
দূরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্ক: প্রেমের সম্পর্কই হোক বা অন্য কোনো সংযোগ, নিজের ইচ্ছা প্রতিষ্ঠা করতে অনেকেই আবেগিক চালবাজি (ইমোশনাল ম্যানিপুলেশন) করেন। আবেগিক চালবাজি সবসময় দৃশ্যমান হয় না। এটি অগোচরে আপনার মানসিকতায় স্থান করে নেয়। সামান্য ঘটনাগুলির মাধ্যমে তা পরিস্ফুট হয়ে ওঠে। আপনি নিজের প্রতিই সন্দেহ পোষণ করতে শুরু করেন। অথবা, কোনো বিশেষ কারণ ছাড়াই অপরাধবোধ আপনার মনকে গ্রাস করে। মন অস্বাভাবিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়ে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এটি আপনার হতাশার (অবসাদ) কারণ হয়ে উঠতে পারে। অতএব, কে আপনার সত্যিকারের ভালো চায় এবং কে আপনাকে আবেগগতভাবে প্রভাবিত করছে, তা নির্ণয় করা শিখুন। বাস্তবতা (মুখ) এবং ভান (মুখোশ)-এর পার্থক্যটি উপলব্ধি করুন। কী কী ইঙ্গিত দেখলে আপনার মনে হবে যে আপনি আবেগিক চালবাজির শিকার হচ্ছেন?
নিজের উপর সন্দেহ: ম্যানিপুলেটরেরা সর্ব প্রথম চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেয় আপনার স্মৃতিশক্তির দিকে। ঘটনাকে সামান্য ঘুরিয়ে দেওয়া, অস্বীকার করা। যে সত্য দু’জনেই, তাকে সামান্য অন্যভাবে প্রেজেন্ট করা। একটা সময় আপনি ভাবতে শুরু করবেন, বোধহয় ভুলটা আপনারই। নিজের উপর সন্দেহই তাঁদের অস্ত্র। যাতে আপনি তাঁদের কথাকেই বেশি গুরুত্ব দেন।
অপরাধবোধ: গিল্ট বা অপরাধবোধের মধ্যে ফেলা আরেকটি কৌশল। আপনি নিজের সীমার মধ্যে থাকার চেষ্টা করলে এমন ভান করবে যেন সে কষ্ট পেয়েছে। আপনাকে স্বার্থপর প্রমাণের চেষ্টা করবে। যার ফল মারাত্মক? খেয়াল করলে দেখবেন আপনি এমন ঘটনার জন্য ক্ষমা চাইছেন, যা আপনি করেননি। যার দায় আপনার নয়। কারও আচরণ আপনাকে বার বার মনে করায় যে তাঁর সুখ–দুঃখের দায় আপনার, তা হলে তা ভালোবাসা নাকি ম্যানিপুলেশন ভেবে দেখুন।
কথা ও কাজের মিল থাকে না: শুধু কথা শুনে নয়, কাজ দেখে বিচার করা জরুরি। ম্যানিপুলেটররা প্রতিশ্রুতি দিতে ওস্তাদ। 'সব ঠিক হয়ে যাবে, আমি পাল্টে যাব' গোছের ব্যপার। তবে কাজে তার কোনও প্রতিফলন দেখা যায় না। শুধু অজুহাত বদলে বদলে যায়। আর আপনি মায়ায় পড়ে আবারও বোকার মতো বিশ্বাস করেন তাঁকেই।
সম্পর্কে একমাত্র সত্যি সে নিজে: আপনি কাউকে আপনার যন্ত্রণা শেয়ার করলেন। দেখলেন কয়েকটা কথার পরেই বিষয়টা ঘুরে গিয়ে তাঁদের কষ্টে এসে দাঁড়াল। আপনি সমস্যার কথা বললেই, তাঁরা নিজেরটা আরও বড় করে দেখাবে। একটা সময় পরে আপনিই চুপ করে যান। কারণ জানেন—যাই বলুন না কেন, তা আবার ঘুরেফিরে ওই ব্যক্তিতে এসেই আটকাবে।ইমোশনাল ম্যানিপুলেশন ঠিক এমনই—চোখে না পড়লেও ভেতরে ভেতরে আপনাকে ভেঙে দেয়। নিজের অনুভূতিকে গুরুত্ব দিন।
