kolkata

3 weeks ago

Lakshmir Bhandar:বিডিও-র পাসওয়ার্ড হ্যাক,লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে উপভোক্তা ১২ পুরুষ ,দেড় বছর পর…

Allegation of misappropriation of Lakshmi Bhandar's money
Allegation of misappropriation of Lakshmi Bhandar's money

 

দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃলোকসভা ভোটের প্রচারে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার  প্রকল্প নিয়ে বিজেপির টিপ্পনী কম কিছু নয়। ময়নার এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত দক্ষিণ হরকুলি গ্রামের বুথ সভাপতি অশোক দাস সহ মহিন দাস ,মন্টু দাস ,সুখেন মাইতি, অমরেশ মাইতি, রাহুল পাহারি-সহ ১২ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে।  এমনই অভিযোগে তদন্তে নেমে মঙ্গলবার বিকেলে ময়না থেকে বিজেপির বুথ সভাপতি-সহ ৩ জনকে গ্রেপ্তার করল খানাকুল থানার পুলিশ।

স্থানীয় ও প্রশাসন সূত্রে জানা যায় যে,  ময়নার হরকুলি গ্রামের যুবক শ্রীকান্ত দাস বেসরকারি সংস্থার হয়ে বিভিন্ন ব্লকের ডাটা এন্ট্রির কাজ করতেন। কখনও পূর্ব পশ্চিম বর্ধমান , হুগলিতে কাজ করতেন। ২০২২ সালের হুগলি জেলার খানাকুল দু’নম্বর ব্লকের কাজ করতেন,  সে সময়েই দুয়ারে সরকারের কাজ করার সুবাদে বিডিওর লগ ইন পাসওয়ার্ড তাঁর কাছে ছিল। সেই লগ ইন পাসওয়ার্ড জালিয়াতি করে নিজের বাবা-সহ একের পর এক এলাকার যুবক বৃদ্ধাদের লক্ষ্মীর ভান্ডার পাইয়ে দিয়েছেন।

শুধু লক্ষ্মীর ভান্ডার নয়, বিধবা ভাতা, বার্ধক্য ভাতা-সহ সরকারি প্রকল্পের বিভিন্ন সুবিধা পাইয়ে দিয়েছে ছেলেদের। তবে ছেলের কর্মকান্ডে ঘটিয়েছে তা নিজের মুখে স্বীকার করেন বিজেপির বুথ সভাপতি অশোক আর সেই খবর পেয়ে খানাকুল দু’নম্বর ব্লকের বিডিও মধুমিতা ঘোষ খানাকুল থানায় অভিযোগ দায়ের করেন আর এই অভিযোগ ভিত্তিতে ময়না থানার পুলিশের সহযোগিতায় ময়না এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের দক্ষিণ হরকুলি গ্রামে যে এই কাণ্ড ঘটিয়েছিল, সেই শ্রীকান্ত দাসের বাড়িতে যান ময়না থানা ও খানাকুল থানার পুলিশ।

তবে শ্রীকান্ত দাস বাড়িতে ছিলেন না। তাই তাঁকে গ্রেফতার করতে পারা যায়নি । বিডিওর অভিযোগের ভিত্তিতে শ্রীকান্ত দাসের বাবা অর্থাৎ বিজেপির বুথ সভাপতি অশোক দাসকে গ্রেফতার করেন এবং তার সঙ্গে গোপাল জানা এবং সনাতন জানাকেও গ্রেফতার করে খানাকুল থানার পুলিশ। ঘটনা প্রসঙ্গে তৃণমূল নেতা শাহজাহান আলি বলেন, “এটা তো বিজেপির আইটি সেলের কাজ। ওখানে যারা বসে থাকে, সোশ্যাল মিডিয়ায় যারা প্রচার করে, তারাই তো হ্যাক করছে। মোবাইল খুললে আরও পাওয়া যাবে।”

যদিও জেলা বিজেপি সহ সভাপতি আশিস মণ্ডল বলেন, ” আইন আইনের পথে চলবে। কেউ যদি দোষী সাব্যস্ত হয়, দল দেখার তো দরকার নেই। শাস্তি পাবে।”


You might also like!