোচনাচক্র, মতবিনিময় ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করা হবে। এছাড়া স্কুল ও কলেজের ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে সচেতনতামূলক কর্মসূচি নেওয়া হবে। প্রসঙ্গত, রাজো বিকশিত ভারত সংকল্প যাত্রা বাস্তবায়নে নোডাল দপ্তরের দায়িত্ব পালন করবে তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তর।