Health

1 year ago

Mental Health : অনন্ত জীবনের ইতিবৃত্যান্ত! জানুন বিশেষজ্ঞ সুজিত পালের সাথে

Mental Health
Mental Health

 

দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ প্রতিটি প্রানী একটি নির্দিষ্ট জীবন চক্রের মধ্যে আবদ্ধ।তেমনই একজন মানুষের জীবন ও তখনই পূর্ণতা পায় যখন তার জীবন চর্যাটি এই জীবন চক্রের প্রতিটি স্তরকে অতিক্রম করে। আধুনিক বিঞ্জানের অগ্রগতি ও বিস্তার বিভিন্ন প্রথাগত পরীক্ষন তনিরীক্ষনের গন্ডি অতিক্রম করে বর্তনামে নানা বিধ অপ্রথাগত বিষয় নিয়ে চর্চা শুর‍ করেছে, যা  তথাকথিত সমাজ জীবন কেন্দ্রীক না হয়েও বর্তমান সময়ে সুষ্ঠ সমাজ ও মানব জীবনের জন্য অনেকক্ষেত্রেই প্রাসঙ্গীক হয়ে উঠেছে। 


 সাধারনত একটি মানুষের জীবন প্রক্রিয়ার আরম্ভ হয় মাতৃ জঠরে প্রানের সঞ্চারের মধ্য দিয়ে । এরপর  ধীরে ধীরে তার বেড়ে ওঠা ও ভূমিষ্ঠ হওয়ার মধ্য দিয়ে তার জীনচক্র গতি পায়, পরবর্তী সময়ে কালের নিয়মে তার মধ্যে শৈশব, কৈশর , যৌবনের সঞ্চার হয় , পরিশেষে তার মধ্যে আসে বার্ধক্য। বার্ধক্য কে আমরা মনোস্তত্বের ভাষায় দ্বিতীয় শৈশব বলে থাকি। বার্ধক্যের এই স্তরে অধিকাংশ মানুষের মধ্যেই আমরা শৈশবের মতই জেদ , একরোখা মনোভাব দেখতে পাই, যা স্বাভাবিক, কিন্তু এই সময় প্রতিটি মানুষের মধ্যে এই অনুভূতি আসে যে তার  কাছহে সময় শেষ হয়ে আসছে,শেষ সময় টুকু আঁকড়ে ধরে রাখতে চায় অনেকে, সে সময় তাদের মধ্যে এক অদ্ভুত পরিবর্তন দেখতে পাওয়া যায়। কখন সেই মানুষটি বিনা কারনে অথবা ছোট ছোট কারনে রাগ করে, তার মধ্যে অভিমানের অনুভূতিও থাকে প্রবল। কারন এই বার্ধক্যে জর্জরিত মানুষটির এইঅনুভূতি হয় যে তাকে সব কিছু ছেড়ে রেখে চলে যেতে হবে ইহলোক থেকে পরলোকের দিকে, সাথে তার মধ্যে এই অনুভূতি ও আসে ইহলোকের যা কিছু সে সব তার কষ্ঠার্জিত অথচ এই সব ফেলে চলে যাওয়া টা অনেকেই মেনে নিতে পারেন না। তখনই সেই মানুষটির মধ্যে একটি দ্বন্ধ তৈরী হয়। 


প্রতিটি বস্তুর সক্রিয়তার বা কার্যকারিতার একটি নির্দিষ্ট সময় থেকে, সে সময় অতিবাহিত হলে তার প্রতিস্থাপন প্রয়োজন হয়। মানুষের নশ্বর  দেহের আধারে বাস করে আত্মা, এই আত্মার ও একটি নির্দিষ্ট কার্যকাল থাকে, এবং কার্যকালের শেষে তার প্রতিস্থাপন ও জরুরি। র মনোস্তত্বের অনুসন্ধান বলে প্রতিটি মানুষের মনের ৭টি স্তর রয়েছে, মনোবৈঞ্জানিকগন তার উপর প্রতি নিয়ত কাজ করে চলেছেন।সাধারন ভাবে প্রতিটি মানুষই  মানব মনের দুটি স্তর সম্পর্কে ওয়াকিবহাল, চেতন ও অচেতন তার পরের স্তর গুলি সম্পর্কে তেমন করে সাধারন মানুষের জানা সম্ভব নয়। মানুষের আত্মা ও মন একে ওপরের পরিপূরক, দুটি বিষয় একই সূত্রে আবদ্ধ, সেক্ষেত্রে মনের স্বাস্থ্যের উপর একজন মানুষের আত্মার গঠন অনেকাংশেই নির্ভরশীল। 

মানুষের শরীর নশ্বর হলে ও আত্মা কিন্তু অবিনশ্বর, এবং আত্মা সবসময় সচল অর্থাৎ সে এক দেহ থেকে অন্য দেহে প্রতিস্থাপিত হতে থাকে। কিন্তু মানব মন কিন্তু আত্মকেন্দ্রীক সে তার এই দেহ শৌষ্ঠবের নশ্বরতাকে সহজে গ্রহন করেনা, প্রতিটা মুহুর্তে এই পৃথিবী ছেড়ে চলে যাবার দুঃখ তাকে পেয়ে বসে। সে ক্ষেত্রে আমরা লক্ষ্য করেছি যে অতি বয়স্ক মানুষের মধ্যে এই ভয়ের সঞ্চারের মাত্রা থাকে খুবই কম অন্য দিকে এমন মানুষ যিনি কোনো দুরারোগ্য ব্যাধিগ্রস্থ তার মধ্যে মৃত্যু ভয় কাজ করে অধিক। সেক্ষেত্রে এই মানুষটি এই সময়ে যদি সঠিক একজন পরামর্শদাতার সানিধ্য পান তবে তার সঠিক কাউন্সিলিং এর মাধ্যমে এই প্রক্রিয়াটি খুব সহজেই সম্পন্ন করা সম্ভব। 


আত্মার চলন, তার প্রতিস্থাপন , বা ইহলোক থেকে পরলোকের সফর শেষে পুনরায় ইহলোকে ফিরে আসার যে পদ্ধতি সে সম্পর্কে আমরা কথা বলে নেব ডঃ সুজিত পালের সাথে। দীর্ঘ ১৭ বছর ধরে ডঃ পাল মৃত্যুর পরবর্তী সময়ে আত্মার কার্যাবলী এবং তার পুনরায় মাতৃজঠরে প্রতিস্থাপনের দ্বারা তার নতুন কার্যাবলী সম্পর্কে কাজ করছেন। আসুন ডঃ পালের কাছে এই অতি রোমাঞ্চ্যকর বিষয় সম্পর্কে কিছু কথা জেনে নিই-

প্রঃ ডঃ সুজিত পুর্নজন্ম এই ধারনাটি কী সঠিক? 

উঃ দেহ নশ্বর , তবে আত্মা অবিনশ্বর, সেক্ষেত্রে দেহ যখন তার কার্যকারিতা থাকিয়ে দেয় তখন আত্মা অন্যত্র প্রতিস্থাপিত হয়। অর্থাৎ মানুষের পুর্নজন্ম হয় না, আত্মার পুর্নজন্ম হয় না তবে আত্মা একটি দেহ আধার থেকে পরবর্তী অন্য একটি দেহকে আধার করে নিজের কার্যকারিতা শুরু করে।  

প্রঃ মেডিক্যাল সায়েন্স অনুযায়ী মানুষের মৃত্যুর কত রকম প্রকার ভেদ আছে ? 

উঃ ব্রেন ডেথ, ক্লিনিক্যাল ডেথ, ন্যাচারাল ডেথ এবং আন ন্যাচারাল ডেথ। মৃত্যু প্রতিটি জীবের ক্ষেত্রে যেমন চরম সত্যি তেমনই এর সঠিক প্রমান বা ব্যাখ্যা ও বড়ো জটিল। তবে এটি সবচেয়ে বেশী আলোচিত একটি বিষয় ও বটে। 

প্রঃ মৃত্যুকে খুব সহজ ভাষায় কী ভাবে বর্ননা করবেন? 

উঃ মৃত্যু ঠিক পোষাক পরিবর্তনের মতই একটি সহজ একটি পদ্ধতি। একটি পোষাক যেমন দীর্ঘ দিন ব্যবহার সম্ভব নয়, তার পরিবর্তন যেমন কাম্য, ঠিক তেমনই মৃত্যর মাধ্যমে পুরানো দেহ পরিত্যাগ করে আত্মা একটি পরিষ্কার ও অব্যবহৃত দেহ ধারন করে মাত্র। মৃত্যু আসলে কোনো যন্ত্রনা দায়ক পদ্ধতি নয় বরং মৃত্যু পরবর্তী আত্মার যে নবীকরন পদ্ধতি তা অনেক বেশী রোমাঞ্চকর এবং আনন্দের। 

প্রঃ ডঃ পাল এমন মানুষ যিনি হয়ত এই ডেথ প্রসেসের খুব কাছে আছেন তাদের বা তাদের কাছের মানুষদের কী পরামর্শ দেবেন?

উঃ আপনার খুব কাছের বা খুব আপন মানুষ তাদের যদি এই সময় সঠিক কাউন্সিলিং র মাধ্যমে যদি এটা বোঝানো যায় সবটা আকড়ে ধরে রাখাটা জীবনের ধরন নয়, কখনো কখনো  কিছু বিষয়কে যেতে দিতে হয়। শুধু তাই নয় যদি সঠিক ব্যাখা দ্বারা মানুষটি কে মননে, চিন্তনে , শারিরীক ও মনোস্তাত্বিক ভাবে এি ডেথ প্রসেস সম্পর্কে বোঝানো যায়, তবে মৃত্যু কখনই তার কাছে আতঙ্কের হবে না , বরং তার এই ইহলোক থেকে পরলোক হয়ে পুনরায় ইহলোকের এই সফর অনেকাংশেই আনন্দের হতে পারে। 

প্রঃ এই ডেথ প্রসেস শুরু করার কী কোনো সঠিক সময় আছে? যদি থাকে তবে তা থেকে কী কোনোরূপ সুফল পাওয়া সম্ভব? 

উঃ মৃত্যুর বেশ কিছুটা সময় আগে থেকে যদি এই প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে ধারাবাহিক ভাবে যাওয়া যায় সেক্ষেত্রে দেহ থেকে আত্মার বিছিন্ন হবার যে প্রক্রিয়া তা অনেক বেশী সহজ ও সাবলীল হতে পারে। সেক্ষেত্রে আত্মার এই যে বিমুক্তির চিরন্তন যে পদ্ধতি তা কেবল মানব শরীর বা মন নয় আত্মার ক্ষেত্রে ও অনেক বেশী সাবলীল হতে পারে। এক্ষেত্রে একজন সঠিক মেন্টর সঠিক পথপ্রদর্শক হতে পারেন। 


প্রঃ  ডঃ অনেক সময় এমন ঘটনা দেখা গিয়েছে একজন মানুষের মৃত্যুর কিছু সময়ের ব্যবধানে তার সঙ্গীর ও মৃত্যু হয়েছে, এর কী কোনো ব্যাখ্যা আছে? 

উঃ হ্যা এমন ঘটনা অনেক ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে যে সঙ্গীর মৃত্যুর কিছু সময় পরে অপর সঙ্গীর ও মৃত্যু হয়েছে। এমন ঘটনার ব্যাখ্যা দিতে গেলে বলতে হবে, আমাদের সমাজে যে রীতিনীতি মেনে দু'জন মানুষ বৈবাহিক সম্পর্কে আবদ্ধ হয় , সে সময় যে শক্তির প্রয়োগ করা হয়ে থাকে বা দুইজন ব্যক্তির যে নিজস্ব শক্তি থাকে তার সংমিশ্রনে তা অতি সক্রিয় ও জোড়ালো একটি শক্তির রূপ নেয়, এবং এই শক্তির মাধ্যমে দু'জন মানুষ কে অন্যের সাথে আবদ্ধ হয়, ফলত তাদের মধ্যে একটি জোড়ালো বন্ধন তৈরী হয়। কালের নিয়মে যখন একজন মানুষের আত্মা তার দেহ পরিত্যাগ করে , তখন অপর জন যে তার সাথে একই শক্তির বন্ধনে আবদ্ধ ছিল তার আত্মিক শক্তিকে পরলোকগামী আত্মা আবাহন করে এবং যেহেতু দুটি মানুষ একই শক্তিতে আবদ্ধ ছিলে সেক্ষেত্রে এমন ঘটনা দেখতে পাওয়া যায়। 

প্রঃ এমন ঘটনা তো কেবল দুজন সঙ্গীর ক্ষেত্রেই নয়, অনেক সময় খুব কাছের মান্নুষের ক্ষেত্রে ও দেখা যায়, তার কী ব্যাখ্যা দেবেন? 

উঃ হ্যা অনেক ক্ষেত্রে খুব কাছের বন্ধু , ভাই বা বোন বা আত্মীয়ের ক্ষেত্রে এমন দেখা যায়, সেক্ষেত্রে ও এই দুটি মানুষের মধ্যে গড়ে ওঠা যোগসূত্রের যে শক্তি তা খুব সক্রিয় বলে ধরে নিতে হবে।  

প্রঃ এমন ঘটনার ক্ষেত্রে ডেথ জার্নি বিষয়ে আপনার কী মত? 

উঃ এ ক্ষেত্রে প্রতিটা মানুষের মধ্যে দুরত্ব বজায় রাখার কৌশলটি জানতে হবে। দুটি মানুষে যখন একে অপরের খুব কাছে থাকছে তখন তাদের মধ্যে ধনাত্বক শক্তির সঞ্চালন কে অব্যহত রেখে একটি সন্তোষজনক দুরত্বকে বজায় রাখতে হবে সেক্ষেত্রে একজন প্রিয় মানুষের আত্মার মুক্তির সাথে সাথে তার সাথে সক্রিয় ভাবে যুক্ত থাকা মানুষটির সময়ের আগেই নিজের আত্মার যে বিমুক্তিকরন তা রোধ কর সম্ভব। 

প্রঃ ডি-অ্যাটাচমেন্ট কী আর কেমন হয় এই পদ্ধতি? 

উঃ সব মানুষের ই তার প্রিয় মানুষদের থেকে আত্মিক ভাবে একটি সুরক্ষিত দুরত্ব বজায় রাখা উচিত। প্রতিট মানুষকে এর সঠিক অভ্যাস ও প্রয়োগ প্রয়োজন অন্যথায় উপরে আলোচিত ঘটনা সমূহ ঘটতে পারে। 

প্রঃ ডঃ পাল এতো নর্মাল ডেথের কথা , আজকের সমাজে সুইসাইড করার প্রবনতা অনেক বেড়ে গিয়েছে, এর কারন কী? 

উঃ সমাজে অনেক মানুষ ক দেখা যায় যাদের জীবনে প্রতি দিন ঘটে চলা ঘটনাবলী তাদের কাছে অপ্রাসঙ্গীক ও তাদের মন মানসিকতার পরিপন্থী নয় বলে মনে হয় , তার জীবনে ঘটে যাওয়া সমস্ত ঘটনাই ভুল বলে মনে হয়, ফলে তৈরী হয় নৈরাশ্য,অথচ তার জীবনে ঘটে যাওয়া ভাল ঘটনা গুলিতে সে মনোযোগ দেয়না , ফলে তার মধ্যে একটা আত্ম হননের মানসিকতা তৈরি হয়।  

প্রঃ সুইসাইড কারা এবং কেমন পরিস্থিতি করে ? 

উঃ কোনো মানুষের জীবনে যখন তার সমাজ ও পরিবারের লোকজন দের কাছ থেকে নিজের মনমতো আচরন পায় না, এবং সেই পরিস্থিতি যখন একই রকম চলতে থাকে তখন তার মধ্যে আত্ম হননের প্রবনতা আসে, আবার অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় এমন কোনো ব্যক্তি যে কোনো দুরারোগ্য ব্যাধি দ্বারা আক্রান্ত সেই মানুষের মধ্যে আত্মহননের প্রবনতা তৈরী হয়। এছাড়া এমন এক শ্রেনীর মানুষ আছেন যারা সারাক্ষন এমন নেতিবাচক পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলে এবং সেই পরিস্থিতি  থেকে নিজেকে কী  ভাবে নিজেকে উদ্ধার করবে তা না ভেবে বর্তমান পরিস্থিতি তে বাঁচতে চান তাদের মধ্যেও আত্ম হননের প্রবনতা তৈরী হয়। 


প্রঃ আত্ম হননের এই প্রবৃত্তিকে কেমন ভাবে আপনি বিবৃত করবেন? 

উঃ আত্ম হননের বিভিন্ন কারন ও পরিস্থিতি রয়েছে ত বে তা এই স্বল্প পরিসরে বর্ননা সম্ভব নয়। সেক্ষেত্রে সঠিক বিবরন বা তার মূলযায়ন না ও হতে পারে। তবে এটুকু বলতে পারি আত্ম হনন কোনো সমাধান নয়, বরং সমস্যার মোকাবিলা করে সঠিক ও সুস্থ ভাবে নিজের জীবন কে পরিচালিত করাকেই সুস্থ জীবন শৈলী বলা যায়। 

প্রঃ সুস্থ জীবন শৈলী গঠনের ক্ষেত্রে আপনি কোন কোন বিষয়ে খেইয়াল রাখতে বলবেন? 

উঃ সুস্থ জীবন যাপনের জন্য ও সুষ্ঠ জীবন পরিচালনার জন্য ধনাত্বক ঘটনার প্রতি বিশেষ আমল দিতে হবে আবং নিজের মানের প্রতি নিয়ত নবীকরন করা প্রয়োজন , তাতে বর্তমান সমাজ ব্যবস্থা ও আধুনিকতার সঙ্গে মানিয়ে নিতে সুবিধা হবে। 

প্রঃ এমন বলতে  শোনা যায় যে মানুষ আত্ম হননের পথ বেছে নেয় তাদের আত্মার মুক্তি হয় না এবং যে স্থানে তারা আত্ম হনন করে সেখানে অতিভৌতিক কার্যাবলী লক্ষ্য করা যায়। এই ধারনা কী সত্যি? 

উঃ আত্ম হনন কখনোই  কোনো আত্মার জন্য সুখকর ঘটনা নয়। প্রতিটি মানুষের কিছু কার্যকারন থাকে পৃথিবীতে আসার জন্য সেক্ষেত্রে যদি সেই মানুষটি তার কার্মা অসমাপ্ত রেখেই চলে যান সেক্ষেত্রে তার আত্মার মধ্যে যে উর্জা থাকে তা তার আত্মাকে ইহলোক থেকে মুক্তি দিতে চায় না। যেমন কোনো বাহনের মধ্যে পর্যাপ্ত জ্বালানি আছে এবং তার গন্তব্য ও স্থির থাকা সত্যেও যদি দিক ভ্রষ্ট হয়ে পড়ে তখন সেই বাহনটি  যেমন তার গন্তব্যকে খুঁজতে  থাকে তেমনই মানব শরীর বাহন ও আত্মা তার জ্বালানি কিন্তু যদি সঠিক লক্ষ্যে না পৌঁছায় সেক্ষেত্রে আত্মার নিজস্ব উর্জা তাকে দিকে দিকে প্রদক্ষিন করাতে থাকে। 

প্রঃ এমন পরিস্থিতি থেকে কী মুক্তি সম্ভব? 

উঃ সম্ভব তবে সেক্ষেত্রে যে স্থান টি তে এই আত্মার চলাচল রয়েছে তার উপর তেমন কিছু কাজ করার থাকে না না বরং যে আত্মা টি সময়ের আগে শরীর ছেড়ে বেরিয়ে এসেছে তার উপর কাজ করতে হয় , তবে এর উপর কাজ করা খুব সহজ কথা নয় কারন এই আত্মার মধ্যে যথেষ্ট শক্তি থাকে ফল তা এই আত্মাটির জন্য যথেষ্ট কষ্টকর হয়ে থাকে। 

প্রঃ বর্তমান প্রজন্মের মধ্যে অনেক বেশী  অস্থিরতা দেখা যায় জীবন সম্পর্কে, এক্ষেত্রে তাদের জীবন যাপনের ক্ষেত্রে কী বলবেন? 

উঃ জীবন একটি সুন্দর যাত্রাপথ, যেখানে না না বাধা বপত্তি আসবে , প্রতি নিয়ত আমরা যা চাইছি তার বিপরীত পরিস্থিতি তৈরী হবে , সেক্ষেত্রে নিজের অভিযোজন ক্ষমতা ও যে কোনো পরিস্থিতি তে নিজেকে মানিয়ে নিতে পারা এবং সমস্ত পরিস্থিতি কে গ্রহন করতে পারার কৌশল আয়ত্ব করতে হবে। সঠিক অনুশীলন , অনুপ্রেরনা , কাউন্সিলিং দ্বারা প্রতিকূল পরিস্থিতির পরিবর্তন সম্ভব।


You might also like!