Travel

1 year ago

Travel:মধুচন্দ্রিমা বা পরিবার নিয়ে নির্জনে - পাহাড়ি গ্রাম 'লাংসেল' - মন উজাড় করা আনন্দ

travel6
travel6

 

দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ   নতুন জীবনসঙ্গীকে নিয়ে বা ব্যস্তজীবনে দু'দন্ড বিশ্রামের জন্য কোথায় যাওয়া যায়, তা এক মুহূর্ত না ভেবে আমাদের পরামর্শে এক ছুটে চলে যান পাহাড়ি গ্রাম 'লাংসেল'। 'লাংসেল' আপনাকে হতাশ করবে না,তা গ্যারেন্টি দিয়ে বলতে পারি। জলপাইগুড়ি থেকে প্রায় ৯০ কিলোমিটার দূরে লাংসেল । পাথর,ঝোড়া, চা বাগান থেকে ১২ কিলোমিটার চড়াই রাস্তা পার হয়ে তবে পৌঁছতে হবে এই গ্রামে। লাংসেলের তাপমাত্রা সবচেয়ে আকর্ষণের। না খুব ঠান্ডা আবার না খুব গরম। সম্পর্কের বন্ধন দৃঢ় করতে এমন আবহাওয়ার জুড়ি মেলা ভার। চারদিকে পাহাড় দিয়ে ঘেরা এই গ্রাম। পাহাড় বেয়ে নেমে আসছে ঝর্নার জল। লাংসেলের প্রতিটি রাস্তা কাঁচা। পাহাড়ের গায়ে এমন সাজানো-গোছানো গ্রাম যে থাকতে পারে, এখানে না এলে তা বোঝা যাবে না। লাংসেল পায়ে হেঁটে ঘোরার জন্য আদর্শ। কিংবা ছোট ছোট ট্রেকও করতে পারেন। মন্দ হবে না। নিজেকে আর নিজের প্রিয়জনকে  চিনে নেওয়ার আদর্শ জায়গা লাংসেল।

 একেবারে সবুজে ঘেরা লাংসেলের প্রায় প্রতি মোড়েই চোখে পড়বে পাহাড়ি ঝর্না নিজের মতো গান করে চলছে। গোটা গ্রাম জুড়ে ছিমছাম কাঠের ঘর। আকাশে পেঁজা তুলোর মতো মেঘ ভেসে বেড়াচ্ছে। সঙ্গীর হাত ধরে হারিয়ে যেতে পারেন সেই পাহাড়ি পরিবেশে। নানা ধরনের পাহাড়ি ফুল চারপাশটা রঙিন করে তুলেছে। রাতে ঝিঁঝিঁ পোকার শব্দ আর মিটিমিটি আলোয় ভরে যাবে মন। এখানকার অন্যতম একটি আকর্ষণের জায়গা হল এলাচের বাগান। লাংশেলে এলে সেখানে যেতেই হবে। লাংসেলের পাশেই আরও একটি গ্রাম রয়েছে 'ঝান্ডি'। লাংসেল থেকে সেখানকার দূরত্ব প্রায় ৩ কিলোমিটার দূরে। অপরূপ সুন্দর গ্রাম। 

  যাওয়া - হাওড়া থেকে দূরপাল্লার ট্রেনে করে নামতে হবে নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনে। সেখান থেকে গাড়ি ভাড়া করে কালিম্পং। আবার সেখান থেকে আরও একটি গাড়িতে অল্প কিছু ক্ষণের পথ গেলেই পৌঁছবেন লাংসেলে।

থাকা - লাংসেলে বেশ কয়েকটি সুন্দর হোমস্টে রয়েছে। যাওয়ার আগে সেগুলির মধ্যে কোনও একটি বেছে নিতে পারেন।

এবার বেরিয়ে পড়ুন ওই মিষ্টি গ্রাম দেখতে।

You might also like!