দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ বিজেপির বিরুদ্ধে ধর্মের নাম রাজনীতি করার অভিযোগে সরব বিরোধীরা। যদিও বাংলায় ভোট প্রচারে এসে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার অভিযোগ, ১০ বছর আগে ধর্মের নামে রাজনীতি করত কংগ্রেস। ধর্মের নামে ভোট করাত কংগ্রেস। মোদী ক্ষমতায় আসার পর গত ১০ বছরে তা বন্ধ হয়ে গিয়েছে।
নাড্ডার কথায়, "মোদী ক্ষমতায় আসার পর থেকে ধর্মের রাজনীতি শেষ করে দিয়েছেন। এখন ভোট হয় পারফরম্যান্স দেখে।" বুধবার বাঁকুড়া লোকসভার বিজেপি প্রার্থী সুভাষ সরকারের সমর্থনে রঘুনাথপুরের সাঁতুড়ির সভায় একথা বলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি।
একই সঙ্গে মোদী জমানায় গড়ে ওঠা রামমন্দিরের প্রসঙ্গও টেনে আনেন নাড্ডা। প্রসঙ্গত. গত শনিবার ব্যারাকপুর লোকসভা কেন্দ্রের ভাটপাড়ায় নির্বাচনী প্রচারে এসে বক্তৃতার শেষে উপস্থিত জনতার উদ্দেশে মোদীর অনুরোধ ছিল, "আমি চলে যাওয়ার পর এলাকার প্রত্যেকের কানে কানে বলে আসবেন- জয় শ্রীরাম!"
ওই প্রসঙ্গ টেনে বিরোধীদের প্রশ্ন, মোদী যদি ধর্মের নামে রাজনীতি বন্ধ করে থাকেন, তাহলে এটা কী? বারে বারে প্রতিটি সভা থেকে কেন একথা বলছেন প্রধানমন্ত্রী। এ ব্যাপারে বঙ্গ গেরুয়া শিবিরের কোনও প্রতিক্রিয়া এখনও জানা যায়নি।
তবে এদিনের সভা থেকে নাড্ডার দাবি, "মোদী ধর্মের ভিত্তিতে রাজনীতিতে বিশ্বাস করেন না। মোদী পলিটিক্স অফ পারফরম্যান্স, পলিটিক্স অফ রেসপনসিবিলিটি এবং পলিটিক্স অফ অ্যাকাউন্টিবিলিটির উপর বিশ্বাস করেন। তাই প্রতিটি সভা থেকে তিনি নিজের উন্নয়নের খতিয়ান তুলে ধরছেন।"
নাড্ডার আরও দাবি, জাপান, ইউরোপের মতো দেশেও যেখানে বর্তমানে আর্থিক স্থিতি নেই, সেখানে মোদীর নেতৃত্বে ভারত এগিয়ে চলেছে। আগামী তিন বছরে বিশ্ব অর্থনীতিতে ভারত তিন নম্বরে উঠে আসবে বলেও দাবি করেছেন নাড্ডা। মোদীর আমলে দেশের ২৫ কোটি মানুষ দারিদ্রসীমার উপরে উঠেছেন বলেও দাবি নাড্ডার।
দুর্নীতি ইস্যুতে আক্রমণ শানিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও। নাড্ডার অভিয়োগ, "দুর্নীতি-স্বজনপোষণে বাংলা সব কিছুর সীমা অতিক্রম করে ফেলেছে। টিএমসিপির কার্যকর্তারা একেকজন গুন্ডা।" টেনে এনেছেন সন্দেশখালিতে নারী নির্যাতনের প্রসঙ্গও। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলায় সন্ত্রাসবাদীদের আশ্রয় দেন বলেও অভিযোগ করেছেন নাড্ডা।