সামনেই শীতের মরশুম, আর এই শীতের প্রাক্কালে সাধারণ জ্বর, সর্দি, কাশি তো স্বাভাবিক ব্যপার। কিন্তু কি দেখে বুঝবেন যে আপনার ধারণায় যেটি সাধারণ জ্বর, সেটি কোভিড-১৯ এর উপসর্গ কি না! বর্তমানে সর্দি, সাধারণ ফ্লু ও কোভিড সৃষ্টিকারী ভাইরাসগুলি একইভাবে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার নিয়ম এই উৎসবের মরশুমে এখন অনেকটাই আলগা। ফলে এই ধরণের সমস্যাগুলি মাত্রাতিরিক্ত বেড়েই চলেছে। কিছু বোঝার আগেই সেগুলি সংক্রমিত হয়ে ছড়িয়ে পড়ছে। বর্তমানে কাশির মাত্রা ও শক্তি বৃদ্ধি নিয়ে শুরু হয়েছে নয়া চর্চা। কোভিড কাশির বৈশিষ্ট্য নিয়ে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। সাধারণ কাশি ৬-৭ দিনের মধ্য়েই সেরে যায় কিন্তু কোভিড কাশি দীর্ঘস্থায়ী। শুধু তাই নয় শুকনো কাশিরও প্রবণতা রয়েছে। চিকিত্সকদের মতে, অনেকেই কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন, যাদের প্রথম দিকে অল্প কাশি দিয়ে শুরু হয়েছিল। তবে বর্তমানে সেই কাশি আবার নতুন করে শুরু হয়ে দীর্ঘদিন ধরেই তা হয়ে চলেছে। একটানা শুকনো কাশি হলে তা যন্ত্রণাদায়ক হয়ে ওঠে। গলা. কন্ঠস্বর ও গভীর শ্বাস নেওয়ার ক্ষমতা সবই প্রভাবিত হয় এর সাথে আসে ক্লান্তি। ঘন ঘন কাশি হলে সংক্রমণ ছড়াবে বেশি। বায়ুর মধ্যে ফোঁটা ফোঁটা জলবিন্দুগুলি ছড়িয়ে পরে বা কারোর গায়ের উপর পড়লে তা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে অসুস্থ করে তুলতে পারে। কোভিডের সমস্ত বিধিনিষেধগুলি মেনে চলুন। কোভিড কাশির চিকিত্সার জন্য সঠিক ওষুধ ব্যবহার করুন।