kolkata

1 year ago

The Indian Coffee House: অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ হয়ে গেল শহরের ঐতিহ্যবাহী কফি হাউজ

The Indian Coffee House
The Indian Coffee House

 

দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ কফির কাপ আর ঠোঁটের ডগায় জলন্ত চারমিনার! কিছু মনে পড়ে গেল কী? বাজার থেকে কবেই উধাও হয়েছে সেই ব্র্যান্ড, এবার বদলে যেতে চলেছে এই ছবিও। ঐতিহ্যবাহী কফি হাউজের সেই চেনা ছবি তেই ছেদ পড়ল।অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ হয়ে গেল শহরের ঐতিহ্যবাহী কফি হাউজের যাদবপুর শাখা। যা নিয়ে নিয়মিত ক্রেতাদের অনেকেই বেশ ক্ষুব্ধ। পাশাপাশি, কফি হাউজ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে পুলিশে শারীরিক হেনস্থার অভিযোগ করেছেন এক মহিলা ক্রেতা। পাল্টা তাঁর বিরুদ্ধে পুলিশে গিয়েছেন কফি হাউজ কর্তৃপক্ষও। 

দিন ১৫ আগের কথা ক্রেতাদের অভিযোগ, একটি নোটিস দিয়ে আচমকাই জানানো হয়, সেখানে ল্যাপটপ নিয়ে কাজ করা যাবে না। ল্যাপটপে এই ‘ফুল স্টপ’ নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়। ২১টি টেবিল রয়েছে কফি হাউজের যাদবপুর শাখায়। সেখানে ১২০ জন মতো ক্রেতা যাতায়াত করেন নিয়মিত। এঁদের মধ্যে হাতে গোনা কয়েকজনই ল্যাপটপ নিয়ে কাজ করেন বলে ক্রেতাদের দাবি।

পালটা কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, কিছু লোক সিট আটকে দীর্ঘক্ষণ ল্যাপটপে কাজ করায় ব্যবসা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছিল। তাই যাদবপুর কফি হাউজ আপাতত বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এরই মধ্যে ক্রেতারা খোঁজ নেন কলেজ স্ট্রিটে। জানা যায়, সেখানে কোনও নোটিস পড়েনি। তা হলে একই কর্তৃপক্ষের অধীন শহরের প্রাচীন দুই কফি হাউজে আলাদা নিয়ম কেন, তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে।

৭৫ জন ক্রেতা সই সংগ্রহ করে এই নোটিস প্রত্যাহারের জন্য কলেজ স্ট্রিট কফি হাউজে গিয়ে ডেপুটেশন জমা দেন। তারপর কিছুদিন সব শান্ত ছিল। অভিযোগ, দিন তিনেক আগে এক মহিলা ক্রেতা সেখানে ল্যাপটপ নিয়ে কাজ শুরু করলে কয়েক জন কর্মী বাধা দেন। তাঁকে ল্যাপটপ বন্ধ করতেও বলেন। প্রতিবাদ করেন ওই ক্রেতা। শুরু হয় উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়। অভিযোগ, সেই সময়ে ওই মহিলাকে উদ্দেশ করে কটূক্তি করা হয়। এবং এমন সময়ে ল্যাপটপ সংক্রান্ত নোটিসটি মহিলা ছিঁড়ে দেন বলে অভিযোগ।তারপর যাদবপুর থানায় অভিযোগ জানান ওই ক্রেতা। পাল্টা অভিযোগ জানায় কফি হাউজও। এই ঘটনার পর যাদবপুর কফি হাউজটি আর খোলেনি।

কফি হাউজের কো-অপারেটিভ সোসাইটির প্রেসিডেন্ট মহম্মদ জাভেদ বলেন, ‘দীর্ঘ দিন ধরে একদল লোক ল্যাপটপ নিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা টেবিল দখল করে রাখছিলেন। যাদবপুর কফি হাউজে এমনিতেই জায়গা কম।তারপর অনেকক্ষণ ধরে কেউ একটা-দুটো অর্ডার দিয়ে টেবিল দখল করে রাখলে আমাদের অন্য কাস্টমাররা বসার জায়গা পাচ্ছিলেন না।’ ব্যবসার ক্ষতি করে প্রতিষ্ঠান চালানো সম্ভব হচ্ছিল না বলেই আপাতত তাঁরা কফি হাউজটি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানান তিনি ।

You might also like!