দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ ভারতের হাজার বছরের আয়ুর্বেদ শাস্ত্র বহু আগেই এই তেঁতুলের কথা বলেছে। মানুষের জীবন-যাপনের জন্য 'ফ্যাটি লিভার' একটা কমন অথচ মারাত্মক রোগ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই ফ্যাটি লিভার দু'রকম - এলকোহলিক ও নন এলকোহলিক ফ্যাটি লিভার। দুই ক্ষেত্রেই তেঁতুল মহৌষধের কাজ করে। শুধু তাই নয়, সাধারণ সুস্থ মানুষেরা যদি মাঝে মাঝে নিয়ম করে তেঁতুল খান,তাহলে ফ্যাটি লিভার হওয়ার সম্ভাবনাও খুব কমে যায়। চিকিৎসকেদের মতে, লিভারে সামান্য ফ্যাট জমলে তাতে চিন্তার কোনও কারণ নয়। তবে এর পরিমাণ যদি বাড়তে থাকে, তাহলে লিভার সিরোসিস বা ফ্যাটি লিভারের অশঙ্কা বাড়ে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এই সমস্যার প্রথমিক লক্ষণ দেখা দিতে অনেকটা সময় লেগে যায়। এক্ষেত্রে পেটের উপরে বা মাঝের দিকে যন্ত্রণা, বমি ভাব, ক্লান্তিু, খিদে কমে আসার মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এই ফলের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে মিনারেল, ভিটামিন ও ডায়েটারি ফাইবার। তেঁতুলের ক্বাথে রয়েছে পলিস্যাকারাইড বা ডায়েটারি ফাইবার। যেমন ধরুন- টায়ারস, হেমিসেলুলোজ, পেকটিন, মিউকাস এবং ট্যানিন, যা নানা ভাবে শরীরের উপকারে লাগে।
১০০ গ্রাম তেঁতুলের ক্বাথে ৫১ গ্রাম ডায়েটারি ফাইবার থাকে, যা কোলনকে নানাবিধ ক্ষতিকর টক্সিক উপাদানের হাত থেকে রক্ষা করে। এছাড়াও তেঁতুলে থাকে ওয়াইন অ্যাসিড এবং টার্টারিক অ্যাসিডের মতো শক্তিশালী অ্যান্টি অক্সিড্যান্ট। কপার পটাসিয়াম, ক্যালসিয়াম, আয়রন, সেলেনিয়াম, জিঙ্ক, ম্যাগনেশিয়াম, ভিটামিন সি, নিয়াসিন, থিয়ামিন, ফোলিক অ্যাসিড, রাইবোফ্লাভিনও মজুত রয়েছে এই ফলে।
তেঁতুল ব্যবহারের নিয়ম -
নানা ভাবেই তেঁতুল খেতে পারেন। পাকা তেঁতুলের কাঁথ বিট নুন দিয়ে খেতে পারেন। অথবা তেঁতুল দিয়ে শরবত বানিয়ে খেতে পারেন।
তেঁতুল ফ্যাটি লিভারের মহৌষধ তো বটেই,তার সঙ্গে অন্যান্য বহু রোগ প্রতিরোধ করে। যেমন -
*হৃদরোগের আশঙ্কা কমায়।
*কোলন ক্যানসারের মতো রোগও দূরে থাকবে।
*তেঁতুলে থাকা ল্যাকটিক, কোষ্ঠকাঠ্যিন্যের মতো সমস্যা দূর করে।
*তেঁতুলে রয়েছে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট উপাদান, যা ত্বকে সৌন্দর্য ধরে রাখে।
*শরীর থেকে ক্ষতিকর টক্সিন বের করতে সাহায্য করে।
*সেই সঙ্গে লিভারে জমে থাকা ফ্যাট গলাতেও বিশেষ ভূমিকা নেয় তেঁতুলের ক্বাথ।