দুরন্তবার্তা ডিজিটাল ডেস্ক:আজকের দিনে শরীরচর্চা, ওজন নিয়ন্ত্রণ বা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে অনেকেই প্রোটিন পাউডার গ্রহণ করছেন। জিমে যাওয়া নতুন প্রজন্ম থেকে শুরু করে বৃদ্ধরাও এখন প্রোটিনের গুরুত্ব বোঝেন। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে—সব প্রোটিন কি সবার জন্য? বাজারে রয়েছে নানা রকমের প্রোটিন পাউডার, কিন্তু সবকটি শরীরের উপকার করে এমনটা নয়। বরং ভুল প্রোটিন বেছে নিলে হতে পারে হজমের সমস্যা, কিডনির চাপ, এমনকি ওজন বৃদ্ধিও।
প্রোটিনের ধরন: উদ্ভিদ এবং প্রাণী দুই ধরনের উৎস থেকে প্রোটিন মেলে। বাজারে রয়েছে ওয়ে প্রোটিন, উদ্ভিজ্জ প্রোটিন। আবার ডিম-কোলাজেনের মতো প্রোটিনও পাওয়া যায়। বিভিন্ন রকম প্রোটিন হজমের সময়সীমাও ভিন্ন। কেন প্রোটিন খাচ্ছেন তা জানা দরকার। কারও লক্ষ্য থাকে পেশিবহুল শরীর পাওয়া, কেউ চান মেদ ঝরাতে। সেটি বুঝে প্রোটিন পাউডার বাছাই প্রয়োজন।
উপাদান: প্রোটিন পাউডারের উপাদানগুলি ভাল করে পড়ে নিয়ে তবেই কেনা ভাল। অনেকের বহু জিনিসে অ্যালার্জি থাকে, তাই কেনার আগে যাচাই করে নিন। প্রোটিনের উৎস কী, কৃত্রিম কোনও জিনিস মেশানো হচ্ছে কি না, বুঝে নেওয়া প্রয়োজন। হজমের সমস্যা থাকলে খুব বুঝে প্রোটিন বাছাই করতে হবে।
প্রোটিনের মাত্রা: প্রোটিন শরীরের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় হলেও খাওয়ার মাত্রা খাকা দরকার। কতটা প্রোটিন খেতে হবে জেনে তবেই প্রোটিন পাউডার খাওয়া প্রয়োজন। কেউ পেশি গঠনের জন্য প্রোটিন খেলে তার মাত্রা একরকম হবে আবার শারীরিক সুস্থতার জন্য হলে, সেই পরিমাণ আলাদা হবে। পাউডারে প্রোটিনের মাত্রা কতটা, জানা আবশ্যক।
স্বাদ: প্রোটিন পাউডারের স্বাদ ভাল না লাগলে নিয়মিত তা খাওয়া মুশকিল হতে পারে। বাজারচলতি প্রোটিন পাউডারও বিভিন্ন ধরনের হয়। কোনটির স্বাদ কেমন হতে পারে, জেনেবুঝে কিনুন।
কী ভাবে খাবেন? দুধ বা জলে মিশিয়ে প্রোটিন পাউডার খাওয়া যায়। যোগ করা যায় স্মুদিতে। যাঁদের দুগ্ধজাত উপাদান খেতে সমস্যা, তাঁরা উদ্ভিজ্জ প্রোটিন পাউডার বেছে নিতে পারেন বা খাওয়ার সময় দুধ এড়াতে পারেন।