দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ কালনার সায়নী দাস সপ্তসিন্ধু জয়ের লক্ষ্যপূরণে চতুর্থ চ্যানেল নিউ জ়িল্যান্ডের কুক প্রণালী জয়ের জন্য আগামী মঙ্গলবার জলে নামছেন। তাঁর বাবা রাধেশ্যাম দাস জানান, সবকিছু ঠিক থাকলে ২ এপ্রিল নিউ জ়িল্যান্ডের সময় সকাল ৮টায় (ভারতীয় সময় রাত সাড়ে ১২টা অর্থাৎ সোমবার মাঝরাতে) জলে নামছেন সায়নী।
ইতিমধ্যে তাঁর মুকুটে যোগ হয়েছে ইংলিশ চ্যানেল, ক্যাটালিনা ও মলোকাই চ্যানেল জয়ের পালক। রটনেস্ট চ্যানেল পার হলেও তা সপ্তসিন্ধুর মধ্যে পড়ে না। তাই কুক প্রণালী জয় হলে আর নর্থ চ্যানেল, সুগারু ও জিব্রাল্টার প্রণালী জয় হলেই সায়নীর মাথায় উঠবে ওশেন সেভেন চ্যালেঞ্জের মুকুট।
এর আগে প্রতিটি চ্যানেলে অভিযান চালিয়ে প্রথম বারেই সাফল্য পেয়েছেন কালনা শহরের বারুইপাড়ার মেয়ে সায়নী। এবার কুক প্রণালী পার হওয়ার জন্য গত ১৫ মার্চ নিউ জ়িল্যান্ডের উদ্দেশে রওনা হন সায়নী। সেখানকার আবহাওয়া বেশ প্রতিকূল। তাই সেখানে পৌঁছে এতটুকু সময় নষ্ট করতে চাননি সায়নী।
সেখানকার জলের সঙ্গে নিজেকে মানিয়ে নিতে প্রতিদিন প্রায় গড়ে ঘণ্টাখানেক সমুদ্রে অনুশীলন চালিয়েছেন। নিউ জ়িল্যান্ড ম্যারাথন সুইমিং ফেডারেশনের কো অর্ডিনেটর ফিলিপ রাসের সঙ্গে নিয়মিত আলোচনা করে জেনে নিয়েছেন খুঁটিনাটি। সায়নী বলেন, 'এখানকার জল এতটাই ঠান্ডা যে হাত-পা অবশ হয়ে যাচ্ছে। তাপমাত্রা ঘোরাফেরা করছে নয়-দশের আশপাশে। মাঝেমাঝে ঝড়ও হচ্ছে। শনিবারও ঝড় হয়েছে। ঝড়ের গতিবেগ ৬০-এর উপর। হাওয়া এতটাই ঠান্ডা যে মনে হচ্ছে গায়ে সুচ বিঁধছে। চ্যানেল পার করার ক্ষেত্রে তাপমাত্রার এই ব্যবধান এবং কম সময়ের মধ্যে নিজেকে মানিয়ে নেওয়াটাই আমি সবথেকে বেশি চ্যালেঞ্জিং বলে মনে করি।'
কুক প্রণালীর দৈর্ঘ্য ২৬ কিলোমিটারের মতো। প্রতিকূল পরিবেশে এত দীর্ঘ চ্যানেল পার হওয়া যে কোনও সাঁতারুর কাছে বেশ চ্যালেঞ্জিং। সেকথা মাথায় রেখেই সায়নী বলেন, 'অনেক প্রতিবন্ধকতা রয়েছে। স্রোত, প্রচণ্ড ঠান্ডা, হাঙর- সবকিছুই রয়েছে। আমার একটাই লক্ষ্য, সেসব উপেক্ষা করে সাকসেসফুলি চ্যানেল ক্রস করা। আশা করছি, সকলের আশীর্বাদ মাথায় নিয়ে চ্যানেল পার হয়ে আর একবার জাতীয় পতাকা গর্বের সঙ্গে ওড়াতে পারব।'