দুরন্তবার্তা ডিজিটাল ডেস্ক : মধ্যরাতে মল্লিক বাড়িতে এক আবেগঘন চমক। চারদিক ভরে গিয়েছে প্রিয় ফুলের সুগন্ধে। স্ত্রীর জন্মদিনে অভিনেতা ও বিধায়ক কাঞ্চন মল্লিক যেন নিজের সমস্ত ভালবাসা ঢেলে দিলেন একটুখানি মুহূর্তে। রাত ১২টা বাজতেই কেক, হাতে লেখা চিঠি আর একগুচ্ছ প্রিয় ফুল নিয়ে হাজির তিনি। শ্রীময়ী চট্টরাজের মুখে বিস্ময়ের হাসি— এ যে জন্মদিনের এক অপূর্ব উপহার!
৩০ জুন শ্রীময়ীর জন্মদিন। রবিবার রাত পেরোনোর সঙ্গে সঙ্গেই শুরু হয়েছে উদ্যাপনের পালা। এ বার কৃষভিকে কোলে নিয়েই তাঁর প্রথম জন্মদিন, তাই অনুভূতিও যেন একটু অন্য রকম। গত মে মাসে কাঞ্চনের জন্মদিনে শ্রীময়ী চমকে দিয়েছিলেন এক বিশেষ পরিকল্পনায়— কলকাতার এক রেস্তরাঁয় ছিল চুপিসারে আয়োজন। সারা দিন কিছুই বুঝতে না দিয়ে রাতে উপহার দিয়েছিলেন স্মরণীয় এক সন্ধে। এ বার পালা কাঞ্চনের। তবে কি স্ত্রী শ্রীময়ীর জন্য গোপনে তিনিও কিছু পরিকল্পনা করে রেখেছেন? অপেক্ষা শুধু পর্দা ওঠার!
এক সাক্ষাৎকারে অভিনেতা বললেন, “মাঝ রাতেই তো চমকে দিয়েছি ওকে।” বিধায়ক জানালেন, প্রিয় চকোলেট আর ফুলের তোড়া উপহার দিয়েছেন। সেই সঙ্গে বাড়িতে নিয়ে গিয়েছিলেন কেক। কাঞ্চন বললেন, “আমি, কৃষভি আর শ্রীময়ী ছিলাম। তিন জনে খুব উপভোগ করেছি এই একান্ত সময়।” হাতে লিখে চিঠি উপহার দিয়েছেন তিনি। সেই সঙ্গে খুঁজে খুঁজে নিয়ে গিয়েছেন শ্রীময়ীর প্রিয় প্রসাধনী। বিশেষ দিন উপলক্ষে কাঞ্চন কি শ্রীময়ীকে কিছু বলতে চান? তিনি বললেন, “কিছু দিন আগেও আমার মন্তব্য বাক্সে দেখেছি এক জন মৃত্যু কামনা করেছেন। তাই শ্রীময়ীকে বলতে চাই, লোকে অনেক কথা বলবে। কারও কথায় কান দেওয়ার প্রয়োজন নেই। আমরা যেন নিজেদের মতো ভাল থাকি।”
তবে এখন আর শুধু দু’জনের ভাললাগা, ভাল থাকা নয়। ভাল রাখার মতো এক ছোট্ট প্রাণ রয়েছে তাঁদের সঙ্গে। তাই শ্রীময়ীকে কাঞ্চন বলতে চান, “কৃষভিকে যাতে ভাল ভবিষ্যৎ দিতে পারি সেই চেষ্টা যেন করি আমরা। তুমি যেমন ছিলে তেমনই থেকো। খুব ভালবাসি, ভাল থেকো।”