কলকাতা, ৯ আগস্ট : 'মমতার' পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুললেন আর জি করের নিহত চিকিৎসকের বাবা-মা। অভিযোগ, পুলিশের লাঠির আঘাতে নির্যাতিতার মায়ের কপাল ফুলে গিয়েছে। যদিও বাধা বিপত্তি উপেক্ষা করেই কৌস্তভ বাগচিদের সঙ্গে নিয়ে নবান্নের দিকে এগোনোর চেষ্টা করেন তাঁরা।
নিহত চিকিৎসকের মা সংবাদমাধ্যমে বলেন, “আমরা নিরস্ত্র। বাড়ি থেকে বেরনোর পর থেকেই আমাদের আটকে দেওয়া হচ্ছিল। তারপরও এগিয়ে যাওয়ার পর গায়ে হাত তুলেছে পুলিশ। আমার হাতের শাঁখা ভেঙে দেওয়া হয়েছে। আগে মেয়েকে মেরেছে, এবার আমাদের মারতে চাইছে। এর শেষে দেখে ছাড়ব।" শনিবার সকাল থেকেই নবান্ন অভিযান ঘিরে সতর্ক ছিল পুলিশ। রাস্তায় রাস্তায় ছিল লোহার ব্যারিকেড। সাঁতরাগাছিতেও ব্যারিকেড ভেঙে মিছিল এগনোর চেষ্টা ঘিরে জোর উত্তেজনা তৈরি হয়। পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট, জলের বোতল ছোড়া হয়।
বিদ্যাসাগর সেতুতে যাতে কোনও মিছিল উঠতে না পারে, তার জন্য সেতুতে ওঠার সব রাস্তাই ব্যারিকেড দিয়ে ঘেরা হয়। টার্ফ ভিউ রোড, হেস্টিংস মাজার, ফারলং গেট ও খিদিরপুর রোডে অ্যালুমিনিয়ামের গার্ডওয়াল বসানো হয়। দুপুরের আগেই সমস্ত মিছিল আটকে দেয় পুলিশ। নবান্নের সামনে কেউ পৌঁছতে পারেনি। শহরের এই পরিস্থিতিতে নাকাল হন নিত্যযাত্রীরা। মেট্রো ও বাস পরিষেবা সচল থাকলেও বেশ কিছু জায়গায় জমায়েতের কারণে যানজট তৈরি হয়।