দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ বর্ধমান-দুর্গাপুরে কেন্দ্র থেকে ভোটে লড়ে পরাজিত হয়েছেন দিলীপ ঘোষ। আর এবার তাঁকে সেখান থেকে দাঁড় করানোর সিদ্ধান্ত ভুল ছিল বলেই দাবি করলেন দিলীপ। একইসঙ্গে সাংগঠনিক দুর্বলতা ও সমস্ত কর্মী যে ময়দানে নামেননি, তাও স্বীকার করে নিলেন তিনি।
বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে দিলীপ ঘোষ বলেন, 'সংগঠন পশ্চিমবঙ্গে শুয়ে পড়েছিল, কর্মীরা বেরোননি। আমি মেদিনীপুরে এক থেকে সওয়া একবছর পড়ে থেকে বুথ অবধি সংগঠন তৈরি করেছিলাম। সমস্ত গ্রামে গিয়েছিলাম। সেখানে ৩০৪ কোটি টাকা দিয়ে কাঁসাই ও শিলাবতী, নদীর দুটো ব্রিজের টেন্ডার পাশ করিয়েছিলাম। ৫০০ গ্রামে সোলার আলোর পারমিশন করিয়েছিলাম। ২৫০ গ্রামে লেগে গিয়েছে। বকি ২৫০ গ্রামে প্রক্রিয়া চলছে। বাকি যা যা করার করেছি। একাধিক নতুন ট্রেন ও ট্রেনের স্টপেজ করিয়েছিলাম। মানুষ খুশি ছিল। দলের সবাই আমার পক্ষে ছিল। যে কোনও কারণেই হোক দল সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সেটি ঠিক ছিল না প্রমাণ হয়ে গিয়েছে।' উল্লেখ্য এই প্রসঙ্গে আগেই সংবাদমাধ্যমকে দিলীপ বলেন, 'আমি ওই আসনে প্রার্থী হতে চাইনি। দল জোর করে মেদিনীপুরের পরিবর্তে বর্ধমান-দুর্গাপুর আসনে লড়াই করতে বলে। দলের সিদ্ধান্ত মেনে লড়াই করেছি।'
দিলীপ আরও বলেন, 'সংগঠন যে ভাবে ঢিলে হয়ে গিয়েছে সব জায়গায়..., বুথে প্রথমে আমরা লোক খুঁজে পাইনি। এজেন্ট খুঁজতে হয়েছে। দুর্বলতা ছিল সংগঠনের। সেই কারণে সব জায়গায় সার্বিকভাবে আমাদের ভোট কমেছে ও হার হয়েছে।' এই প্রসঙ্গে তাঁর সংযোজন, 'আমি সব জায়গাতেই যাব। মেদিনীপুরে থেকেও ফোন করেছিল। হেরে গিয়েছে, মনটা খারাপ। তাদের ধারনা ছিল, দিলীপদা থাকলে আমরা জিতে যেতাম। সেখানে গিয়েও সকলের সঙ্গে দেখা করব।'
প্রসঙ্গত, ভোটের ফলাফলের পর থেকেই একের পর এক বিস্ফোরক মন্তব্য উঠে আসছে দিলীপ ঘোষের কাছ থেকে। এর আগে বুধবার সাংবাদিকদের দিলীপ বলেন, 'চক্রান্ত কাঠিবাজি রাজনীতির অঙ্গ, আমি সেই ভাবেই নিয়েছি। পুরো পরিশ্রম করেছি, কিন্তু সফলতা আসেনি।' যদিও ঠিক কার বা কাদের 'কাঠিবাজি'র কথা তিনি বলতে চাইছেন, তা জানতে চাওয়া বলে, দিলীপ বলেন, 'রাজনীতিতে যা হয়, সবাই কাঠি নিয়ে ঘুরতে থাকে।' এদিকে রাজনৈতিকমহলের একাংশ মনে করছে, ভোটে এমন ফলাফলের পর বিজেপির কেউ কেউ এখন দলেরই একাংশের বিরুদ্ধে মুখ খুলতে শুরু করেছেন। দিলীপের একের পর এক মন্তব্যেও মিলছে তেমনই ইঙ্গিত।