দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ তৃণমূল কংগ্রেস পঞ্চায়েত, বিধানসভা নির্বাচনের মত এবারে লোকসভাতেও একাধিক আসনে মহিলা প্রার্থী দিয়েছেন। তবে ২০২৯ এর তুলনায় এবার মহিলা প্রার্থীর সংখ্যা কম। তৃণমূল কংগ্রেস মহিলাদের গুরুত্ব দিচ্ছে সংগঠন থেকে শুরু করে নির্বাচনী লড়াই প্রতিটি ক্ষেত্রে। মহিলা ভোটই হচ্ছে তৃণমূলের ২০২৪ এর ভোটের অন্যতম নিয়ন্ত্রক।
এবার এক নজরে দেখে নেওয়া যাক লোকসভা ভোটে তৃণমূলের তরফ থেকে মহিলা প্রার্থী হিসেবে কারা কারা প্রতিদ্বন্দিতা করছেন? বারাসত থেকে কাকলি ঘোষ দস্তিদার, বর্ধমান পূর্ব থেকে শর্মিলা সরকার, বীরভূম থেকে শতাব্দী রায়, বিষ্ণুপুর থেকে সুজাতা মণ্ডল, আরামবাগ থেকে মিতালি বাগ, হুগলি থেকে রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়, যাদবপুর থেকে সায়নী ঘোষ, জয়নগর থেকে প্রতিমা মণ্ডল, কলকাতা দক্ষিণে মালা রায়, কৃষ্ণনগর থেকে মহুয়া মৈত্র, মেদিনীপুর থেকে জুন মালিয়া এবং উলুবেড়িয়া থেকে সাজদা আহমেদ।
গত বার যে ১৭ জন মহিলাকে বিভিন্ন কেন্দ্রে টিকিট দিয়েছিল তৃণমূল, তাঁরা হলেন, অপরূপা পোদ্দার (আরামবাগ), মুনমুন সেন (আসানসোল), অর্পিতা ঘোষ (বালুরঘাট), মমতাবালা ঠাকুর (বনগাঁ), কাকলি ঘোষ দস্তিদার (বারাসত), নুসরত জাহান (বসিরহাট), শতাব্দী রায় (বীরভূম), মমতাজ-সঙ্ঘমিত্রা (বর্ধমান-দুর্গাপুর), রত্না দে নাগ (হুগলি), মিমি চক্রবর্তী (যাদবপুর), বিরবাহা হাঁসদা (ঝাড়গ্রাম), প্রতিমা মণ্ডল (জয়নগর), মালা রায় (কলকাতা দক্ষিণ), মহুয়া মৈত্র (কৃষ্ণনগর), মৌসম নুর (মালদহ উত্তর), রূপালি বিশ্বাস (রানাঘাট) এবং সাজদা আহমেদ (উলুবেড়িয়া)।
গত বার জিতেও বাদ পড়েছেন আরামবাগের সাংসদ অপরূপা পোদ্দার, বসিরহাটের সাংসদ নুসরত জাহান, যাদবপুরের সাংসদ মিমি চক্রবর্তীরা। মিমি অবশ্য কিছু দিন আগেই বিধানসভায় গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সাংসদ পদ ছাড়ার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছিলেন। তবে সদ্য হওয়া রাজ্যসভা ভোটে দোলা সেন, সাগরিকা ঘোষ, সুস্মিতা দেবকে পাঠিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস ৷ তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্বের বক্তব্য, সংসদে তারা অন্যদের তুলনায় মহিলা সদস্যদের বেশি করে পাঠায়। তারা আশাবাদী সেই ফল এবারও ধরে রাখবে।