আগরতলা : ত্রিপুরার পর্যটন কেন্দ্রগুলিতে আগত পর্যটকদের সুযোগ সুবিধা প্রদানে আরও বেশি দায়িত্বশীল হওয়ার জন্য আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়ার আধিকারিকদের পরামর্শ দিলেন পর্যটনমন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী। শুক্রবার সচিবালয়ে আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়ার আধিকারিকদের সাথে এক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করেন পর্যটনমন্ত্রী।
বৈঠকে মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী বলেন, রাজ্যের পর্যটন কেন্দ্রগুলিতে স্থানীয় ও বহিঃরাজ্যের পর্যটকের সংখ্যা প্রতিবছরই বাড়ছে। পর্যটন শিল্পের বিকাশের মধ্য দিয়ে রাজ্যের অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করার বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে। এই সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে সরকার রাজ্যের পর্যটন কেন্দ্রগুলির পরিকাঠামোগত উন্নয়নের সাথে সাথে পর্যটকদের বিভিন্ন পরিষেবা প্রদানের ক্ষেত্রেও বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছে।
রাজ্যে আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়ার পৃথক সার্কেল অফিসের জন্য ইতিমধ্যেই পর্যটন দপ্তর থেকে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বৈঠকে পর্যটনমন্ত্রী ঊনকোটিতে একটি ক্যাফেটোরিয়া চালু করতে আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়ার আধিকারিকদের উদ্যোগী হতে বলেন। বৈঠকে স্বদেশ দর্শন প্রকল্প নিয়েও আলোচনা করা হয়।
বৈঠকে পর্যটন দফতরের অধিকর্তা তপন কুমার দাস জানান, রাজ্যের পর্যটন কেন্দ্রগুলিকে সাজিয়ে তুলতে বিভিন্ন পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। রাজ্যের ৮ টি ঐতিহাসিক স্থাপত্য আইজল আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়ার মাধ্যমে রক্ষণাবেক্ষণ করা হচ্ছে। এগুলি হলো শৈবতীর্থ ঊনকোটি, গোমতী জেলার গুণবতী মন্দির ও চতুর্দশ দেবতা মন্দির, ভুবনেশ্বরী মন্দির, জোলাইবাড়িস্থিত শ্যামসুন্দর আশ্রমটিলা, পশ্চিম পিলাকের পূজাখোলা, পশ্চিম পিলাকের ঠাকুর বক্সনগরের প্রাচীন ধ্বংসাবশেষ।