Health

4 hours ago

Gym safety:জিমে যাওয়ার আগে না জানলে বিপদ, হার্ট অ্যাটাক ঠেকাতে এই টেস্ট করান এখনই

heart attack prevention
heart attack prevention

 

দুরন্তবার্তা ডিজিটাল ডেস্ক :নতুন প্রজন্মের মধ্যে ফিটনেস নিয়ে আগ্রহ আগের চেয়ে অনেক বেশি। অনেকেই প্রতিদিন নিয়ম করে জিমে যাচ্ছেন, শরীরচর্চাকে জীবনের অংশ করে তুলেছেন। সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে জিম সংস্কৃতি জনপ্রিয়তা পাচ্ছে ঠিকই, তবে এর সঙ্গে বাড়ছে কিছু আশঙ্কাজনক ঘটনা। সম্প্রতি একাধিক ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে—শরীরচর্চার মাঝেই হঠাৎ হার্ট অ্যাটাক হয়ে মৃত্যু ঘটছে। এমন অনেক ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সমাজমাধ্যমে, যা উদ্বেগ আরও বাড়িয়ে তুলেছে। তাই চিকিৎসকদের পরামর্শ, জিমে ভর্তি হওয়ার আগে একবার হৃদযন্ত্রের কিছু প্রাথমিক পরীক্ষা করিয়ে নেওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ। আগেভাগে সতর্ক হলে বড় বিপদ এড়ানো সম্ভব।

শরীরচর্চার মাঝে হার্ট অ্যাটাক

ভারী ওজন-সহ ব্যায়াম দেহের রক্তচাপ বাড়িয়ে দিতে পারে। এ বারে কারও যদি হৃৎপিণ্ড দুর্বল হয়, বা কোনও ধমনীতে ব্লকেজ থাকে, তা হলে রক্তচাপ হৃৎ পিণ্ডে চাপ তৈরি করে। পরিস্থিতি জটিল হলে শরীরচর্চার মাঝেই ব্যক্তি হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হতে পারেন। সঠিক সময়ে চিকিৎসা না হলে তাঁর মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। তাই জিম শুরু করার আগে ব্যক্তি করোনারি আর্টারির সমস্যা, হৃৎপিণ্ডের অনিয়মিত স্পন্দন বা হাইপারট্রপিক কার্ডিয়োমায়োপ্যাথিতে আক্রান্ত কি না, তা পরীক্ষা করিয়ে নেওয়া উচিত।

কী কী পরীক্ষা

জিমে ভর্তি হওয়ার আগে কয়েকটি পরীক্ষা করিয়ে নেওয়া যেতে পারে।

১) ইসিজি: এই পরীক্ষার মাধ্যমে হৃৎপিণ্ডের সঙ্কেত বিশ্লেষণ করা যায়। এরিদমিয়া বা হার্ট ফেলিয়োরের মতো সমস্যা আগাম ইসিজি থেকে জানা সম্ভব।

২) ইকোকার্ডিয়োগ্রাফি: এই আল্ট্রাসাউন্ড স্ক্যানের সাহায্যে হৃৎপিণ্ডের গঠন এবং কার্যকারিতা জানা সম্ভব। ধমনী বা কোনও ভাল্‌ভে সমস্যা থাকলে এই পরীক্ষার সাহায্যে তা জানা সম্ভব।

৩) টিএমটি: অর্থাৎ ট্রেড মিল টেস্ট। এই পরীক্ষায় ব্যক্তিকে ট্রেড মিলে দৌড়তে হয়। ক্লান্তি বা পরিশ্রমের মধ্যে হৃৎপিণ্ডের কার্যকারিতা সম্পর্কে তথ্য জানায় টিএমটি।

৪) রক্ত পরীক্ষা: ট্রোপোনিন এবং এনটি-প্রোবিএনপি নামক দু’টি রক্ত পরীক্ষা এ ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ। হৃৎপিণ্ডের স্বাস্থ্য এবং কোনও সম্ভাব্য রোগের কারণ জানিয়ে দিতে পারে এই দু’টি রক্ত পরীক্ষা।

৫) লিপিড এবং এইচবিএওয়ানসি: এই দু’টি রক্ত পরীক্ষার সাহায্যে কোলেস্টেরল এবং রক্ত শর্করার পরিমাণ জানা যায়। দেহে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেশি হলে এবং মাত্রাতিরিক্ত সুগার থাকলে, তা ব্যক্তির হার্টের ক্ষতি করতে পারে। যার ফলে হার্ট অ্যাটাক পর্যন্ত হতে পারে।

You might also like!