দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ বেসিন,কমোড সহ সমস্ত বাথরুম পরিষ্কার রাখা খুবই ঝঞ্ঝাট। বিশেষ করে যেই অঞ্চলের জলে আয়রন বেশি তাদের সমস্যা আরো বেশি। তবে এই সমস্যার সমাধান আমাদের ঘরেই আছে। ঘরের যেমন সব সময়ে পরিষ্কার রাখা জরুরি, ঠিক তেমনই বাথরুম পরিচ্ছন্ন রাখার দিকেও নজর দিতে হবে। বাথরুমের মেঝে, বেসিন সহজে পরিষ্কার হলেও কোমোডের ক্ষেত্রে বেগ পেতে হয় অনেককেই। কিন্তু জানেন কি, রান্নাঘরের মাত্র একটি উপাদান ব্যবহার করেই এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যেতে পারে? একটি লেবুর সাহায্যে কোমোড হতে পারে নতুনের মতো ঝকঝকে। রান্নার স্বাদ বাড়ানো ছাড়াও রসুনের আরও অনেক গুণ রয়ে়ছে। বাতের ব্যথায় রসুন তেল ব্যবহার করলে স্বস্তি পাওয়া যায়। রসুনের এই ব্যবহারগুলি কমবেশি সকলেই জানেন। কিন্তু যেটা অনেকেই জানেন না তা হল, রসুন শৌচালয়কে জীবাণুমুক্ত রাখতে সাহায্য করে।পছন্দের কাজ না হলেও, সপ্তাহে এক দিন শৌচালয় পরিষ্কার করতেই হয়। ঘন ঘন পরিষ্কার না করলে নানারকম ব্যাক্টেরিয়া বাসা বাঁধে। সেখান থেকেই নানা রোগবালাইয়ের আশঙ্কা থেকে যায়। শৌচালয়ের যে অংশে সবচেয়ে বেশি জীবাণু থাকে, তা হল কমোড। মল-মূত্র ত্যাগের পর ফ্লাশ করছেন মানেই কমোড পরিষ্কার হয়ে যাচ্ছে, তা কিন্ত নয়। বিভিন্ন জীবাণুনাশক তরল দিয়ে অনেকেই প্রতি সপ্তাহে কমোড পরিষ্কার করেন। তবে কমোড জীবাণুমুক্ত রাখার ঘরোয়া একটি উপায় রয়েছে। কমোড পরিষ্কার রাখার ঘরোয়া টোটকা হতে পারে রসুন। কী ভাবে ব্যবহার করবেন?
রাতে শৌচালয় কম ব্যবহার হয়। তাই এই টোটকা ব্যবহারের উপযুক্ত সময় হতে পারে রাত। কমোডের মধ্যে ৩-৪ টি রসুনের কোয়া ফেলে দিন। ফ্লাশ করবেন না। সকালে উঠে ফ্লাশ করুন। সারা রাত রাখলে রসুন কমোডের সমস্ত ব্যাক্টেরিয়া শোষণ করে নেবে। সপ্তাহে দু’দিন এটি করলেই উপকার পাওয়া যাবে।
ব্যাক্টেরিয়া দূর করা ছাড়াও কমোডের দাগছোপ তুলতেও রসুন ব্যবহার করতে পারেন। রসুনের গুণে সাদা ঝকঝকে থাকবে কমোড। কী ভাবে ব্যবহার করবেন? কয়েকটি রসুনের কোয়া কুচি করে কেটে জলে মিশিয়ে ফুটিয়ে নিন। সেই মিশ্রণটি গরম থাকতে থাকতে কমোডে ঢেলে দিন। সঙ্গে সঙ্গে ভুলেও ফ্লাশ করবেন না। কম করে হলেও অন্তত ঘণ্টা দেড়েক পরে জল দিতে পারেন।