West Bengal

7 months ago

LOCAL MLA FACING AGITATION: ভাঙন কবলিত এলাকায় গিয়ে স্থানীয়দের বিক্ষোভের মুখে স্থানীয় বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী

LOCAL MLA FACING AGITATION
LOCAL MLA FACING AGITATION

 

মালদা, ২ মার্চ: ভাঙন কবলিত এলাকায় গিয়ে স্থানীয়দের বিক্ষোভের মুখে স্থানীয় বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী। দ্রুত ভাঙন রোধের কাজ শুরু না হলে লোকসভার আগে ভোট বয়কটের হুশিয়ারি। এদিকে ভাঙন সমস্যা নিয়ে অব্যাহত রাজনৈতিক তরজা। কেন্দ্রীয় সরকারকে নিশানা করলেন রাজ্যের প্রতিমন্ত্রী।পাল্টা রাজ্যকে তোপ বিজেপি সাংসদের।হরিশ্চন্দ্রপুর থানা এলাকার ইসলামপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীন ফুলহর নদীর দক্ষিণ তীরবর্তী অসংরক্ষিত অঞ্চলের রশিদপুর গ্রামে ভাঙ্গন এলাকায় বাসিন্দাদের ক্ষোভের মুখে পড়লেন রাজ্যের বস্ত্র প্রতিমন্ত্রী তথা এলাকার বিধায়ক তজমুল হোসেন এবং হরিশ্চন্দ্রপুর ২ নম্বর ব্লকের বিডিও তাপস পাল।দ্রুত ভাঙ্গন রোধের কাজের দাবিতে মন্ত্রীকে ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয়রা। বিক্ষোভের ঘটনাটি ঘটে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার গোবরাঘাট এলাকায়।

মন্ত্রী কোনক্রমে সেখান থেকে চলে গেলেও বিডিওকে ভাঙ্গন কবলিত এলাকা ঘুরে দেখতে বাধ্য করেন স্থানীয় বাসিন্দারা।হরিশ্চন্দ্রপুর ২ নম্বর ব্লকের রশিদপুরে আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত হয় কয়েকটি বাড়ি। দুপুরে সেখানেই ত্রান নিয়ে যান রাজ্যের ক্ষুদ্র কুটির শিল্পমন্ত্রী তাজমুল হোসেন এবং হরিশ্চন্দ্রপুর ২ নম্বর ব্লকের বিডিও তাপস কুমার পাল।ফেরার পথে গোবরাঘাট এলাকায় ফুলহর নদীর ভাঙন কবলিত এলাকা ঘুরে দেখার এবং ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানান তৃণমূল কর্মী এবং স্থানীয় বাসিন্দারা। এবং ভাঙ্গন রোধ করতে প্রশাসনিক ব্যর্থতার জন্য বিডিও এবং মন্ত্রীকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয় বাসিন্দা ও তৃণমূল কর্মী সমর্থকরাও।

স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ প্রতিবছর ফুলহর নদীর ভাঙ্গনের প্রভাবে রশিদপুর এলাকা ভীষণ ভাবে ক্ষতি-গ্রস্ত হচ্ছে।রশিদপুর গ্রামের অনেকটা অংশই ধীরে ধীরে নদীর গর্ভে চলে যাচ্ছে। ইতিমধ্যে অনেক কৃষকের জমিও নদীর তলায় চলে গিয়েছে বলে তাদের দাবি। প্রশাসন এই ব্যাপারে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে রশিদপুর গ্রাম জলের তলায় চলে যাবে। সাথে তাদের দাবি লোকসভার আগে ভাঙন রোধের কাজ শুরু করতে হবে। না তো কোন নেতা মন্ত্রী সাংসদ বিধায়ককে এলাকায় ঢুকতে দেওয়া হবে না।

এলাকার মানুষেরা জানান নদীর জল কমতেই আবার ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। আর কিছুটা ভাঙ্গন হলেই তাদের বাড়িও ফুলহারের তলায় চলে যাবে।কিন্তু এদিন মন্ত্রী কে ভাঙ্গন এলাকা পরিদর্শন করার জন্য অনুরোধ করা হলে তিনি রাখেন নি। তাই আমরা মন্ত্রী এবং প্রশাসনিক কর্তাদের ঘিরে বিক্ষোভ দেখিয়েছি। আমাদের এখন জীবন মরন সমস্যা। কিন্তু প্রশাসন আমাদের ব্যাপারে উদাসীন।

যদিও বিক্ষোভের কথা মানতে চাননি মন্ত্রী তজমুল হোসেন। তিনি বলেন কোন বিক্ষোভ হয়নি। এর আগে তিনি রাজ্যের সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিককে এই এলাকার ভাঙ্গন নিয়ে অবগত করেছিলেন এবং তার জেরে ভাঙ্গন রোধে কিছু কাজও হয়েছিল। তিনি এই বিষয়ে আবার রাজ্যে সেচ মন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলবেন।সাথে তিনি কেন্দ্র সরকারকে নিশানা করেন।তিনি বলেন এই কাজ মূলত কেন্দ্রের। কিন্তু কেন্দ্র সেই কাজ করছে না। অন্যদিকে যদিও পাল্টা রাজ্যকে তোপ উত্তর মালদার বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু।তার দাবি ভাঙন সমস্যা নিয়ে তৃণমূলেরই কোনো হেলদোল নেই।না নিজেরা কাজ করছে না কেন্দ্রকে করতে দিচ্ছে।


You might also like!