দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ ভারত-বিরোধী অবস্থানেই অটল থাকলেন মলদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মুইজ্জু।বছরের প্রথম ভাষণ দেওয়ার আগে নিজের দেশের পার্লামেন্টেই ধাক্কা খেলেন তিনি। কারণ অধিবেশন শুরুর আগেই প্রেসিডেন্টের ভাষণ বয়কটের সিদ্ধান্ত দুই প্রধান বিরোধী দলের।
প্রতি বছরের শুরুতে পার্লামেন্টে বিশেষ ভাষণ দেন প্রেসিডেন্ট। দেশের সার্বিক উন্নতির চিত্র তুলে ধরার পাশাপাশি আগামী দিনে কোন পথে দেশ এগোতে পারে, সেই নিয়ে বক্তব্য পেশ করেন। কোনও সমস্যা হলে কীভাবে তার মোকাবিলা করা হবে সেই আলোচনাও হয় এই বক্তৃতায়। যেহেতু বছরের শুরুতে চিন সফরে গিয়েছিলেন মুইজ্জু (Mohamed Muizzu), তাই পার্লামেন্টে ভাষণ বেশ খানিকটা পিছিয়ে দেওয়া হয়। প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচিত হওয়ার পরে এটাই পার্লামেন্টে মুইজ্জুর প্রথম ভাষণ।
এ দিন সংসদে বক্তব্য রাখেন মলদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মুইজ্জু। বিরোধী দলগুলি, যারা মুইজ্জুর ভারত-বিরোধী অবস্থানের সমালোচনা করেছিলেন, তারা এ দিন প্রেসিডেন্টের বক্তব্য় বয়কট করেন। সংসদে বক্তব্য রাখতে এসে প্রেসিডেন্ট মুইজ্জু জানান, মলদ্বীপে তিনটি উড়ান প্ল্যাটফর্ম রয়েছে, তার একটি থেকে আগামী ১০ মার্চের মধ্যে ভারতীয় সেনা প্রত্যাহার করা হবে। ১০ মে-র মধ্যে বাকি দুটি প্ল্যাটফর্ম থেকেও ভারতীয় সেনা সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ হয়েছে বলে জানান তিনি।প্রেসিডেন্ট মুইজ্জু বলেন, “মলদ্বীপ ভারতের সঙ্গে চুক্তি রিনিউ করবে না। আমরা অন্য় কোনও দেশকে আমাদের সার্বভৌমত্ব্যে হস্তক্ষেপ বা তাকে খাটো করতে দেব না।”
মলদ্বীপে ৮০ জন ভারতীয় সেনা মোতায়েন রয়েছেন মানবিক ও চিকিৎসা ক্ষেত্রে উদ্ধারকাজের জন্য। প্রতিবেশী দেশ মলদ্বীপকে ২০০৯ সালে হেলিকপ্টার উপহার দিয়েছিল ভারত। পরে আরও কিছু যুদ্ধবিমান উপহার দেয়। মূলত এই বিমানগুলির রক্ষণাবেক্ষণ ও মলদ্বীপের সেনাকে বিমান পরিচালনায় প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্যই মোতায়েন রয়েছেন ৭৫ জন ভারতীয় সেনা। এই সেনা নিয়েই আপত্তি মলদ্বীপের নতুন প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মুইজ্জুর। তিনি নির্বাচনী লড়াইয়েও ভারতের বিরুদ্ধেই প্রচার করেছিলেন।