দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ‘বারুইপুরের পেয়ারা সব জায়গায় সমাদৃত। এই পেয়ারার জিআই ট্যাগ পাওয়ার জন্য চেষ্টা চলছে। আমরা করব। এর আগে জয়নগরের মোয়া জিআই পেয়েছে। পেয়ারার রপ্তানি বাড়াতে হবে।’ বারুইপুরের ফুলতলায় সাগর সঙ্ঘের মাঠে এক সভায় এ কথা বলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আরও বলেন, 'সাগরের তরমুজ, লঙ্কা বিখ্যাত। বারুইপুরের পেয়ারাও রয়েছে। তাই বারুইপুর, সাগরে হবে ফ্রুট প্রসেসিং হাব। বারুইপুরের পাশাপাশি ক্যানিং এর মানুষও এর সুবিধা পাবেন। আর সাগরে হলে কাকদ্বীপ, পাথরপ্রতিমার মানুষও উপকৃত হবেন। বারুইপুরে কোল্ড স্টোরেজও নির্মাণ করা হবে। যাতে সব ফল, সবজি ভালো থাকে।' আর এই গোটা বিষয়টি মুখ্যমন্ত্রী দলের বিধায়ক তথা বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেখতে বলেন।
একটি বেসরকারি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনের তথ্য অনুসারে, বারুইপুরের ১৯টি পঞ্চায়েত এলাকার বেশিরভাগেই রয়েছে পেয়ারা চাষের রমরমা। চাষিরা কেউ জমি লিজ নিয়ে, তো কেউ আবার নিজস্ব জমিতে পেয়ারা চাষ করেন। উৎপাদিত পেয়ারা বিক্রির জন্য নিয়ে যাওয়া হয় বারুইপুরের কাছারি বাজার বা কুলপি রোডে। সামনেই পেয়ারার ভরা মরশুম। ফলে ব্যাপকভাবে বেচাকেনাও শুরু হয়ে যাবে। সেক্ষেত্রে মরশুম শুরুর ঠিক আগেই মুখ্যমন্ত্রীর মুখে এই কথা শোনার পর, খুব স্বাভাবিকভাবেই উচ্ছ্বাস চাষিদের মধ্যে। চাষিদের অনেকেই মনে করছেন, আগে থেকেই বারুইপুরের পেয়ারার চাহিদা ক্রেতাদের মধ্যে রয়েছে। স্থানীয় চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি পার্শ্ববর্তী জেলা, এমনকী ভিন রাজ্যেও এখানকার পেয়ারা রফতানি করা হয়। সেক্ষেত্রে জিআই ট্যাগ পেলে তা রফতানিতে আরও সুবিধা হবে বলেই মনে করছেন চাষিরা।
এর আগে ২০২২ সালে জিআই ট্যাগ পায় দক্ষিণ ২৪ পরগনারই জয়নগরের মোয়া। সেই সময় জয়নগরের শিবনাথ শাস্ত্রী ভবনে ৪৯ জন মোয়া কারিগরের হাতে জিআই শংসাপত্র তুলে দেওয়া হয়। এলাকার সাংসদ প্রতিমা মণ্ডল জিআই স্বীকৃতির জন্য বিশেষভাবে উদ্যোগ নিয়েছিলেন। তিনিই কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকারের সংশ্লিষ্ট দফতরের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। পরবর্তীতে চলতি বছরের শুরুতেই জিআই ট্যাগ পেয়েছে সুন্দরবনের মধুও। আর এবার বারুইপুরের পেয়ারার জন্যও সেই চেষ্টা চলেছে বলে জানা গেল মুখ্যমন্ত্রীর মুখ থেকে।