West Bengal

6 months ago

Debangshu Bhattacharya: রণে ভঙ্গ দিতেই নওশাদকে খোঁচা দেবাংশুর!

Devanshu about Naushad to break the war!
Devanshu about Naushad to break the war!

 

দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ যত কাণ্ড ডায়মন্ড হারবারে! এই কেন্দ্র থেকে নিজেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে লড়বেন বলে ঘোষণা করেছিলেন ISF বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি। তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদকে হারানোর চ্যালেঞ্জ তুলে নিয়েছিলেন নিজের কাঁধেই। শেষমেষ চিত্র বদল ISF-এর। এই কেন্দ্রে আইএসএফ অন্য প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে। এরপরেই নওশাদ সিদ্দিকিকে নিশানা তৃণমূল কংগ্রেস মুখপাত্র তথা তমলুকের প্রার্থী দেবাংশু ভট্টাচার্য।

দীর্ঘদিন ধরেই জল্পনা ছিল এই কেন্দ্রে তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখোমুখি হবেন নওশাদ। নিজের মুখেই সেই কথা ঘোষণা করেছিলেন তিনি। তবে সেগুরে বালি। এই কেন্দ্র থেকে আইএসএফের তরফে প্রার্থী করা হল মজনু নস্করকে। শেষমেষ নওশাদ রণে ভঙ্গ দিলেন সেই নিয়ে খোঁচা তৃণমূলের। দেবাংশু নিজের এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, ‘অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ে বিরুদ্ধে দাঁড়াতে চেয়ে, নিজেই চ্যালেঞ্জ জানিয়ে তারপর নিজেই সেখান থেকে পালিয়ে যাওয়াকে নওশাদ সিদ্দিকি বলে।’ উল্লেখ্য, এই কেন্দ্রে দাঁড়ানোর কথা নিজেই জানিয়েছিলেন নওশাদ।

গত মার্চ মাসে দেশের দিকে ফুরফুরা শরিফে বিষয়টি নিয়ে বৈঠকে বসেছিল আইএসএফের নেতৃত্বরা। সেখানেই নওশাদ এই কেন্দ্র ভোটে দাঁড়ানোর ইচ্ছাপ্রকাশ করলেও দলের রাজ্য কমিটি থেকে আপত্তি তোলা হয়। তার জায়গায় নওশাদকে তারকা প্রচারক হিসেবে ব্যবহার করার জন্য মত দেন অনেকে। পাশাপাশি, সিপিএম কংগ্রেসের সঙ্গেও এই আসন নিয়ে তাঁদের একপ্রস্থ আলোচনা চলছিল।

এর মাঝেই বৃহস্পতিবার রাতে আইএসএফের তরফে ফের একটি প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করা হয়। সেখানে দেখা যায়, ডায়মন্ড হারবার কেন্দ্র থেকে লড়ছেন না নওশাদ। এরপরেই বিষয়টি নিয়ে কটাক্ষ করা শুরু করে দেওয়া হয় তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে। সরাসরি নওশাদকে আক্রমণ করে দেবাংশু বলেন, ‘এই জন্যই আমরা বলি পান্তা ভাত খেয়ে বিরিয়ানির ঢেঁকুর তোলা উচিত না।’ ISF-এর রাখডাক সার হল বলে কটাক্ষ ছুড়ে দেয় তৃণমূল কংগ্রেস।

অন্যদিকে, সিপিএমের সঙ্গে ISF-এর জোটের সম্ভাবনা তৈরি হলেও বেশ কিছু কেন্দ্রে নিজেদের মতো প্রার্থী ঘোষণা করেছে ISF। ডায়মন্ড হারবারের পাশাপাশি বসিরহাট, যাদবপুর কেন্দ্রেই প্রার্থী ঘোষণা করে দেওয়া হয়েছে। ফলত, জোট বা আসন সমঝোতার বিষয়টি অনেকটাই ধাক্কা খেল বলে ধারণা রাজনৈতিক মহলে। যদিও, বিষয়টি নিয়ে কংগ্রেস, সিপিএমের উপরেই দায়ভার চাপিয়েছে আইএসএফ। আগামী দিনে এই দুটি দল লোকসভা নির্বাচনে আলাদা পথে লড়বে বলেই মনে করা হচ্ছে।

You might also like!