কলকাতা, ২৩ আগস্ট : ৩১ আগস্ট গণেশ চতুর্থী। কলকাতায় গত কয়েক বছরে গণেশ পুজোর হিড়িক লেগেছে। এখন মহা ধূমধাম করে পুজোর আয়োজন করা হয়। কয়েক বছর আগে এই দৃশ্য ভাবাই যেত না। মহারাষ্ট্রের মতো গণেশ পুজো বারোয়ারি পুজোর চেহারা নিয়েছে বললে ভুল বলা হবে না।
কলকাতায় এতদিন ধরে বড়সড় করে দুর্গাপুজো হয়ে আসছে। তাক লেগে যায় সেগুলি দেখে। তাকে ঘিরে কত আয়োজন করা হয়। থিম থেকে আলো, মণ্ডপে ঢোকার লাইন থেকে বিশেষ পাস, আয়োজনের এতটুকু খামতি থাকে না। অনেকটাই সেই পথেই হাঁটছেন কলকাতার গণেশ পুজো আয়োজকরা।যেমন খুঁটি পুজোর আয়োজন। কলকাতার বিভিন্ন এলাকার পুজোর আয়োজকরা ব্যবস্থা করেছিলেন খুঁটি পুজোর।
কলকাতায় গণেশ পুজোর সংখ্যা বেড়েছে। এর ফলে সুবিধা হয়েছে কলকাতার মৃৎশিল্পীদের। তাঁদের হাতে বাড়তি কাজ মিলেছে। ভারতের অন্যতম সেরা মৃৎশিল্পী মিন্টু পাল এই প্রতিবেদককে জানালেন, “আগে পাড়ায় পাড়ায় বিশ্বকর্মা পুজো হত। এখন সেই পুজো কমেছে। বেড়েছে গণেশ পুজো। আমি নিজেই আটটি প্রতিমা করেছি। কুমোরটুলির পরিচিত শিল্পীদের অনেকেই গণেশ তৈরি করছে। গত দুবছর করোনার জন্য এই পুজোয় কম জাঁকজমক হয়েছে। এবার বাধা কেটেছে অনেকটাই।
ভবানীপুরের গণপতি ভক্ত মণ্ডল পুজো-র থিমে নজর কাড়ে। গত বছরের থিম ছিল করোনা-বিনাশ। গণেশ করোনাকে নাশ করছে। গণেশ চতুর্থীর দিন জ্বালানো হয় ১০৮টি প্রদীপ। পুজোর আয়োজক গোপী ঠক্কর বছরভর ব্যস্ত থাকেন এই পুজো নিয়ে।
আলো দিয়ে সাজানো হচ্ছে সল্টলেক মৈত্রী সঙ্ঘর মণ্ডপ। মানুষ দূর থেকে দেখতো পাবেন। চন্দনগরের আলো ব্যবহার করা হয়েছে। পুজো কমিটির এক্জিকিউটিভ সদস্য শুভজিৎকুমার দে জানান, বাইরে থেকে যাতে সবাই দেখতে পান, সে ব্যবস্থা করা হয়েছে। বৈশাখী যুব ইউনাইটেড ক্লাব
ওই ক্লাবের সভানেত্রী অনিতা মণ্ডল জানান, তাঁদের গণেশ পুজোয় দূর দুরান্ত থেকে আসেন ভোগের আয়োজনে। ভবানীপুর গণপতি উৎসব কমিটিতে
থাকে জাগরণ-সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। পুজো কমিটির সম্পাদক কুণাল সিং বলেন, জাগরণ করাই। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। চারদিনের পুজো হচ্ছে। গণেশ পুজো-র আয়োজন করা হয়েছে ‘দমদম বন্ধুবান্ধব ক্লাব’-এও। পোস্তা বাজার মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশন ধুমধাম করে পুজোর আয়োজন করছে । ১১ বছর ধরে পুজো হচ্ছে সেখানে।