দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ রেলের কাজে ট্রাফিক ব্লকের ঘটনা নতুন কিছু নয়। সাম্প্রতিককালে শিয়ালদা ডিভিশনে একাধিকবার এই ধরনের ঘটনা ঘটেছে। এমনকী বিগত ২০ দিন ধরে শিয়ালদা ডিভিশনের দমদম জংশন স্টেশনের ৫ নম্বর প্ল্যাটফর্মে মোট ৪৮০ ঘণ্টা ট্রাফিক ব্লকের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল পূর্ব রেল। ১৮ এপ্রিল থেকে ৭ মে পর্যন্ত চলে এই ট্রাফিক ব্লক। এই সময়ে বেশকিছু লোকাল ট্রেন যেমন বাতিল করা হয়, তেমনই সংক্ষিপ্তও করে দেওয়া হয় আরও কিছু ট্রেনের যাত্রাপথ। পূর্ব রেলের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী গতকাল মঙ্গলবারই ছিল ট্রাফিক ব্লকের শেষ দিন। আজ বুধবার থেকেই পরিষেবা ফের স্বাভাবিক হওয়া কথা। কিন্তু বাস্তবেই কি পরিষেবা স্বাভাবিক হয়েছে?
কী বলছে রেল?
এই বিষয়ে পূর্ব রেলের মুখ্যজনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্রর সঙ্গে কথা বলে এই সময় ডিজিটাল। তিনি জানান, ট্রাফিক ব্লকের বিষয়টি গতকাল অর্থাৎ মঙ্গলবারই মিটে গিয়েছে। ঝড় বৃষ্টি বা প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে কোনও সমস্যা হলে সেটা আলাদা বিষয়। তাছাড়া ট্রাফিক ব্লক সংক্রান্ত কারণে ট্রেন চলাচলে কোনও সমস্যা নেই বলেই জানান কৌশিক মিত্র।
প্রসঙ্গত, গত ১৮ এপ্রিল থেকে ৭ মে পর্যন্ত শিয়ালদা ডিভিশনের বনগাঁ, হাসনাবাদ, ব্যারাকপুর, বিবাদী বাগের মতো লাইনগুলিতে বেশকিছু ট্রেন বাতিল ছিল। এছাড়া মাঝেরহাট, লক্ষ্মীকান্তপুর, রানাঘাটের মতো লাইনে একাধিক ট্রেনের যাত্রাপথ সংক্ষিপ্তও করা হয়। এক্ষেত্রে মনে রাখতে হবে শিয়ালদা শাখায় প্রতিদিনই হাজার হাজার মানুষ বিভিন্ন প্রয়োজনে যাতায়াত করেন। তাঁদের মধ্যে একটা বড় অংশ থাকে নিত্যযাত্রী। নিজ নিজ কর্মস্থলে পৌঁছনোর ক্ষেত্রে নিত্যযাত্রীদের কাছে অন্যতম মাধ্যম এই শিয়ালদা ডিভিশন। দিনের ব্যস্ত সময়ে লোকাল ট্রেনগুলিতে কার্যত তিল ধারণের জায়গা থাকে না। উত্তর ২৪ পরগনা, নদিয়া, এমনকী হুগলি জেলার বহু মানুষের নিত্য যাতায়াতের পথই হল এই শিয়ালদা লাইন। তাই সেই লাইনে ২০ দিন ধরে মোট ৪৮০ ঘণ্টা ট্রাফিক ব্লক থাকায় ব্যাপক সমস্যার মধ্যে পড়তে হয় যাত্রীদের।
যাত্রীরা কী জানাচ্ছেন?
রেলের কথা অনুযায়ী আজ থেকেই পরিষেবা স্বাভাবিক হয়ে গিয়েছে। সেক্ষেত্রে যাত্রীদের সঙ্গেও কথা বলেছিল এই সময় ডিজিটাল। যাত্রীদের তরফেও ট্রেনে চলাচলের ক্ষেত্রে বিশেষ কোনও সমস্যার অভিযোগ ওঠেনি। বেশিরভাগ যাত্রীই জানাচ্ছেন, এদিন তেমন কোনও ট্রেনের সমস্যার সম্মুখিন হতে হয়নি তাঁদের। সেক্ষেত্রে সঠিক সময়ে গন্তব্যে পৌঁছনর ক্ষেত্রে অনেকটাই নিশ্চিন্ত যাত্রীরা।