দূরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্ক: সোমবার বোলপুরে জোড়া কর্মসূচি রয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর। এদিন দুপুর ১টা নাগাদ বোলপুরের গীতাঞ্জলি অডিটোরিয়ামে প্রশাসনিক বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানেই একাধিক বিষয় নিয়ে নির্দেশ দিতে দেখা যায় মুখ্যমন্ত্রীকে। পাশাপাশি ভিনরাজ্যে বাঙালি নির্যাতন নিয়ে সরব হন মমতা। মুখ্যমন্ত্রী জানান, রাজ্যের ২২ লক্ষ পরিযায়ী শ্রমিক বাইরে রয়েছে। তাঁদের ফিরিয়ে আনুন। প্রয়োজনে রাজ্যের সমস্ত নাগিরিক পরিষেবা দেওয়া হবে। এদিন প্রশাসনিক সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “কেন্দ্র টাকা আটকে রেখেছে। এই অবস্থাতেও এলাকার উন্নয়নমূলক কাজ করতে হবে। রাজ্যের টাকাতেই সব কাজ হবে। এলাকার কাজের জন্য জেলা পরিষদ থেকে ৫ শতাংশ, পঞ্চায়েত সমিতি থেকে ৫ শতাংশ, স্থানীয় এমএলএরা ১০ লক্ষ টাকা দেবেন। এই সব টাকা নিয়ে জমা পড়বে ডিএমদের কাছে। বাকি টাকা দেবে রাজ্য সরকার।”
দুপুর ১টা নাগাদ বোলপুরের গীতাঞ্জলি অডিটোরিয়ামে প্রশাসনিক বৈঠকে অংশ নেন মুখ্যমন্ত্রী। বৈঠকে বিভিন্ন দফতরের আধিকারিকদের সঙ্গে আলোচনা করেন তিনি। স্থানীয় প্রশাসনকে উন্নয়নমূলক কাজ দ্রুত সম্পন্ন করার নির্দেশ দেন। সেই সঙ্গে কেন্দ্রীয় সাহায্য না পেলেও রাজ্যের নিজস্ব উৎস থেকে প্রকল্প রূপায়ণে জোর দেওয়ার কথা বলেন। এদিন ভিনরাজ্যে বাঙালি শ্রমিকদের উপর নির্যাতনের অভিযোগ তুলে মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ দেন, “দরকার নেই দালালদের সাহায্য নিয়ে বাইরে গিয়ে কাজ করার। ওদের উপর অত্যাচার হলে দালালরা থাকে না, পালিয়ে যায়। ওঁরা ফিরে এলে এখানে যদি থাকার জায়গা থাকে, তাহলে তো ভালো। আর তা না থাকলে, আমরা ক্যাম্প বানিয়ে দেব। রেশন কার্ড, স্বাস্থ্যসাথী কার্ড, কর্মশ্রী প্রকল্পে ওঁদের কাজের ব্যবস্থা করে দেব। ওঁদের জব কার্ড দিয়ে দেওয়া হবে।” এই বৈঠকে স্বাস্থ্য, শিক্ষা, কৃষি, কর্মসংস্থান-সহ একাধিক বিষয়ে আলোচনা হয়। রাজ্যের উন্নয়নের স্বার্থে সমন্বয়ের মাধ্যমে প্রশাসনকে আরও সক্রিয় হওয়ার নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। বোলপুরে মুখ্যমন্ত্রীর এই জোড়া কর্মসূচির মধ্যে দিয়ে প্রশাসনিক কড়াকড়ির পাশাপাশি রাজনৈতিক বার্তাও স্পষ্ট বলে মনে করছেন পর্যবেক্ষকরা।