নাগরাকাটা: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হস্তক্ষেপে বৃহস্পতিবার জলপাইগুড়িতে অনুষ্ঠিত প্রশাসনিক বৈঠকে সমস্যা সমাধানের কথা বলা হয়। সেই মোতাবেক শুক্রবার থেকে ফের ক্ষুদ্র চা চাষিদের কাঁচা পাতা কেনা শুরু করল উত্তরবঙ্গের বটলিফ ফ্যাক্টরিগুলি। এতে সন্তুষ্ট ক্ষুদ্র চা চাষ অধ্যুষিত উত্তরবঙ্গের উত্তর দিনাজপুর, দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার ও কোচবিহারের চাষিরা। স্বস্তির আবহ উত্তরবঙ্গের চা শিল্পেও।
এর আগে কাঁচা পাতা বিক্রির সময় ক্ষুদ্র চা চাষিদের কাছ থেকে নিষিদ্ধ রাসায়নিক বা কীটনাশক নেই এই মর্মে স্বীকৃত ল্যাবরেটরির শংসাপত্র প্রদান বাধ্যতামূলক করার কথা ঘোষণা করেছিল বটলিফ ফ্যাক্টরিগুলি। শংসাপত্র না দিতে পারায় ১ এপ্রিল থেকে ওই ফ্যাক্টরিগুলি কাঁচা পাতা কেনা বন্ধও করে দেয়। রুটি রুজি হারানোর আশঙ্কায় এর জেরে আন্দোলনের প্রস্তুতি শুরু করে জলপাইগুড়ি জেলা ক্ষুদ্র চা চাষি সমিতি, নর্থ বেঙ্গল স্মল টি প্ল্যান্টার্স অ্যাসোসিয়েশন, আইটিপিএ-র স্মল অ্যান্ড নিউ গার্ডেন ফোরাম, উত্তরবঙ্গ ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক চা চাষি সমিতি, উত্তর দিনাজপুর স্মল টি গ্রোয়ার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েন, চোপড়া স্মল টি প্ল্যান্টার্স সোসাইটি, উত্তরবঙ্গ ক্ষুদ্র চা চাষি ওয়েলফেয়ার সমিতির মত উত্তরের ক্ষুদ্র চা চাষিদের ৭টি জোটবদ্ধ সংগঠন। ৫০ হাজার ক্ষুদ্র চা চাষির বাগান হাজার তিনেক নতুন এবং প্রজেক্ট চা বাগানগুলিও সংকটের মুখে পড়ে। সব মিলিয়ে ওই সমস্ত বাগানের ওপর প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে নির্ভরশীল ১০ লক্ষ শ্রমিক ঘোর বিপাকে পড়েন। এরপরই মুখ্যমন্ত্রী মানবিক দৃষ্টিভঙ্গিতে বটলিফ ফ্যাক্টরিগুলিকে বিষয়টি দেখার অনুরোধ জানান। প্রশাসনের কাছেও আর্জি জানান দ্রুত সমাধানসূত্র খুঁজে বের করার জন্য। এরপরই বৃহস্পতিবার জলপাইগুড়ির জেলাশাসক সামা পারভিনের কার্যালয়ে সব পক্ষকে নিয়ে একটি জরুরি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে ক্ষুদ্র চা চাষি ও বটলিফ ফ্যাক্টরিগুলির প্রতিনিধিরা ছাড়াও অনলাইনে যোগ দেন টি বোর্ড, স্বাস্থ্য দপ্তর ও রাজ্যের শিল্প বাণিজ্য দপ্তরের শীর্ষ আধিকারিকরা। সেখানে ঠিক হয় যে পদ্ধতিতে কাঁচা পাতা কেনা বেচা চলছে তা অক্ষুণ্ণ থাকবে।