
দূরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্ক: রাজ্যের মুকুটে যুক্ত হলো আরও একটি সাফল্যের পালক। বাংলার 'যাত্রী সাথী' প্রকল্প ভারত সরকারের আবাসন ও নগর বিষয়ক মন্ত্রক (MoHUA) কর্তৃক শ্রেষ্ঠত্বের পুরস্কার অর্জন করেছে। এই পুরস্কারের অংশ হিসেবে একটি ট্রফিও প্রদান করা হয়েছে।মখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই আনন্দের খবরটি তাঁর এক্স (পূর্বে টুইটার) হ্যান্ডেলে একটি বার্তা দিয়ে নিশ্চিত করেছেন। তিনি 'যাত্রী সাথী' প্রকল্পের এই বিরাট সাফল্যে তাঁর উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন।পাশাপাশি, মুখ্যমন্ত্রী এই কাজের সঙ্গে যুক্ত সকল কর্মীকে তাঁদের নিরলস প্রচেষ্টার জন্য আন্তরিক অভিনন্দন জানিয়েছেন। এটি রাজ্য সরকারের জনকল্যাণমূলক উদ্যোগগুলির জাতীয় স্তরে স্বীকৃতিরই ইঙ্গিত বহন করছে।
বেশ অনেক বছর ধরেই বাস, ট্যাক্সির পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন শহরে পরিবহণ মাধ্যম হিসেবে ‘অ্যাপ ক্যাব’ পরিষেবা উঠে এসেছে। অন্যান্য রাজ্যের শহরগুলিতে বিভিন্ন বেসরকারি অ্যাপ ক্যাব সংস্থা গাড়ি চালায়। বাংলার কলকাতা-সহ শহরতলিতেও একইভাবে বেসরকারি ক্যাব চলাচল করে। বিভিন্ন সময় অ্যাপ ক্যাবের ক্ষেত্রে সমস্যা দেখা দেয় বলে অভিযোগ। বিভিন্ন সময় লাগামছাড়া ভাড়া নেওয়ার অভিযোগও ওঠে। অনেক চালকদের থেকে দুর্ব্যবহারের অভিযোগ সামনে আসতে থাকে। দিনের পর দিন ওইসব অভিযোগের পাহাড় জমছিল বলে মত ওয়াকিবহাল মহলের। যাত্রী, সাধারণ মানুষদের ওইসব অ্যাপ ক্যাব সংস্থাগুলির উপর ক্ষোভও বাড়ছিল দিন দিন।
সেই আবহে রাজ্য সরকার যাত্রীদের সুবিধার জন্য ‘যাত্রী সাথী’ অ্যাপ চালু করে। এই অ্যাপের মাধ্যমে সহজেই গন্তব্যে যাওয়ার জন্য গাড়ি বুক করতে পারা যায় বলে খবর। ভাড়াও অনেকটাই সাধারণের নাগালের মধ্যে। যাত্রীরা এই অ্যাপের মাধ্যমে গাড়ি বুক করে উপকৃত হয়েছেন বিভিন্ন সময়। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের আইটি অ্যান্ড ই বিভাগের মাধ্যমে এই পরিষেবা সাধারণ মানুষরা এই পরিষেবা পান। এবার কেন্দ্রীয় সরকারের এমওএইচইউএ বাংলার এই ‘যাত্রী সাথী’কেই শ্রেষ্ঠ হিসেবে বেছে নিল।
এদিন মুখ্যমন্ত্রী এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, “এই অসাধারণ কাজের সঙ্গে যুক্ত সকলকে আমার আন্তরিক অভিনন্দন। আবারও, বাংলা আজ যা ভাবে, ভারত আগামী কাল তা ভাবে।” সেরা নগর পরিবহন প্রকল্পের জন্য ট্রফিও দেওয়া হয়েছে। জানা গিয়েছে, এখনও অবধি ১.৪২ কোটিরও বেশি যাত্রা হয়েছে সম্পন্ন হয়েছে এই পরিষেবায়। ১,৩ লক্ষেরও বেশি চালক এই কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন। কলকাতা ও শহরতলির ৪৫ লক্ষের বেশি যাত্রী উপকৃত হয়েছেন এই যাত্রী সাথীর মাধ্যমে। বাংলার এই পরিষেবা দেশের অন্যান্য বেশ কয়েকটি রাজ্যও অনুকরণ করেছে বলে খবর।
