Health

2 days ago

Cardiac health for women:ঠান্ডা ছাড়াই কাশি ও কফে রক্ত — হৃদরোগের লুকানো বিপদ, বিশেষ সতর্কতা মহিলাদের জন্য

blood in sputum without cold,
blood in sputum without cold,

 

দুরন্তবার্তা ডিজিটাল ডেস্ক :অনেক মহিলাই সারা বছর কাশির সমস্যায় ভোগেন। ঠান্ডা লাগেনি তবুও যদি কাশি থেকে যায় এবং মাঝেমধ্যে কফের সঙ্গে রক্ত বের হয়, তবে বিষয়টি হালকাভাবে নেওয়া ঠিক নয়। লালচে বা গোলাপি কফ শরীরে কোনও বড় সমস্যা তৈরি হওয়ার ইঙ্গিত হতে পারে। অনেকেই ধরে নেন এটা অ্যালার্জি বা গলার সংক্রমণ, ফলে নিজে থেকেই অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়া শুরু করেন, যা উলটো ক্ষতি ডেকে আনে। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের মতে, বিশেষত মহিলাদের ক্ষেত্রে যদি দীর্ঘদিন ধরে শুকনো কাশি চলতে থাকে এবং কফে রক্ত মেশানো দেখা যায়, তাহলে সেটি হৃদ্‌রোগের প্রাথমিক সংকেত হতে পারে। বিষয়টি অচেনা শোনালেও, বেশ কিছু ক্ষেত্রে এমন উপসর্গকে হার্টের অসুস্থতার পূর্বাভাস হিসেবে ধরা হয়েছে।

সাইলেন্ট হার্ট অ্যাটাক থেকে সাবধান

 বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের মতে, অত্যধিক শারীরিক পরিশ্রম, ঠিকমতো পুষ্টিকর খাবার না খাওয়া এর কারণ। রজোনিবৃত্তির পরে শরীরের যে যত্ন নিতে হয়, তা-ও নেন না অনেক মহিলাই, ফলে চুপিসারে হৃদ্‌রোগের ঝুঁকি বাড়ছে মহিলাদেরও। ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ (আইসিএমআর)-এর সমীক্ষা বলছে, ৪০ শতাংশ মহিলার মৃত্যুর কারণ হৃদ্‌রোগ। আর এর নেপথ্যে রয়েছে ধূমপান, অ্যালকোহলের নেশা, জীবনযাপনে অসংযম।

হার্টের রোগ মানেই যে বুকে ব্যথা হবে তা নয়। আরও নানা রকম লক্ষণ দেখা দেয়। বিশেষ করে মহিলাদের ক্ষেত্রে শুকনো কাশিও একটি উপসর্গ। হার্ট ঠিকমতো রক্ত সংবহন করতে না পারলে তা গিয়ে জমা হয় ফুসফুসে। ফলে সেখানে প্রদাহ তৈরি হয়। রক্ত মিশ্রিত মিউকাস উঠে আসে গলা দিয়ে। সেই জন্য কফের সঙ্গে রক্ত বেরোতে দেখা যায়। এর পাশাপাশি শ্বাসকষ্টও হতে পারে। গলা, ঘাড় ও চোয়ালে ব্যথা হতে পারে। এই সব লক্ষণ দেখা দিলেই চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে।

কোন কোন স্বাস্থ্য পরীক্ষা করিয়ে রাখবেন?

কারও যদি উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবিটিস বা পরিবারে কারও হার্টের রোগে আক্রান্ত হওয়ার ইতিহাস থাকে, সে ক্ষেত্রে ৩০ বা ৩৫ বছরের পর থেকেই বছরে এক বার করে হার্টের পরীক্ষা করিয়ে নেওয়া ভাল। নিয়মিত ই সি জি পরীক্ষা, ব্লাড সুগারের পরীক্ষা এবং ব্লাড প্রেসার পরীক্ষা করাতে হবে। দিনে অন্তত এক মাইল হাঁটতে হবে। ধূমপানের অভ্যাস থাকলে তা বর্জন করতে হবে। মদ্যপান বন্ধ করতে হবে। নিয়মিত রক্তের সিরাম, লিপিড পরীক্ষা করাতে হবে। সেই সঙ্গে ‘সিটি ক্যালশিয়াম স্কোর’ টেস্ট করিয়ে রাখাও ভাল। এর থেকে বোঝা যাবে হার্টের ধমনীতে ক্যালশিয়াম জমে ‘প্লাক’ তৈরি হচ্ছে কি না।


You might also like!