দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ নানা সমস্যার কথা জানিয়ে কলকাতা পুরসভার কন্ট্রোল রুমে প্রতি সপ্তাহে গড়ে ১৫-২২টি অভিযোগ আসে। হোয়াটসঅ্যাপ-ইমেলেও অভিযোগ জানান মাসে অন্তত ৪০-৫০ জন। কিন্তু সময়ে সুরাহা হয় না বলে অভিযোগ। সমস্যার সমাধানে এ বার পৃথক টিম তৈরি করলেন পুর-কর্তৃপক্ষ। ওই টিমে পুরসভার ১৪টি বিভাগের একজন করে অফিসারের পাশাপাশি থাকছেন মেয়রের অফিসের তিন অফিসারও।
যাঁরা পুর-পরিষেবা সংক্রান্ত অভিযোগ তড়িঘড়ি সমাধানের চেষ্টা করবেন। সেই সঙ্গে কোনও পরামর্শ এলে তা বাস্তবায়িত করার জন্যেও সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মীদের সঙ্গে কথা বলবেন তাঁরা। এক পুরকর্তার কথায়, ‘ফোন ছাড়াও অনলাইনে এখন প্রচুর মানুষ পুর-পরিষেবা সংক্রান্ত অভিযোগ জানান। সেগুলির যাতে তাড়াতাড়ি সমাধান হয়, সে জন্যেই এই পদক্ষেপ।’
সরকারি সূত্রে খবর, গ্রিভ্যান্স সেলে অভিযোগ জমা হওয়ার কত দিনের মধ্যে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, সে বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট নিয়মিত নবান্নে জানানোর কথা সম্প্রতি বলা হয়েছে পুরসভাকে। ওই তথ্য সংরক্ষিত রাখা হবে ওয়েস্ট বেঙ্গল স্টেট ডেটা সেন্টারে। সাধারণ মানুষের সমস্যার সমাধানে টোল ফ্রি ফোন নম্বর থেকে শুরু করে ‘টক টু মেয়র’ কর্মসূচি অনেক আগেই চালু করেছে পুরসভা।
সেই সঙ্গে রয়েছে গ্রিভ্যান্স সেল। পুরসভার অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে গিয়ে নাগরিকরা অভিযোগ জানাতে পারেন গ্রিভ্যান্স সেলে। পুরসভায় মূলত যে সব অভিযোগ বেশি আসে তার মধ্যে রয়েছে বেআইনি নির্মাণ, মিউটেশন সংক্রান্ত সমস্যা, খারাপ রাস্তা ও পানীয় জলের ঘাটতির মতো বিষয়। পুরসভায় অভিযোগ জানানোর পরেও সুরাহা না হওয়ায় বাসিন্দাদের অনেকেই নবান্নে অভিযোগ জানান।
এ বার তাই বিশেষ নজরদারি চালাতে চাইছে নবান্ন। কয়েক দিন আগেই কলকাতা পুরসভার যুগ্মকমিশনার এ বিষয়ে একটি নির্দেশিকা জারি করেছেন। কী ভাবে নবান্নে তথ্য পাঠাতে হবে, সে জন্যে সব বিভাগের কর্মীদের প্রশিক্ষণ দেওয়াও শুরু হচ্ছে। অভিযোগ পাওয়ার পর কী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে, তা সরাসরি ফোনে বা এসএমএস মারফৎ জানিয়ে দেওয়া হবে অভিযোগকারীকেও।