Horoscope

1 year ago

Janmashtami :কৃষ্ণকে তার জন্মস্থান মথুরা ছাড়তে হয়েছিল! জন্মাষ্টমীর পালনের আগে জেনে নিন এই কাহিনি

Janmashtami
Janmashtami

 

দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ ভগবান শ্রীকৃষ্ণের তাঁর জন্ম নগরী মথুরা অত্যন্ত প্রিয়। তাঁর শৈশব কেটেছে গোকুল, বৃন্দাবন, নন্দগাঁও, বারসানার মতো জায়গায়। নিষ্ঠুর মামা কংসকে হত্যা করার পর তিনি তার পিতামাতাকে কারাগার থেকে মুক্ত করেন। জনসাধারণের অনুরোধে কৃষ্ণ সমগ্র মথুরা রাজ্য দখল করেন। সেখানকার মানুষও কংসের মতো নিষ্ঠুর শাসকের কাছ থেকে মুক্তি চেয়েছিল, কিন্তু তা এত সহজ ছিল না। কংসকে হত্যা করার পর তার শ্বশুর জরাসন্ধ কৃষ্ণের ঘোর শত্রুতে পরিণত হন। নিষ্ঠুর জরাসন্ধ ছিল মগধের শাসক।

হরিবংশ পুরাণ অনুসারে জরাসন্ধ তার সাম্রাজ্য বাড়াতে চেয়েছিলেন। এ জন্য তিনি অনেক রাজাকে পরাজিত করেছিলেন এবং তাদের অধীনস্থও করেছিলেন। কংসের মৃত্যুর পর তিনি এর প্রতিশোধ নিতে চেয়েছিলেন এবং মথুরা দখল করতে চেয়েছিলেন।

জরাসন্ধ ১৮ বার মথুরায় আক্রমণ করেছিলেন

পুরাণ অনুসারে, জরাসন্ধ ১৮ বার মথুরা আক্রমণ করেছিলেন যাতে তিনি ১৭ বার ব্যর্থ হন। শেষবারের মতো জরাসন্ধ আক্রমণের জন্য একজন বিদেশী শক্তিশালী শাসক কালায়নকেও সঙ্গে নিয়েছিলেন। যুদ্ধে কালায়বন নিহত হন, তার পর তার দেশের মানুষ কৃষ্ণের শত্রু হয়ে ওঠে।

মথুরার সাধারণ মানুষও বারবার এই যুদ্ধে জর্জরিত হয়। নগরীর নিরাপত্তা দেয়ালও ক্রমশ দুর্বল হতে থাকে। অবশেষে সমস্ত বাসিন্দাদের সঙ্গে কৃষ্ণ মথুরা ছেড়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। কৃষ্ণ যুক্তি দিয়েছিলেন যে তিনি যুদ্ধ থেকে পালিয়ে যাবেন না তবে তার নির্বাচিত স্থান এবং বিন্যাস অনুসারে যুদ্ধ করবেন।

কৃষ্ণ দ্বারকা নগরী প্রতিষ্ঠা করেন

কৃষ্ণ মথুরার সমস্ত লোককে নিয়ে বর্তমানে গুজরাটের উপকূলে কুশস্থলীতে আসেন। এখানে তিনি তার বিশাল দ্বারকা নগরী নতুন করে গড়ে তোলেন। জনগণের নিরাপত্তার জন্য তিনি চারদিক থেকে মজবুত প্রাচীর দিয়ে পুরো শহরকে সুরক্ষিত করেছিলেন। পুরাণ অনুসারে, শ্রী কৃষ্ণ এখানে ৩৬ বছর রাজত্ব করেছিলেন।

You might also like!