দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ সুস্থ থাকতে প্রতিদিন জোয়ান জল খান, দূর হবে কোলেস্টেরলের সমস্যা। শরীরে জমা হওয়া টক্সিন বা বিষাক্ত পদার্থ বার করতে সাহায্য করে জোয়ানের জল। এর ফলে শরীর থাকে ঝরঝরে। গবেষণা বলছে, টক্সিন শরীর থেকে বেরিয়ে গেলে বিপাকহার বৃদ্ধি পায়। পাশাপাশি, হজমশক্তি বাড়ে। অত্যন্ত উপকারী একটি ভেষজ হলো জোয়ান। এতে রয়েছে একাধিক জরুরি প্ল্যান্ট কম্পাউন্ড। যার ফলে এই ভেষজ নিয়মিত সেবন করলে শরীর ও স্বাস্থ্যের হাল ফেরে। দূরে থাকে একাধিক জটিল রোগ।
জোয়ান জল খেলে কি কি উপকার পাবেন জেনে নিন-
*গ্যাস, অ্যাসিডিটির সমস্যায় ভুক্তভোগীরা নিয়মিত খেতেই পারেন জোয়ান জল। আসলে এই পানীয়ে উপস্থিত একাধিক উপাদান পাকস্থলীর হাল ফেরায়। যার ফলে খাবার দ্রুত হজম হয়ে যায়। শুধু তাই নয়, নিয়মিত এই পানীয় খেলে অন্ত্রে ভালো ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা বাড়ে। সেই সুবাদে বিরক্ত করতে পারে না গ্যাস, অ্যাসিডিটি। তাই রোজের নাইট রুটিনে অবশ্যই জোয়ান জলকে জায়গা করে দিতে হবে। তাতেই সমস্যার ফাঁদ এড়িয়ে যেতে পারবেন।
*ডায়াবেটিসকে বশে রাখা ভীষণই জরুরি। অন্যথায় শরীর ও স্বাস্থ্যের হাল বিগড়ে যায়। কিডনি, স্নায়ু, চোখ থেকে শুরু করে একাধিক অঙ্গের হতে পারে ভয়াবহ ক্ষতি। তাই যে ভাবেই হোক সুগারকে বশে রাখতে হবে। আর সেই কাজে আপনাকে সাহায্য করতে পারে জোয়ান জলের মতো একটি অ্যান্টিডায়াবেটিক গুণ যুক্ত পানীয়। তাই ডায়াবেটিস রোগীরা শুতে যাওয়ার আগে অবশ্যই জোয়ান জল খান।
*শীত পড়তেই অনেকের ফুসফুসের বিপদে পড়ছেন। শুরু হয়ে গিয়েছে শ্বাসকষ্ট। তাই এই সময় অ্যাজ়মা ও সিওপিডি রোগীদের সাবধান হতে হবে। আপনারা প্রতিদিন শুতে যাওয়ার আগে খেয়ে নিন জোয়ান জল। এই পানীয় প্রদাহ কমাতে পারে। সেই সঙ্গে ফুসফুস থেকে ক্ষতিকর উপাদান বের করে দেয়। যার ফলে একাধিক জটিল রোগের ফাঁদ এড়িয়ে চলা যায়।
*হাই কোলেস্টেরলের সমস্যায় এটি দুর্দান্ত কাজ করে। রোজের ডায়েট থেকে অবশ্যই বাদ দিতে হবে ফাস্ট ফুডকে। এর পাশাপাশি এড়িয়ে চলতে হবে রেড মিট, ঘি ও মাখন। তার বদলে রোজ রাতে শোওয়ার আগে জোয়ান মেশানো জল খান। এই জলে উপস্থিত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ফাইবার কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে। যার ফলে সুস্থ থাকে হৃৎপিণ্ড।
*এই জলে রয়েছে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদানের ভাণ্ডার। যার ফলে সহজেই ব্যাকটেরিয়ার ভবলীলা সাঙ্গ করে ফেলা যায়। তাই আপনার রাতের ডায়েটে অবশ্যই রাখতে পারেন জোয়ান মেশানো জল। এই পানীয় পান করলেই সুস্থ থাকার পথে ধীরে ধীরে এগিয়ে যেতে পারবেন।
গ্যাস-অম্বল, পেটের অন্যান্য গোলমাল দেখা দিলেই ঈষদুষ্ণ জলে জোয়ান ভিজিয়ে খেয়ে নিলেই, অনেকটা আরাম বোধ হয়।