দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ কোভিড-১৯ মহামারী পরিস্থিতির স্বাভাবিক হওয়ার ক্ষণে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান সতর্কবার্তায় বলছেন, বিশ্বকে অবশ্যই পরবর্তী মহামারীর জন্য প্রস্তুত হতে হবে। কারণ এই মহামারী কোভিড-১৯ এর চেয়েও ‘মারাত্মক’ হতে পারে।
ঠিক কোন মহামারীর কথা বলছেন তিনি? বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান তেদরোস আধানোম গেব্রেয়াসুস জানাচ্ছেন, বিশ্বব্যাপী জরুরি অবস্থা উঠে গিয়েছে। কিন্তু তার মানে এই নয় যে কোভিড-১৯ এর স্বাস্থ্য ঝুঁকি ফুরিয়ে গিয়েছে। তিনি বলেন, ‘আরেকটি ভ্যারিয়েন্টের উদ্ভব হওয়ার ঝুঁকি রয়ে গিয়েছে। যা নতুন করে রোগের বিস্তার ও মৃত্যুর কারণ পর্যন্ত হতে পারে। তা ছাড়া আরেকটি মারাত্মক প্যাথোজেন ছড়ানোর সম্ভাবনা রয়েছে।’
ব্রিটেনের প্রাক্তন প্রধান বৈজ্ঞানিক উপদেষ্টা স্যার প্যাট্রিক ভ্যালেন্স বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধানের সঙ্গে একমত হয়েছেন। তিনি সতর্ক করে বলেছেন যে আরেকটি মহামারী অনিবার্য এবং এটা নিশ্চিত। আর মহামারীর আগেই যাবতীয় সতর্কতামূলক ব্যবস্থা সরকারকে আগেভাগেই নিতে হবে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা হু-র প্রধানও পরামর্শ দিয়ে বলেছেন যে, পরবর্তী মহামারী যখন আঘাত হানবে, আমাদের অবশ্যই সুচিন্তিত, সম্মিলিত এবং সঠিকভাবে সেটা মোকাবিলার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।
তেদরোস বলেন, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার অধীনে স্বাস্থ্য সম্পর্কিত লক্ষ্যগুলি অর্জনের জন্য কোভিড-১৯ এর উল্লেখযোগ্য প্রভাব রয়েছে। যা অর্জনের সময়সীমা ধরা হয়েছে ২০৩০ সাল পর্যন্ত। মহামারীটি ২০১৭ সালে বিশ্ব স্বাস্থ্য সম্মেলনে ঘোষিত ‘ট্রিপল বিলিয়ন’ লক্ষ্যমাত্রা অর্জনকে প্রভাবিত করেছে।
তেদরোস আধানোম গেব্রেয়াসুস আরও বলেন, মহামারি আমাদের উপর ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে এটা সত্যি কিন্তি এটাও দেকিয়েচে আমাদের কেন টেকসই উন্নয়ন ল্ক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা কেন গুরুত্বপূর্ণ। আমরা কেন মহামারি মোকাবিলায় সম্মিলিতভাবে একই চিন্তা সংকল্প নেব।
বিজ্ঞানী ভ্যালেন্স বিশ্বাস করেন যে সহজলভ্য ডায়াগনস্টিকস, ভ্যাকসিন এবং চিকিৎসাগুলি কোভিড-১৯ মহামারী চলাকালীন দেখিয়েছিল যে তা কঠোর ব্যবস্থার প্রয়োজনীয়তা রোধ করতে পারে। তবে এই অর্জনযোগ্য উন্নতিগুলোর জন্য উল্লেখযোগ্য আন্তর্জাতিক সমন্বয়ের খুব প্রয়োজন রয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
তিনি মহামারী চুক্তির জন্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার চাপের কথা উল্লেখ করেছেন, দেশগুলির জন্য মহামারী প্রস্তুতিতে হসযোগিতা করার ডন্য একটি প্রস্তাবিত চুক্তি। এই নিয়ে একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি। তবে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিয়ে যথেষ্ট ফোকাস করা হচ্ছে না বলেই অভিযোগ করেছেন এই বিজ্ঞানী।