মালদা : গত ১৬ মার্চ অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচনের দামামা বাজিয়ে দিয়েছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। সেদিন বিকেল থেকেই লাগু হয়েছে আদর্শ আচরণ বিধি। নিয়ম অনুয়ায়ী নির্বাচন ঘোষণার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সমস্ত সরকারি জায়গা থেকে মুখ্যমন্ত্রীর ছবি থাকা সমস্ত সরকারি প্রকল্পের বিজ্ঞাপন সরিয়ে ফেলার কথা। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সমস্ত পাবলিক প্লেস ও ৭২ ঘণ্টার মধ্যে সমস্ত প্রাইভেট প্লেস থেকে হোর্ডিং, ব্যানার ও পোস্টারও খুলে নেওয়ার কথা। অথচ নির্বাচন ঘোষণার ২০ দিনের মাথাতেও রাস্তায় দেখা মিলছে মুখ্যমন্ত্রীর ছবি দেওয়া দুয়ারে সরকার প্রকল্পের বোর্ডের। শুধু দুয়ারে সরকার প্রকল্পের পোস্টারই নয়, রয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর ছবি সহ প্রাণী সম্পদ বিকাশ সপ্তাহের বোর্ডও।
বিজেপির দক্ষিণ মালদা সাংগঠনিক জেলা সভাপতি পার্থসারথি ঘোষ বলেন, ‘যাদের আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করার কথা, তারাই আইনকে তোয়াক্কা করছে না। প্রশাসন কীভাবে শাসকদলের হয়ে কাজ করছে, আমরা তা নিয়ে বারবার অভিযোগ করেছি। মালদা জেলার একসময়ের পুলিশ সুপার এবার তৃণমূলের প্রার্থী হয়েছেন। এর থেকেই আমাদের অভিযোগ প্রমাণিত হচ্ছে। শাসকদল প্রশাসনকে দলদাসে পরিণত করেছে। তৃণমূলের এটা চিরাচরিত আচরণ। শাসকদল এমন ঘটনা ঘটিয়ে বারবার প্রমাণ করতে চাইছে, তারা আইনের ঊর্ধ্বে। রাজ্যে দেশের আইনের বদলে তৃণমূলের আইন চলবে। বিষয়টি নিয়ে আমরা নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হচ্ছি।’এনিয়ে জেলা নির্বাচনি আধিকারিক তথা মালদার জেলা শাসক নীতিন সিংহানিয়া বলেন, ‘নির্বাচন ঘোষণার পর থেকে আদর্শ আচরণ বিধি লাগু হয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী সমস্ত সরকারি বোর্ড খোলা হয়েছে। তারপরেও যদি কোথাও বোর্ড থেকে থাকে তবে বিষয়টি খতিয়ে দেখে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’