গান্ধীনগর, ২৩ জুন : সোমবার গুজরাটের ভিসাবদর এবং কাদি বিধানসভা আসনে উপনির্বাচনের ভোট গণনা চলছে। ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) প্রার্থী রাজেন্দ্রকুমার (রাজুভাই) কাদি বিধানসভা আসনে আছেন। আম আদমি পার্টির (এএপি) প্রার্থী গোপাল ইতালিয়া ভিসাবদর আসনে রয়েছেন। এই কেন্দ্রে গত ভোটেও জয়ী হয় আপ। তবে সেই বিধায়ক ২০২৩ সালে আপ ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন। উপনির্বাচনে এই আসন আপ-ই ধরে রাখল। পাশাপাশি পাঞ্জাবের একটি আসনেও জয়ী হয়েছেন আপ প্রার্থী।গত ১৯ জুন নদিয়ার কালীগঞ্জ ছাড়াও উপনির্বাচন হয়েছে গুজরাটের কাদি ও বিসবদার বিধানসভা কেন্দ্রে। ভোট হয় কেরালার নীলাম্বুর, পাঞ্জাবের লুধিয়ানা পশ্চিমে। সোমবার উপনির্বাচনের ফল প্রকাশ হতেই দেখা যায় পাঁচ বিধানসভা কেন্দ্রের দু’টিতে জয়ী হয়েছে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের দল আপ। তৃণমূল জিতেছে একটিতে, বিজেপি পেয়েছে একটি এবং একটিতে জিতেছে কংগ্রেসের ইউনাইটেড ডেমোক্রেটিক ফ্রট বা UDF। আপের দখলে গুজরাটের বিসবদার, পাঞ্জাবের লুধিয়ানা পশ্চিম বিধানসভা কেন্দ্র। গুজরাটের কাদিতে জিতেছে বিজেপি। কেরালার নীলাম্বুরে জিতেছে কংগ্রেস। নদিয়ার কালীগঞ্জে জিতেছে তৃণমূল।
আপের এই ফলাফলের পরে পাঞ্জাবের আপ ইনচার্জ মণীশ সিসোদিয়া বলেন, ‘গোপাল ইটালিয়া জিতেছেন গুজরাটের বিসবদারে, সঞ্জীব আরোরা জিতেছেন লুধিয়ানায়। ইটালিয়া একজন শার্প লিডার। দলের প্রত্যেক কর্মীর জন্য এটা নিঃসন্দেহে বড় জয়। এই দু’টো আসনই খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’
একই সঙ্গে মণীশ জানান, এই জয় আসলে সেমি-ফাইনালে জয়। এখনও ফাইনাল ম্যাচ বাকি। প্রসঙ্গত, ২০২৭ সালে পাঞ্জাবে বিধানসভা ভোট। বিসবদারে বিজেপির কিরীট পাটেলকে হারিয়েছেন গোপাল ইটালিয়া। গত ভোটে এই আসনের জয়ী বিধায়ক ভূপেন্দ্র ভয়ানি ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে আপ ছাড়েন, যোগ দেন বিজেপিতে। তবে আপের আসন যে টলেনি, ভোটের ফলাফলে তা প্রমাণ হলো। কংগ্রেসের ভারতভূষণ আশুকে হারিয়ে লুধিয়ানা পশ্চিমে জয়ী হন আপের সঞ্জীব আরোরা।
অন্য দিকে কংগ্রেসের রমেশ চাবড়াকে হারিয়ে গুজরাটের কাদিতে জয়ী হন বিজেপির রাজেন্দ্রকুমার চাবড়া। পিনারাই বিজয়নের কেরালায় কংগ্রেসের আর্যদান শৌকথ হারিয়েছেন সিপিএমের এম স্বরাজকে। নীলাম্বুরে জয়ের পরে প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বঢ়রা এক্স হ্যান্ডলে লেখেন, ‘আমরা একটা টিম হিসেবে কাজ করেছি, লক্ষ্যও কিন্তু একটাই ছিল। আর্যদান শৌকথকে শুভেচ্ছা।’
নদিয়ার কালীগঞ্জে জয়ী হয়েছেন তৃণমূলের আলিফা আহমেদ। কংগ্রেসের কাবিল উদ্দিন শেখ ও বিজেপির আশিস ঘোষের মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই চলে। তবে চূড়ান্ত গণনায় দ্বিতীয় স্থানে উঠে আসে বিজেপি।