হুগলি: আগামী ১৭ এপ্রিল রামনবমী। সেই উপলক্ষ্যে রিষড়া-শ্রীরামপুরের রামনবমী শোভাযাত্রা নিয়ে এক প্রশাসনিক সমন্বয় সভার আয়োজন করেছিল চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেট। রিষড়া রবীন্দ্র ভবনে এই সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়।এই প্রশাসনিক সমন্বয় সভায় উপস্থিত ছিলেন চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেটের অন্তর্গত শ্রীরামপুরের ডিসিপি অর্ণব ঘোষ সহ অন্যান্য শীর্ষ পুলিশ আধিকারিকরা। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন শ্রীরামপুরের মহকুমা শাসক, রিষড়া পৌরসভার চেয়ারম্যান বিজয় সাগর মিশ্র, ভাইস চেয়ারম্যান জাহিদ হাসান খান, শ্রীরাম জন্মোৎসব কমিটির পক্ষে সুদামা সিং, ধর্মেন্দ্র সিং সহ রিষড়া-শ্রীরামপুরের বিশিষ্ট ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
এই সমন্বয় সভায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে সবাইকে বলা হয়, হাইকোর্টের নির্দেশ পালন করতে হবে। প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে যে, ১৩টি শ্রীরাম জন্মোৎসব কমিটি শোভাযাত্রা করবে। প্রতিটি শোভাযাত্রায় ২০০ জন করে থাকতে পারবে এবং ২০ জন স্বেচ্ছাসেবক থাকবে। প্রতিটি শোভাযাত্রার কমিটিকেই আলাদা আলাদাভাবে অনুমতি নিতে হবে প্রশাসনের তরফে। প্রতিটি শোভাযাত্রার কমিটিকেই পৃথক নম্বর দেওয়া হবে। শোভাযাত্রা দুপুর ২টায় শুরু হয়ে বিকেল ৫টায় শেষ হবে। কোনও ধরনের অস্ত্র নিয়ে শোভাযাত্রায় কেউ অংশগ্রহণ করতে পারবে না। শোভাযাত্রায় ২০টি গাড়ি থাকতে পারবে। শোভাযাত্রা শুরুর ৪৮ ঘণ্টা আগে কমিটিগুলোকে তাদের স্বেচ্ছাসেবকদের নাম ও গাড়ি সংক্রান্ত তথ্য থানায় জমা দিতে হবে। কারোর ভাবাবেগে আঘাত লাগে এমন কোনো গান বাজানো বা স্লোগান দেওয়া যাবে না। শ্রীরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক জানান, শোভাযাত্রায় কোন গান বাজানো হবে ও স্লোগান দেওয়া হবে সে বিষয়ে পুলিশকে আগে থেকেই জানাতে হবে। তারপর পুলিশ সিদ্ধান্ত নেবে এর মধ্যে কোন গান ও স্লোগান উত্তেজক।
রিষড়া পৌরসভার চেয়ারম্যান বিজয় সাগর মিশ্র বলেন, শোভাযাত্রা আয়োজনে রিষড়া পৌরসভা সব ধরনের সহযোগিতা করবে। এবারের রামনবমীর শোভাযাত্রা অবশ্যই সফল হবে বলে মত প্রকাশ করেন তিনি।
উল্লেখ্য, গত বছর রাম নবমীর সমাবেশ ঘিরে রিষড়া-শ্রীরামপুরে উত্তেজনা ছড়ায়। এনআইএ এই মামলার তদন্ত করছে। পুলিশের পক্ষ থেকে আয়োজকদের বারবার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যে, হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী সমাবেশে লোকের সংখ্যা সীমাবদ্ধ রাখতে হবে।
প্রসঙ্গত, শ্রীরামলালার প্রাণপ্রতিষ্ঠার পর এটাই প্রথম রামনবমী। তবে স্থানীয় বাসিন্দারা মনে করছেন যে এবছর সেইকারণে শোভাযাত্রায় প্রচুর ভক্ত সমাগম হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এই শোভাযাত্রার ভিড় নিয়ন্ত্রণ করা প্রশাসন ও আয়োজক উভয়ের কাছেই জন্য বড় চ্যালেঞ্জ বলে স্থানীয়দের অভিমত।